somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমাদের যা জানা দরকার

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:২০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



বাংলাদেশের সংবিধান ও আইনের দৃষ্টিতে প্রত্যেক সাবালক নাগরিকের বিয়ে করার পূর্ণ অধিকার রয়েছে। বাংলাদেশ সংবিধানে ছেলেদের বিয়ের জন্য সর্বনিম্ন বয়স ২১ এবং মেয়েদের বিয়ের সর্বনিম্ন বয়স ১৮ ধার্য করা হয়েছে। এর কমে বিয়ে হলে সেই বিয়েকে বাংলাদেশ আইন সমর্থন করে না। এটা বাল্যবিয়ে হিসেবে বিবেচিত হবে। “বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ আইন ১৯২৯”, যেখানে এ জাতীয় বিয়ে সংঘটিত হলে তার বিরুদ্ধে মামলা করার এখতিয়ার দেয়া হয়েছে।
মুসলিম বিবাহ আইনঃ

বাংলাদেশে ১৯৩৯ সালের মুসলিম বিবাহ বিচ্ছেদ আইন, ১৯৬১ সালের মুসলিম পারিবারিক আইন, ১৯২৯ সালের বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন, ১৯৭৪ ও ১৯৭৫ সালের মুসলিম বিবাহ ও তালাক (রেজিস্ট্রেশন) আইন, ১৯৮০ সালের যৌতুক নিরোধ আইন প্রভৃতি আইনের সমন্বিত নিয়ম-ধারার অধীনে মুসলমান সমাজে আইনী বিয়ে ও আনুষঙ্গিক কার্যক্রম সম্পাদিত হয়। অবশ্য এই যাবতীয় আইনই ইসলামী শরীআতের অন্তর্বর্তি এমনটা বলা যায় না, বরং কোনো কোনো ক্ষেত্রে ইসলামী শরীয়াহ পরিপন্থী অনেক বিধানও এতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। মুসলিম আইন অনুসারে বিয়ে একটি ধর্মীয় দায়িত্বই কেবল নয়, একটি দেওয়ানী চুক্তিও।এই আইন অনুসারে একটি পূর্ণাঙ্গ বিয়ের জন্য কতিপয় শর্ত পূরণ করতে হয়:

উভয়পক্ষের ন্যূনতম বয়স
পারস্পরিক সম্মতি
দেনমোহর
সুস্থ মস্তিষ্কের প্রাপ্তবয়স্ক ২ জন সাক্ষী
আইনী নিবন্ধন

এই শর্তানুসারে বরের বয়স কমপক্ষে ২১ এবং কনের বয়স কমপক্ষে ১৮ হওয়া বাধ্যতামূলক। এছাড়া বর-কনেকে সুস্থ মস্তিষ্কের হতে হবে। অতঃপর নারী ও পুরুষকে ইসলামী বিধান অনুসারে উভয়পক্ষের সাক্ষীর সামনে একজন উকিল বা কাজি’র উপস্থিতিতে সম্মতি জানাতে হয় (মুসলিম আইন ও ইসলামী শরীয়াতে কনের প্ররোচনাহীন স্বেচ্ছা-সম্মতি বাধ্যতামূলক)। দুজন সুস্থ মস্তিষ্কের প্রাপ্তবয়স্ক সাক্ষী উপস্থিত থাকা বাধ্যতামূলক এবং একজন পুরুষের সাক্ষ্য দুজন নারী সাক্ষ্যের সমান নয়। একজন নারীকে বিয়ে করতে হলে “দেনমোহর” দেয়া বাধ্যতামূলক। দেনমোহর হলো একটি আর্থিক নিশ্চয়তা (কিছু পরিমাণ অর্থ কিংবা সম্পত্তি), যার বিনিময়ে একজন নারী তার বিবাহিত পুরুষ সঙ্গীর জন্য হালাল বা সিদ্ধ হোন। ইসলাম ধর্ম মতানুসারে এই দেনমোহর সম্পূর্ণ আদায় করে দিতে হয়, দেনমোহর মাফ হয় না। মুসলিম আইন অনুসারে বিয়ের নিবন্ধন বাধ্যতামূলক এবং এই দায়িত্ব পুরুষের। এই দায়িত্বের অন্যথায় ২ বছর পর্যন্ত বর্ধনযোগ্য মেয়াদের বিনা শ্রম কারাবাস, বা ৩,০০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারেন। একজন বিবাহিত নারী তার স্বামীর সেবা এবং আনুগত্য করবেন, আর বিবাহিত পুরুষ তার স্ত্রীর সম্পূর্ণ দেখভাল করবেন, যাবতীয় দায়িত্ব পালন করবেন এবং স্ত্রীর সুখ-শান্তি নিশ্চিত করবেন।

বিবাহ বিচ্ছেদ

মুসলিম আইনের অধীনে নিম্নোক্ত যেকোন একটি উপায়ে বিবাহ-বিচ্ছেদ ঘটানো যায়:

(ক) আদালতের হস্তক্ষেপ ছাড়া স্বামী ও স্ত্রীর পারস্পরিক সম্মতির মাধ্যমে;

(খ) ১৯৩৯ সালের মুসলিম বিবাহ বিচ্ছেদ অনুযায়ী, স্ত্রীর অনুরোধে আদালতের ডিক্রি অনুসারে এবং

(গ) কোনো কারণ প্রদর্শন ব্যতিরেকে স্বামীর ইচ্ছানুযায়ী।

১৯৬১ সালের মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশে সাক্ষীদের সম্মুখে বিবাহ বিচ্ছেদের অভিপ্রায় প্রকাশের এবং চূড়ান্ত তালাক সম্পন্ন হওয়ার প্রক্রিয়া সংশোধিত হয়েছে। অনুসৃত কার্যক্রম অনুযায়ী তালাক তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হবে না। বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে প্রেরিত বিজ্ঞপ্তি ও বিবাহ বিচ্ছেদ কার্যকর হওয়ার মধ্যে ৯০ দিনের ব্যবধান থাকতে হবে।

মুসলিম বিবাহ রেজিস্ট্রার কর্তৃক কাবিন রেজিস্ট্রির সময় স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে তালাকের অধিকার প্রদান করলেই কেবল মুসলিম নারী ইচ্ছানুযায়ী বিবাহ বিচ্ছেদের অধিকার পায়। অবশ্য স্ত্রী কোর্ট-ডিক্রির মাধ্যমে তালাক গ্রহণ করতে পারলেও তা একটি অনিশ্চিত, ব্যয়বহুল ও প্রলম্বিত জটিল পদ্ধতি। এর ফলে আইন সংস্কার হওয়া সত্ত্বেও বিবাহ ও তালাকের ক্ষেত্রে লিঙ্গবৈষম্য টিকে আছে। আরোও
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:২০
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

যেকোন বাংগালীর ইন্টারভিউর সময়, 'লাই-ডিটেক্টটর' যোগ করে ইন্টারভিউ নেয়ার দরকার।

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৫ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:০৭



আপনার এনলাকার এমপি, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী কামাল সাহেব, যেকোন সেক্রেটারী, যেকোন মেয়র, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান, বিএনপি'র রিজভী, আওয়ামী লীগের ওয়ায়দুল কাদের, আপনার থানার ওসি, সীমান্তের একজন বিজিবি সদস্য, ঢাকার... ...বাকিটুকু পড়ুন

তাবলীগ এর ভয়ে ফরজ নামাজ পড়ে দৌড় দিয়েছেন কখনো?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:২৬


আমাদের দেশের অনেক মসজিদে তাবলীগ এর ভাইরা দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দিয়ে থাকেন। তাবলীগ এর সাদামাটাভাবে জীবনযাপন খারাপ কিছু মনে হয়না। জামাত শেষ হলে তাদের একজন দাঁড়িয়ে বলেন - °নামাজের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×