somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্রশ্নচক্র

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৩৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এখানে আসবো বলে, বেশ কিছুদিন ধরেই অপেক্ষা করছিলাম। অবশেষে সে অপেক্ষার ইতি টেনে এখানে আসবার সুযোগটি তাই হাতছাড়া করিনি। এমন সুবর্ণ সুযোগ জীবনে কমই আসে বলা চলে। তখন আর অন্যকিছু ভাবাটা পরবর্তীতে বোকামি হয়ে ধরা দেয় আর যদি সে সুযোগ টা কাছে লাগান যায় তবে সেটা সময় উপযোগী সিদ্ধান্ত বলে পরবর্তীতে আনন্দ স্মৃতি হয়ে তৃপ্তির হাসি যোগায়। ঘুরে ফিরে অবশ্য কর্মফল এর উপরই তো নির্ভর করে ব্যাপারটা। কর্মফল দেখেই সবাই মূলত আত্মবিশ্বাসী মন্তব্য করে, এর আগে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় তো এক এক জনের এক এক রকম কথা। আর কর্মফল হওয়ার পর যখন কারও কথার সাথে মিলে যায় তাহলে নিজে কি নাম পাবেন, তার থেকে সেই ব্যক্তি বেশি নাম পাবে। তবে সব ব্যাপারে এরকম না, বেশিরভাগ ব্যাপারে যদিও এমনটাই হয়ে থাকে। আর কর্মফল যদি প্রত্যাশিত হয় তাহলে মোটামুটি প্রশংসা কুড়ানো যায় ভালই আর যদি অপ্রত্যাশিত হয় তবে সবাই সেই সিদ্ধান্ত কেই শাপ দেয়। সে দুঃখে হয়তো বা আপন মনে দু’চার চরণ এর অনুকাব্যে নিজের হতাশা ঝেড়ে আপনার শান্ত হতে হয়। যাই হোক, আমার জীবনে এমন অনুকাব্য এতবার লেখা হয়েছিল যে একটা সময় এমন হল যে পুরো একটা কবিতার বই বের করে ফেলা যেত সবগুলো অনুকাব্য নিয়ে। এবং প্রতিদিন দু’চারটা অনুকাব্য লেখা আমার কাছে কোন ব্যাপারই ছিল না। দৈনন্দিন কাজকর্মের তালিকায় তখন অনুকাব্য রচনা(অবশ্যই বোকামির খাতায়) নতুন জায়গা করে নিয়েছিল। নিয়মিত বলতে যা বোঝায় আর কি।

এসব ভাবতে ভাবতে ভাত খাচ্ছিল সাদেক, ভাবনা গুলো ছন্নছাড়া, কেন যেন বেশ কদিন ধরে ঠিক এই কথাগুলো মাথায় ঘুরছে ওর। অনেক ভেবেছে এর কারণ, কিন্তু উত্তর পায়নি। হঠাৎ তাকে বলা হল পড়াশুনা করে করবে টা কি সে? ব্যবসায় নেমে পরতে তার বাবার সাথে। সাদেকের বাবা তার পড়াশুনা নিয়ে খুব বেশি হতাশ হয়ে শেষমেশ এই বক্তব্য পেষ করতে বাধ্য হয়েছেন, এতে না বুঝতে পারার কোন কারণ নেই। সে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে বেশ সার্থকতার সাথে তৃতীয় বারের মত স্থান করে নেওয়ার উপলক্ষে রাতে ‘খাবার টেবিল’ এ বিশেষ কর্মসূচীর আওতায় এই বক্তব্য প্রদান করছেন তার সম্মানিত পিতা। কারণ প্রথম বর্ষ ও সে দুবারের চেষ্টায় পাশ করেছিল। এমনিতেই সেশন জট, তার উপর তার এই পারদর্শিতা তার বাবাকে বেশ মুগ্ধ করেছিল, যার ফল স্বরূপ তার বাবা উক্ত বক্তব্য যথাসম্ভব ক্ষোভ ও রাগ এবং রস মিশ্রিত করে উপস্থাপন করছেন। সাদেক কিছু বলছে না। সে বুঝতে পারছে বাবাকে এবার বলে কোন লাভ হবে না। তাই সাত পাঁচ না ভেবে চুপ চাপ সেটা মেনে নেয় সে।

আসলে পড়াশুনা যে সাদেক আদৌ করছিল, সেটা নয়। সে পড়াশুনা একদমই করতে পারছিল না, অর্থাৎ পড়াশুনা থেকে তার মন উঠে গিয়েছিল বলা চলে। সে মূলত সারাদিন আড্ডা মেরেই বেড়াতো আর সঙ্গী থাকতো স্বর্ণলতিকা। সপ্তাহে দু থেকে তিন রাতে গাঁজা ও চলতো। আরও যা যা আছে পালা করে সপ্তাহের নির্দিষ্ট দিনে কম বেশি খাওয়া হতই, সাথে মিশ্রিত থাকতো অতি মাত্রায় সাময়িক আনন্দের অজস্র ধূলিকণা। এবং তার দিন ওভাবে বেশ ভালই কেটে যাচ্ছিলো। শেষমেশ কি মনে করে বাবার ব্যবসাতে যাবার জন্য মনস্থির করে ফেললো সে নিজেও বুঝতে পারলো না। আসলেই মানুষ অনেক সময় অনেক কিছু করে যেটা করার কারণ সে নিজেও জানে না।

সাদেকের বাবা ছোটখাটো ব্যবসায়ী। সুপার মার্কেট এ তার একটি শাড়ির দোকান আছে। সেখানে বসে থেকে কাজে সাহায্য করাই হবে সাদেকের কাজ এবং ব্যবসাটা ও এর মাধ্যমে শিখে নিতে পারবে সে, এই ভেবেই সাদেকের বাবা মূলত তাকে ব্যবসা শুরু করতে বলেছে। সাদেকের মা নেই। মারা গিয়েছেন ওর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার পরপরই। তাদের পরিবার বলতে সে আর তার বাবা। ওদের পাশের বাসায় ওর ছোট ফুপু থাকেন। রান্নাবান্না তিনিই করে দিয়ে যান, এছাড়া একটা ছুটা বুয়া আছে। যেদিন ওর ফুপু রান্না করতে পারে না, সেদিন বাইরেই খেতে হয় সাদেক আর সাদেকের বাবা কে। ফুপুই মোটামুটি তাদের বাসার কর্ত্রী বলা চলে। বাসার দেখাশোনা সেই করে সবসময়।

রাতের বেলা বারান্দায় বসে ধোয়া উড়াতে উড়াতে সাদেক সিদ্ধান্ত নিলো বাবার কথাই শুনবে এবার। জীবন নিয়ে এবার একটু সচেতন হওয়া দরকার। জীবনটা মা মারা যাওয়ার পর থেকে যেভাবে নষ্ট করে দিচ্ছিল। ওভাবে আর নয়। পরদিন বাবার সাথে দোকানে গেলো। সারাদিন দোকানেই থাকলো। মাঝে সাঝে বিড়ি টানার জন্য বের হয় বটে, তবে আবার দোকানে ফিরে গিয়েছে। যদিও তার বাবা সন্দেহ করছিল, যে সে দু মিনিট এর কথা বলে দোকান থেকে পালাবে কি না। কিন্তু সাদেক পলায়নি। বন্ধুরা তাকে বেশ কয়েকবার ফোন করে ডেকেছিল। তবে সে না করে দিয়েছে প্রতিবার। তিন চারবার ফোন দিয়ে বিরক্ত হয়ে পরে আর ফোন দেয়নি ওর বন্ধুরা। ওরা বেশ অবাক হয়েছে সাদেক এর হঠাৎ পরিবর্তন দেখে। কেও কেও বেশ হতাশ ও হয়েছে বটে। এবং বারবার সাদেক নিজেও অবাক হচ্ছিলো নিজের এই হঠাৎ পরিবর্তন দেখে। সাদেকের বাবা বেশ খুশি ছেলের এমন পরিবর্তন দেখে, ভাবছে পড়াশুনা না হোক অন্তত ব্যবসায় মন দিতে পারলে তো ভাল একটা অবস্থানে যেতে পারবে ব্যবসা করেই। ছেলের বুদ্ধি যে খুব খারাপ না সেটা সাদেকের বাবা জানেন। মা মারা যাওয়াতে ছেলের আজ এই অবস্থা। অন্যথায় সে হয়তো কোন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এ আজ ভাল কোন বিষয়ে অধ্যয়নরত থাকতো। অধ্যয়নরত বলা ভুল, এখন পাশ করে বেড়িয়ে যেত বলা যায়।
দিন শেষে সাদেক আর তার বাবা রাতে বাসায় ফিরছে। তাদের বাসা যে ব্লক এর তার আগের ব্লক এ পৌঁছেছে, রিকশা করে আসছিল ওরা। ওখানে বিদ্যুৎ না থাকায় বেশ অন্ধকার ছিল। তার উপর আবার ছিল অমাবস্যা। আর মফস্বল টাইপ শহর হওয়াতে রাত এগারটা যথেষ্ট রাত বলা চলে, বেশ নীরব থাকে এ সময় এলাকা। সে ব্লকের একটা সংকীর্ণ গলিতে প্রবেশ করতেই রিকশা হঠাৎ করেই ব্রেক করলো। আরেকটু হলেই তাল হারিয়ে পরে যেতে নিচ্ছিল সাদেক, কোনমতে সামলে নিয়েছে শেষ মুহূর্তে। কয়েকটা ছেলে রিকশা থামিয়েছে। তারা যে ছিনতাই করতেই এসেছে, এতে কোন সন্দেহ নেই। এবং অন্ধকারে কারও চেহারা তেমন চিন্তেও পারছে না সাদেক। একজন শুধু কথা বলে উঠলো, যা আছে সব চুপ চাপ দিয়ে দিতে বলছে, নাহলে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। গলা শুনে বোঝা যাচ্ছে এগুলো নেশা করেই এসেছে, এবং নেশার টাকা শেষ হয়ে যাওয়া তে এখানে সাদেক আর তার বাবা কে পেয়ে ছিনতাই করার সুযোগ হাতছাড়া করতে চাচ্ছে না। সাদেকের যদিও যে ছেলেটি কথা বলে উঠেছে তার গলা পরিচিত লাগছে কিন্তু ঠিকমত মনে করতে পারছে না যে গলাটি কার, কেনই বা এত পরিচিত লাগছে। সাদেকের বাবা সব চুপ চাপ বের করে দিয়ে দিলেন, সাদেক কে পুনরায় হুমকি দিতে দিতে যে ছেলেটির কথা বলছিল, তার গলা চিনে ফেলে সাদেক। সে অটল কণ্ঠে বলে, যা নিয়েছিস ফেরত দে আর আমি ও কিছু দিবো না। সাদেকের গলা শুনে মনে হল ভরকে গেলো ওরা। কিন্তু পরক্ষনেই কেও একজন কিছু একটা বের করছে বুঝতে পারে সাদেক। কিন্তু সে কিছু বলতে মুখ খুলার আগেই গুলি চালিয়ে দিয়ে সবগুলো দৌড়ে পালায় ঘটনাস্থল থেকে। সাদেকের বাবা তো হতবিম্ব হয়ে গেলেন এটা দেখে। প্রচণ্ড ব্যথায় সাদেক এর মুখ দিয়ে অস্ফুট চিৎকার বেড়িয়ে আসে, কিছুক্ষণের মধ্যে সে ধীরে ধীরে দেখতে পেলো সবকিছু কেমন আলোকিত হয়ে যাচ্ছে, তাকে ধরে থাকা বাবার মুখ এবং রিকশাওয়ালার মুখ ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে সে আলোয়। তার মনে হচ্ছে সে অন্য জগতে চলে যাচ্ছে। এছাড়া কি হচ্ছে সে কিছু বুঝতে পারছে না। তার মনে হচ্ছে সে স্বপ্ন দেখছে। সব ধীরে ধীরে উজ্জ্বল হচ্ছে। হঠাৎ একটা শব্দ শুনতে পেলো সে, যতটুকু কর্কশ হলে আর্তনাদ করে কান চেপে ধরা হয়, ঠিক অতটুকুই কর্কশ।
..........................................

জ্ঞান ফিরে এটুকুই মনে পরছিল সাদেকের। ধীরে ধীরে চোখ খুলে যখন দৃষ্টি উজ্জ্বলতার সাথে সয়ে এলো, দেখতে পেলো চারিদিকে শুধুই শুভ্রতা আর শুভ্রতা। সে পরে আছি সেই শুভ্রতায়। তারপর ধীরে ধীরে এই কথাগুলো মনে পরে।
উঠে দাঁড়ালো সাদেক, আবারও চারপাশ দেখে নিচ্ছে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি মেলে। আশে পাশে শুধু শুভ্রতা আর শুভ্রতা। কি করবে বুঝতে পারছে না। বিভ্রান্ত দৃষ্টি নিয়ে চারপাশ দেখছে সে। এমন সময় একটি কণ্ঠ বলে উঠে,

-স্বাগতম সাদেক। কেমন লাগছে এখন ?

সাদেক ভয় পেয়ে গেলো,ওর চোখ জোড়া খুঁজতে থাকে শব্দের উৎস। খুঁজে পাচ্ছে না। যে দিকে চোখ যায় শুধুই শুভ্রতা। শব্দ কোত্থেকে আসছে বুঝতে পারছে না সাদিক। ঘামতে শুরু করে সে, ধীরে ধীরে উত্তেজনা বাড়তে থাকে তার। কোথায় সে !!

-কি খুঁজছ ? আমাকে দেখতে পাবেনা তুমি। ঠাণ্ডা হও। এত
উত্তেজিত কেন হচ্ছ।

সাদেক আরও বেশি উত্তেজিত হয়ে পরে, কণ্ঠটির ঠাণ্ডা হতে বলা শুনে। এবং চারিদিকে দৌড়াতে শুরু করে। কিন্তু কোন সীমা খুঁজে পায় না। দৌড়চ্ছে আর দৌড়চ্ছে, এদিকে থেকে সেদিকে, কখনও সোজা। কতক্ষণ ধরে এমন করলো ঠিক নেই। একটা সময় অনেক ক্লান্ত লাগতে শুরু করলো। শুয়ে পরে ও। ভাবতে শুরু করে যে কথাগুলো মনে পরছিল। ভাবতে ভাবতে ধীরে ধীরে ঘুমিয়ে পরে।
সাদিক এমন একটা অবস্থায় আছে, যেটাকে ঘুম আর জাগরণ এর মাঝামাঝি অবস্থা বলে, চেতনা থাকে কিন্তু ঘোলাটে একটা ভাব ঘিরে রাখে। ধীরে ধীরে চোখ খুলে সে। আলো !! অনেক অনেক বেশি আলো !! খুলেই ধপ করে চোখ বন্ধ করে ফেলে। কিছুক্ষণ সময় নিয়ে আবার ধীরে ধীরে আলো সইয়ে নিয়ে চোখ খুলতে থাকে। ধীরে ধীরে সয়ে এলো আলো। উঠে দাড়ায় সে। কি মনে হল দৌড় শুরু করে দিলো, দৌড়চ্ছে। কেন জানে না, মনে হচ্ছে অনেক দৌড়াতে হবে তার। একদিকে সোজা দৌড়ে যায়, আবার বাম দিকে ঘুরে অনেকক্ষণ দৌড়ায়। আবার ডানে ঘুরে অনেকক্ষণ দৌড়ায়। এভাবে দৌড়াতে দৌড়াতে একটা সময় শরীরে ক্লান্তি ভর করে। ক্লান্ত হয়ে শুয়ে পরে সে, শক্ত কংক্রিটের শুভ্র মেঝে। এমন সময় একটা কণ্ঠ শুনতে পেলো,

-কেমন আছো সাদেক ?

আশে পাশে তাকিয়ে শব্দের উৎস খুঁজতে চেষ্টা করলাম। কিছুক্ষণ খুঁজেই হাল ছেড়ে দিলাম। জিজ্ঞেস করলাম,

-কে আপনি ?
-আমি শুভ্র। কেমন আছো তুমি ?
-জানিনা। আমি কোথায় ?
-তুমি শুভ্রতায়।
-আমি এখানে কেন ? আমি আগে কোথায় ছিলাম ?
-তুমি মৃত। তাই এখানে। তুমি আগে পৃথিবীতে ছিলে। যেখানে মানুষ নামের প্রাণী কে শ্রেষ্ঠ বুদ্ধিমত্তার প্রাণী গণ্য করা হয়।
-ও আচ্ছা। আমি কি মানুষ ?
-হুম। তুমি একজন মানুষ। এখন ঘুমাও। তুমি অনেক ক্লান্ত।
-আমার যে আরও প্রশ্ন ছিল !
-পরের বার তোমার সব প্রশ্নের উত্তর পাবে।

বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর জানা দরকার ছিল। কেন জানা দরকার জানেনা সাদিক। শুধু জানে যে জানতে হবে। কিন্তু অনেক বেশি ক্লান্ত লাগছে তার। পরের বার কি কি প্রশ্ন করবে এগুলো ঠিক করতে করতে ঘুমিয়ে পরে সে।
..........................................

সাদেক এমন একটা অবস্থায় আছে, যেটাকে ঘুম আর জাগরণ এর মাঝামাঝি অবস্থা বলে, চেতনা থাকে কিন্তু ঘোলাটে একটা ভাব ঘিরে রাখে। ধীরে ধীরে চোখ খুলে সে। আলো !! অনেক অনেক বেশি আলো !! খুলেই ধপ করে চোখ বন্ধ করে ফেলে চোখ। কিছুক্ষণ সময় নিয়ে আবার ধীরে ধীরে আলো সইয়ে নিয়ে চোখ খুলতে থাকে। ধীরে ধীরে সয়ে এলো আলো। উঠে দাঁড়ালো সে। এদিক ওদিক তাকিয়ে শুধু শুভ্রতা আর শুভ্রতা চোখে পরছে ওর, হঠাৎ করেই দৌড়তে শুরু করে সে। কেন জানে না, মনে হচ্ছে অনেক দৌড়াতে হবে তার। একদিকে সোজা দৌড়ে যায়, আবার ডান দিকে ঘুরে অনেকক্ষণ দৌড়ায়। আবার বামে ঘুরে অনেকক্ষণ দৌড়ায়। এভাবে দৌড়াতে দৌড়াতে একটা সময় শরীরে ক্লান্তি ভর করে সাদেকের। ক্লান্ত হয়ে শুয়ে পরে সে, শক্ত কংক্রিটের শুভ্র মেঝে। এমন সময় একটা কণ্ঠ শুনতে পেল সাদিক,

-কেমন আছো সাদেক ?
-ভাল। আপনি ?
-আমিও ভাল আছি। আমাকে চিনেছ ?
-না। কে আপনি ?
-আমি শুভ্র।
-ও আচ্ছা। আপনি কোথায় ? আপনাকে দেখতে পাচ্ছি না কেন ?
-এখনও সময় হয়নি। সময় হলে দেখতে পাবে।
-ও আচ্ছা।
-তুমি কি অনেক ক্লান্ত ? ঘুমিয়ে পরবে ?
-হুম। আমি ক্লান্ত। অনেক বেশি ক্লান্ত। আমি একটু ঘুমাতে চাই এখন।
-আচ্ছা ঘুমাও। আমি যাই।

তার খুব বেশি কিছু ভাবতে ইচ্ছে করছে না। চোখ বন্ধ করতেই ঘুমিয়ে পরে সাদেক।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:২১
১০টি মন্তব্য ১০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

খুন হয়ে বসে আছি সেই কবে

লিখেছেন জিএম হারুন -অর -রশিদ, ০৭ ই মে, ২০২৪ রাত ২:৩১


আশেপাশের কেউই টের পাইনি
খুন হয়ে বসে আছি সেই কবে ।

প্রথমবার যখন খুন হলাম
সেই কি কষ্ট!
সেই কষ্ট একবারের জন্যও ভুলতে পারিনি এখনো।

ছয় বছর বয়সে মহল্লায় চড়ুইভাতি খেলতে গিয়ে প্রায় দ্বিগুন... ...বাকিটুকু পড়ুন

জাম গাছ (জামুন কা পেড়)

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ০৭ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:০৩

মূল: কৃষণ চন্দর
অনুবাদ: কাজী সায়েমুজ্জামান

গত রাতে ভয়াবহ ঝড় হয়েছে। সেই ঝড়ে সচিবালয়ের লনে একটি জাম গাছ পড়ে গেছে। সকালে মালী দেখলো এক লোক গাছের নিচে চাপা পড়ে আছে।

... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনির্বাণ শিখা

লিখেছেন নীলসাধু, ০৭ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



রাত ন’টার মত বাজে। আমি কি যেন লিখছি হঠাৎ আমার মেজো মেয়ে ছুটতে ছুটতে এসে বলল, বাবা একজন খুব বিখ্যাত মানুষ তোমাকে টেলিফোন করেছেন।

আমি দেখলাম আমার মেয়ের মুখ উত্তেজনায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

=ইয়াম্মি খুব টেস্ট=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৭ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:১৪



©কাজী ফাতেমা ছবি
সবুজ আমের কুচি কুচি
কাঁচা লংকা সাথে
ঝালে ঝুলে, সাথে চিনি
কচলে নরম হাতে....

মিষ্টি ঝালের সংমিশ্রনে
ভর্তা কি কয় তারে!
খেলে পরে একবার, খেতে
ইচ্ছে বারে বারে।

ভর্তার আস্বাদ লাগলো জিভে
ইয়াম্মি খুব টেস্ট
গ্রীষ্মের... ...বাকিটুকু পড়ুন

এশিয়ান র‍্যাংকিং এ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান !!

লিখেছেন ঢাবিয়ান, ০৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:২০

যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা সাময়িকী 'টাইমস হায়ার এডুকেশন' ২০২৪ সালে এশিয়ার সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা প্রকাশ করেছে। এশিয়ার সেরা ৩০০ তালিকায় নেই দেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়।তালিকায় ভারতের ৪০, পাকিস্তানের ১২টি, মালয়েশিয়ার ১১টি বিশ্ববিদ্যালয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

×