শহীদ ল্যান্স নায়েক বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ তৎকালীন ঈষ্ট পাকিস্থান রাইফেলস এ সৈনিক হিসাবে যোগদান করেন। ১৯৭১ সালে এপ্রিল মাসে ৮ম ঈষ্ট বেঙ্গলের একটা অংশ এবং তৎকালীন পাকিস্থান রাইফেলস এর কিছু সদস্য পার্বত্য চট্টগ্রামে হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধকালে মুন্সী আব্দুর রউফ কোম্পানীর মেশিন গানার হিসাবে রাঙামাটি মহালছড়ি নৌ পথে প্রহারত ছিলেন। কোম্পানীটি বুড়ি ঘাট চিংড়ি খালের পাড়ের প্রতিরক্ষায় নিয়োজিত ছিল। ৮ এপ্রিল, ১৯৭১ শত্রুপক্ষের ২য় কমান্ডো ব্যাটলিয়নের ১টি কম্পানী, ৬টি ৩ ইঞ্চি মর্টার ও ৩ টি লঞ্চ নিয়ে প্রতিরক্ষা এলাকায় ঢুকে পরলে শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ তাঁর নিজের অবস্থান থেকে একাই শত্রুপক্ষের ২ টি লঞ্চ ও একটি স্পীডবোট পানিতে ডুবিয়ে দেন। আচমকা বিপক্ষ মর্টারের গোলার আঘাতে নানিয়ার চড়ের বপকছড়ি নামক স্থানে তিনি শাহাদৎ বরণ করেন। তাঁর অপরিসীম বীরত্ব,সাহসীকতা ও দেশপ্রেমের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাঁকে সর্ব্বোচ সম্মান বীরশ্রেষ্ঠ খেতাবে ভূষিত করে। শহীদ ল্যান্স নায়েক বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফের সমাধি পার্বত্য জেলা রাঙামাটির নানিয়ার চড়ে। স্বাধীনতা অর্জনে মহান এই বীরের আত্মত্যাগ চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
আমাদের বাড়ি থেকে মাত্র ২ মিনিটের পায়ে হাটা পথ এই মহান বীরের বাড়ির দূরত্ব। আমাদের গ্রামে বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফ কলেজ নামে একটা কলেজ আছে। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এছাড়া ঢাকার পিলখানায় বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফ কলেজ নামে আরও একটা কলেজ আছে। আছে সাভার ক্যান্টঃ এ বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফ নামে সুন্দর একটা ত্বোরণ। আরও আছে রাইফেলস স্কোয়ারের কাছে (পিলখানার ভিতরে) বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফ ভিআইপি রোড।
নিজের গ্রামের নাম বলতে সবারই গর্ব হয়। আমার, আমাদের গ্রামের নামের সাথে গর্বটা মনে হয় একটু বেশিই হয়।
সূত্র
বীরশ্রেষ্ট মুন্সী আব্দুর রউফ কলেজ
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই জুলাই, ২০০৭ সকাল ৯:৪২