somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিচ্ছিন্ন হতে পারে পাকিস্তান- পরমাণুবিজ্ঞানী আবদুল কাদির খান

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১২ বিকাল ৪:৫৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

পাকিস্তানের আলোচিত পরমাণুবিজ্ঞানী আবদুল কাদির খান বলেছেন, পাকিস্তানের বর্তমান অবস্থা ১৯৭১ সালের চেয়েও খারাপ। তিনি সতর্ক করে বলেন, সামাজিক সমস্যাগুলোর সমাধান না হলে আবারও বিচ্ছিন্ন হতে পারে পাকিস্তান।
পাকিস্তানের ‘দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল’ পত্রিকার মতামত কলামে আজ সোমবার ‘ইভেন্টস অব ১৯৭১’ শিরোনামে এক নিবন্ধে কাদির খান এ মন্তব্য করেন।
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ এবং এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের জন্মের বিষয়টি ইঙ্গিত করে ওই নিবন্ধে কাদির খান বলেন, ‘পাকিস্তানের বর্তমান অবস্থা ১৯৭১ সালের চেয়েও খারাপ। দেশটি সব ধরনের সামাজিক সমস্যায় বিপর্যস্ত। আমরা শিগগিরই যদি এ সমস্যাগুলোর সমাধান না করি, তবে সে দিন বেশি দূরে নয়, যেদিন আমরা আবারও বিভক্ত হব। এই পরিস্থিতি সমাধানে আমাদের প্রথম ও প্রধান কাজ হলো বিদেশি যুদ্ধবিগ্রহ থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে রাখা এবং নিজেদের ঘর সামাল দেওয়া।’
কাদির খান বলেন, প্রতিটি জাতিকেই উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে চলতে হয়। জাতির যেমন গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায় থাকে, থাকে বিয়োগান্ত ঘটনাও। মানুষ সাধারণত ঘটা করে ভালো ঘটনা উদযাপন করতে গিয়ে বিয়োগান্ত ঘটনাকে অগ্রাহ্য ও ভুলে যায়।
কাদির খান লিখেছেন, ‘সবচেয়ে দুর্ভাগ্যজনক হলো আমরা পাকিস্তানে অতীতের মর্মান্তিক ভুলগুলো থেকে কোনো শিক্ষা নিইনি। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বরে পাকিস্তানের ভেঙে যাওয়া ছিল এমনই একটি ঘটনা। লাখ লাখ পাকিস্তানি ওই বিয়োগান্ত ঘটনার কারণ সম্পর্কে পুরোপুরি সচেতন। কিন্তু মনে হচ্ছে, বেদনাদায়ক অভিজ্ঞতা সত্ত্বেও আমাদের শাসকগোষ্ঠী ও প্রভাবশালী শ্রেণী এ ব্যাপারে অচেতন।’
নিবন্ধটিতে কাদির খান আরও উল্লেখ করেছেন, ১৯৭১ সালে লাখ লাখ মানুষ হত্যা করা হয়েছে, নারীরা ধর্ষিত হয়েছেন, ৯২ হাজার সেনা ও অন্যান্য বাহিনীর সদস্যকে কারাগারে নেওয়া হয়েছে। অথচ এত বড় ধরনের এবং বিয়োগান্ত বিপর্যয়ের জন্য কাউকেই দায়ী করা হয়নি।
১৯৭১ সালের মার্চের প্রসঙ্গ টেনে কাদির খান বলেছেন, ‘আমরা জানি, ১৯৭১ সালের মার্চে জেনারেল ইয়াহিয়া খান “অভ্যুত্থানকারীদের” নির্মূলের জন্য জেনারেল টিক্কা খানকে পূর্ব পাকিস্তানে পাঠিয়েছিলেন। আমরা দেখেছি, আমাদের সেনাবাহিনী আমাদের মানুষদেরই হত্যা করছে। এটা সবারই জানা, সর্বময় ক্ষমতা পেলে মানুষ নৃশংস হয়ে ওঠে।’
১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নৃশংসতা সম্পর্কে কাদির খান লিখেছেন, ‘বিদেশি টেলিভিশনে ওই ঘটনার চরম বীভত্স দৃশ্য দেখানো হয়েছে (আমি তখন বেলজিয়ামে ছিলাম)। মুসলমানদের বিরুদ্ধে মুসলমান, পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে পাকিস্তানিরা এমন এই নৃশংস অপরাধ সংঘটিত করতে পারে, তা দেখে আমি লজ্জিত হয়েছি। এ বিষয়টি সবাই জানে, পশ্চিম পাকিস্তানের বাবুরা পূর্ব পাকিস্তানকে তাদের একটি উপনিবেশ হিসেবে বিবেচনা করত। ব্রিটিশরা আমাদের সঙ্গে যে আচরণ করত, সেখানকার (পূর্ব পাকিস্তানের) নাগরিকদের সঙ্গে তারা একই ব্যবহার করত।’
পাকিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে দেশটির এই পরমাণুবিজ্ঞানী বলেন, পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী এবং প্রভাবশালীরা এখনো ভ্রান্তির মধ্যে আছেন। তখনো (১৯৭১ সাল) তাঁরা বিরোধীদের নির্মূল করতে পারেন বলে মনে করেছেন, এখনো করছেন।
কাদির খান বলেন, ‘আমরা ভাড়াটে সৈনিকদের চেয়ে খুব একটা ভালো আচরণ করছি না। সামান্য অর্থের জন্য আমরা আমাদের মানুষদের হত্যা করছি। আমরা ভুলে গেছি, কীভাবে আমাদের সীমান্ত ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা যায়।’
(Copy Paste)
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১২ বিকাল ৫:০৭
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…

লিখেছেন বিচার মানি তালগাছ আমার, ০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০০



১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায় কারো হাত না ধরে (ছবি ব্লগ)

লিখেছেন জুন, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৯

ঐ নীল নীলান্তে দূর দুরান্তে কিছু জানতে না জানতে শান্ত শান্ত মন অশান্ত হয়ে যায়। ১৯২৯ সালে রবার্ট মোস নামে এক ব্যাক্তি লং আইল্যান্ড এর বিস্তীর্ণ সমুদ্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ অপেক্ষা

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২৩



গরমের সময় ক্লাশ গুলো বেশ লম্বা মনে হয়, তার উপর সানোয়ার স্যারের ক্লাশ এমনিতেই লম্বা হয় । তার একটা মুদ্রা দোষ আছে প্যারা প্রতি একটা শব্দ তিনি করেন, ব্যাস... ...বাকিটুকু পড়ুন

×