গতবার যখন সিম রেজিষ্ট্রেশন শুরু হয় তখন আমার কাছে ছবি ছিলো না, পাশের স্টুডিও থেকে কার যেন ছবি এনে নিবন্ধনের কাজটা শেষ করলাম।সম্ভবত সাথে সাথে ১০০ টাকার টকটাইম পেলাম। আহা কি মজা। সিম রেজিস্ট্রেশনের সকল দুই নম্বর উপায় আমাদের জানা আছে।
এবার শুরু হলো একটু ভিন্ন উপায়ে, আঙ্গুলের ছাপ লাগবে। আমার প্রশ্ন হলে কাকে বিশ্বাস করে আঙ্গুলের সাপ দেবো? আমি তো বর্তমান বা অতিতের কোন সরকার ব্যবস্থাকে বিশ্বাস করি না। সুযোগ বুঝে আমাকে ব্লাক মেইল করা হবে না এর গ্যারান্টি কে দেবে?
কিছুদিন আগে নিজেদের স্বার্থে সারা দেশে সোসাল মিডিয়া বন্ধ ছিলো, শুধুমাত্র নিজের স্বার্থে ভুলে গিয়েছিলো ১৬ কোটি মানুষকে। আর আজ যা হচ্ছে তা কি জনগনের জন্য নাকি বিরোধী দলকে আটনাকোর প্রতেযোগীতা? এভাবে অনেক প্রশ্নই মাথায় আসে কিন্তু উত্তর খুজে পাই না।
এবারও সকল সিম রেজিস্ট্রেশন হবে কিন্তু আমি শিওর তার ৪০ শতাংশই হবে ভুয়া নিবন্ধন।বাঙ্গালীর কাছে সকল উপায়ই জানা আছে। শুধু যে ধারনা তা নয়, নিবন্ধন শেষে আমার কথার সত্যতা খুজে দেখলে বুঝতে পারবেন। আমার আরো বিশ্বাস, এসব কিছু শুধু নাটকিয় আসল উদ্দেশ্য রাজনৈতিক হয়রানী। একদল আর দলকে স্বর্বশান্ত করবে আর মাঝখানে পিশে মরবো আমরা ১৬ কোটি সাধারন মানুষ।আমি কাউকে বিশ্বাস করতে পারি না , আমার আঙ্গুলের সাপে যে অন্যকারো সিম নিবন্ধন হবে না তার গ্যারান্টি কে দেবে?
ভূয়া সিম নিবন্ধনের জন্য আমরা যে কেউ হতে পারি ষরযন্ত্রের শিকার। হঠাৎ একদিন সকাল বেলা পুলিশ এসে বলবে ইউ আর আন্ডার অ্যারেষ্ট। থানায় চলুন। সত্য মিথ্যা পরে হবে, মাস খানেক আগে জেল খাটুন, জিল থেকে ছাড়া পেতেও পকেট থেকে চলে যাবে লক্ষ লক্ষ টাকার ঘুষ।
যা ইচ্ছা তাই নিয়ম চালু করার আগে একবার হলেও দেশের জনগন নিয়ে ভাবুন। জনগন আপনাদের ক্ষমতায় বসিয়েছেন নিজেরা ভালো থাকবো বলে আপনাদের হাতে বলি হতে নয়।
সঠিক তদন্তের মাধ্যমে দেশে সিম রেজিস্ট্রেশন হোক এটা আমাদের সবার প্রত্যাশা।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:২৫