একটি দেশের সংসদে যখন হাস্যকর ও তীব্র ব্যক্তি আক্রমণ করাই একমাত্র কাজ তখন দেশটির ভবিষ্যৎ কি তা নিয়ে নতুন করে ভাবনার অবকাশ রাখে না। এর আগে বহুবার সংসদে হাস্যকর অদ্ভুত কাণ্ড ঘটেছে। সংসদ অধিবেশন পরিচালনা করার জন্য রাষ্ট্রীয় খরচ হয় মিনিটে প্রায় দুই লক্ষ টাকা। সংসদ কোন গানের মঞ্চ নয়। দেশের বন্যা কবলিত মানুষ না খেয়ে আছে। মানবেতর জীবন যাপন করছে। ঠিক সে মুহূর্তে রাষ্ট্রের টাকা খরচ করে মমতাজের গান শোনা কতটুকু মানবিক লীগের সহ ব্লগারদের প্রতি বিনয়ের সাথে প্রশ্ন রইল।
সংসদে কি ধরণের বক্তব্য দেয়া যাবে আর কি ধরণের বক্তব্য দেয়া যাবেনা সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট আইন থাকা জরুরী হয়ে পড়েছে। একজন বিরোধী দলীয় সাংসদ সরকারের সমালোচনা করতেই পারেন তাই বলে তাকে ব্যক্তি আক্রমণ করা কতটুকু যৌক্তিক সে প্রশ্নটিও লীগের সহব্লগারদের কাছে রাখতে চাই।
চলতি অধিবেশনকে পদ্মা সেতু অধিবেশন বা বিএনপি অধিবেশন বলা যায় এই বক্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে আইন মন্ত্রী নিজেই কি আইন ভাংগেন নি?
রুমিনের বক্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘আমরা নাকি এখানে (সংসদে) খালেদা জিয়াকে বকাবকি করি। আমরা নাকি পদ্মা সেতু নিয়ে বেশি বেশি কথা বলছি। এটা নাকি ছিল সংসদের কাজ। আমরা এই সংসদে অনেক গুরুত্বপূর্ণ জিনিস আলাপ করেছি।’- সুত্র- পত্রিকা
স্বাধীনতার পর পদ্মা সেতুর উদ্বোধন ঐতিহাসিক তৎপর্যপূর্ণ ক্ষণ উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী প্রশ্ন রাখেন, ‘তো আমরা পদ্মা সেতু নিয়ে কথা বলব না, কী নিয়ে কথা বলব? আমরা কি ওনার (রুমিন ফারহানা) কাপড়চোপড় নিয়ে কথা বলব? আমি তা করব না।’ আইনমন্ত্রীর মন্তব্যে ক্ষোভ জানিয়ে বক্তব্য দেন রুমিন ফারহানা। তিনি বলেন, যুক্তিবিদ্যার সবচেয়ে বড় ‘ফ্যালাসি’ হচ্ছে যখন কোনো যুক্তি থাকে না, তখন ব্যক্তিগত আক্রমণ করা। যখন যুক্তি থাকে না, তখন ব্যক্তিগত আক্রমণ আসে। তিনি বলেন, ‘উনি (আইনমন্ত্রী) কোনো যুক্তি না পেয়ে আমার পোশাক নিয়ে আলোচনা হবে কি না, এমন অভব্য বক্তব্য দিয়েছেন, যা আমরা আইনমন্ত্রীর কাছে আশা করি না।’ - সুত্র পত্রিকা।
একজন আইন মন্ত্রীর বক্তব্য আরও মার্জিত হওয়া উচিত ।
রুমিনের বক্তব্যের ইউটিউব ভিডিও --
বড় লেখা সামুর বর্তমান ব্লগারগণ ও পাঠক গণ কম পড়েন। অনেক কিছু লেখার ইচ্ছা থাকলেও এখানেই শেষ করলাম।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা জুলাই, ২০২২ রাত ৮:০১