somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

চলেই যদি যাবি তবে, জ্যোছনা ক্যান দেখালি !

০৭ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৩২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

দু’পাশের সারি সারি সবুজের মাঝ দিয়ে হেটে চলেছে দুজন মানুষ। শহরের ব্যস্ততা থেকে একটু প্রশান্তির খোঁজে। তাই শহর থেকে দূরে এ অভিযাত্রা। নাম তার মোহনীয় বিকেল। সূর্য তখন তার জল শুষে নেয়া উত্তাপে নেই। তির্যকভাবে ধরায় নেতিয়ে পড়ছে। গলে গলে যাচ্ছে তার রূপ। আলো-আঁধারির এক মোহময় সময়ে পাশাপাশি, খুব কাছাকাছি হেটে যাচ্ছে তারা।
ফিরতে হবে বাড়িতে, সেই কোলাহলময় জীবনে প্রবেশের পূর্বপ্রস্তুতি।
আজকের বিকেলটা পৃথিবীর সবচাইতে সুন্দর সময়। প্রকৃতির সাথে মিশে একাকার হয়ে গেছিল সময়! বুকের জমাটবাঁধা অন্ধকারগুলো আস্তে আস্তে মিইয়ে গেছে অপরূপ সুন্দরের স্পর্শে। জ্যোছনায় ধুয়ে গেছে অন্তর! অনেক জমানো কষ্ট জল হয়ে গড়িয়ে পড়েছে দু’চোখ বেয়ে। কী শান্তি! ফুরফুরে হাওয়ায় উড়ে যেতে যেতে সময় যে পার হয়ে গেছে, টের পায়নি কেউই। হঠাৎ করেই যান্ত্রিক চিৎকার, হাতের মুঠোফোনের নির্দেশ-কোথায়, ফিরবি কখন?
ছন্দে পতন, তবু বিস্ময়ের ঘাটতি নেই। এ চলায় রয়েছে সীমাহীন আনন্দ। সাহস করেই সঙ্গীর হাতখানি মুঠোই পুরে নেয়া। আর মুখে, অনুমতি নেবার ভদ্রতা। আহ্ কী প্রশান্তি! তারপর মৃদু পায়ে রাজকীয় চলা। যেন বিশ্বজয় হয়েছে এবার। হাতের মুঠোয় জ্বলজ্বল করছে সোনা! চকমক করে উঠছে হৃদয়ের তন্ত্রী। তারা একই পথের যাত্রী। সোনাজয়ী হাতখানা বারবার সম্মুখে এনে ঘ্রাণ পরখ; পারলৌকিক অনুভূতি স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
এভাবেই শুরু। এভাবেই পথচলা। এভাবেই বন্ধু হওয়া, জানি না বন্ধুত্ কাকে বলে!
জ্যোছনায় ¯œানের বুদ্ধি কে তাকে দিয়েছে? উত্তর জানা নেই। সে কী আহ্লাদ তাদের। সময়ের কর্কশ যন্ত্রটি এখন মধুময়। সারারাত বিরতিহীন চলে কথোপকথন। মাথামু-ুহীন সেসব কথাবার্তায়ও থাকে স্ফূর্তি! কখনো যে দু’ লাইন কবিতা পড়েনি-সেও হয়ে যায় কবি। গান গেয়ে ঘুম পাড়ায় সোনামুখের মানুষটাকে!
ঘুরে বেড়ায় দুনিয়াময়, বাস্তবে আর স্বপ্নেও। কত বাসনা জাগরিত হতে থাকে। কত স্বপ্ন বুনে যায় চার চোখে। ভালবাসার কাজলে উজ্জ্বল হয়ে ওঠে চোখ দুটো। কী খাওয়া, কী পোশাক-সবই বদলে যায় প্রিয় সাহচর্যে! হা-এইই হলো ভালবাসা, একেই ভালবাসা বলে।
সব পাখি ঘরে ফেরে, সবাইকে যেতে হয় গন্তব্যে। পাখির সাথে বুঝি মানুষের অনেক মিল। আজ এখানে কাল সাইবেরিয়ায়! সব পাখিই বুঝি সাইবেরিয়ায় যেতে চায়। সেখানে যেতে খুব যোগ্যতা প্রয়োজন! যোগ্য করে তুলতৈ অপরের খাদ্য হিসেবে। সে কীভাবে খেতে ভালবাসে-সেভাবেই গড়ে তুলতে হয়! তাদের খাবারের জন্য সঙ্গীহীন করতে হয়।
মানুষের ভেতর বসত করে আরেক মানুষ। সেই মানুষটাকে বোঝানো কি এতই সোজা? সেই মানুষটাই প্রকৃত। সেই বোঝে তাকে টিকে থাকতে হবে। আবেগের বশে অনেক কিছুই বলা যায়, কিন্তু তা মেনে চলা যায় না।
ষড়রিপুর এই মহিমায় উদ্ভাসিত মানুষের কাছে সর্বোচ্চ ত্যাগের আকাঙক্ষা মাইক্রোসেকোপিক!
জ্যোছনার আলো ফিকে হয়ে যায় না। অবিরাম শুদ্ধ করে চলে সে। মানুষের মত এত বেশি চাওয়া-পাওয়া তার নেই। সে মানুষকে কেবল দিতেই শিখেছে, নেবে না কিছুই।
মানবী তারে জ্যোছনার গল্প শুনিয়েছিল। থাকবে চিরকাল, দূরত্ব যতই থাকুক। মিথ্যে আশা কুহকিনী! নীলকণ্ঠ আর আগের মতো গেয়ে ওঠে না। শোনায় না আর ঘুমপাড়ানি গান...‘অগোচরে এসে আমায় কাঁদালে...’
প্রশ্ন একটা জ্বলজ্বল করে বুকের গহীনে। কেনই বা এসেছিলে, জ্যোছনা দেখিয়েছিলে-যদি না থাকো?
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে জুন, ২০২০ রাত ৯:৫০
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুখ গুজে রাখা সুশীল সমাজের তরে ,,,,,,,,

লিখেছেন ডঃ এম এ আলী, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৫


দুর্যোগ যখন নামে আকাশে বাতাশে আগুনের ধোঁয়া জমে
রাস্তা জুড়ে কখনো নীরবতা কখনো উত্তাল প্রতিবাদের ঢেউ
এই শহরের শিক্ষিত হৃদয়গুলো কি তখনও নিশ্চুপ থাকে
নাকি জ্বলে ওঠে তাদের চোখের ভেতর নাগরিক বজ্র
কেউ কেও... ...বাকিটুকু পড়ুন

নজরুল পরিবারের প্রশ্ন: উগ্রবাদী হাদির কবর নজরুলের পাশে কেন?

লিখেছেন মাথা পাগলা, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:০১



প্রায় অর্ধশতাব্দী আগে কাজী নজরুল ইসলামের দেহ সমাধিস্থ করা হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদের পাশে। শনিবার বাংলাদেশের স্থানীয় সময় বিকেল ৪টে নাগাদ সেখানেই দাফন করা হল ভারতবিদ্বেষী বলে পরিচিত ইনকিলাব মঞ্চের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির আসল হত্যাকারি জামাত শিবির কেন আলোচনার বাহিরে?

লিখেছেন এ আর ১৫, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৪


গত মাসের শেষের দিকে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পারওয়ারের ছেলে সালমান, উসমান হাদির সঙ্গে খু*নি ফয়সালের পরিচয় করিয়ে দেন। সেই সময় হাদিকে আশ্বস্ত করা হয়—নির্বাচন পরিচালনা ও ক্যাম্পেইনে তারা... ...বাকিটুকু পড়ুন

দিপুকে হত্যা ও পোড়ানো বনাম তৌহিদী জনতা!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:০৫


পাইওনিয়ার নিটওয়্যারস বিডি লিমিটেড (Pioneer Knitwears (BD) Ltd.) হলো বাদশা গ্রুপের (Badsha Group) একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান। বাদশা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান কর্ণধার হলেন জনাব বাদশা মিয়া, যিনি একইসাথে এই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×