somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমাদের বিবেক কি দূর্নীতিমুক্ত?

৩০ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:৪২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


Fiction ব্যাপারটা বাংলাদেশের মানুষ খুব পছন্দ করে। বাস্তবের মুখোমুখি হতে এদের ভিষন ভয়। বানানো গল্প, বানানো ইতিহাস, বানানো ঘটনা এরা গিলে গিলে খায়... প্রতি ১০ জন মানুষের ভেতর থেকে খুব কম মানুষই পাওয়া যাবে যারা সত্যিকারভাবে দেশকে ভালোবাসে। দেশপ্রেমিকরা ফিকশনে বসবাস করে না; চরম প্রতিকূলতায়ও এরা অন্যদের সাথে নিজেদের মিশিয়ে দেয় না...। অথচ দু:খের বিষয়, এই দেশে দেশপ্রেমিকরা কেবল বিজ্ঞাপনেই হাতিঘোড়া মারে, বাস্তবে এদের খুঁজে পাওয়াটা দায়...

দেশে এখন চলছে মুক্তিযুদ্ধের হুজুগ। যে যেভাবে পারছে খ্যাতি কামাচ্ছে। দেশপ্রেমটা এখন আর মানুষের বিবেকের বিষয় নয়, এটা এখন বাণিজ্যিক ব্যাপারও বৈকি। জনসভায় যেয়ে দুয়েকটা ছবি তুলে ফেসবুক স্ট্যাটাস দিলেই মুক্তিযোদ্ধা হওয়া যায়!

অতএব, যদি কেউ বলে আমাদের পূর্বপুরুষ নেতারা সবাই (অথবা কিছু সংখ্যাক) ফেলনা ছিলো, ফ্রড ছিলো, দূর্নীতিবাজ ছিলো... তাদেরও একটা বিষয় মাথা রাখতে হবে; তাদের পরবর্তী প্রজন্মের কাছে তারা কি রেখে যাচ্ছে? ফেসবুকের দেশপ্রেম? শাহবাগের দেশপ্রেম? এই দেশপ্রেমটা দেশের কতোটা কাজে লাগছে? চৌমুখি মারামারি, ঘৃনা, ধ্বংস, খুন দেশমাতার গায়ে যে ক্ষত সৃষ্টি করলো সে ক্ষত শুকাতে কতো বছর সময় লাগবে?

যে রাজাকারদের নিয়ে এত হানাহানি সে রাজাকারদের কি রাতের অন্ধকারে পাকিস্থানী কায়দায় ব্যাবস্থা নেয়া যেত না? কিংবা যে জঙ্গী সংগঠন এসবের জন্য দায়ী সেটাকে পুরোপুরি বাংলাদেশ থেকে উচ্ছেদ করা যেত না? সবই হয়তো সম্ভব ছিলো কিন্তু এত শর্টকাটে কাজ সারলে দেশপ্রেমের প্রসার/ প্রচার হতো কিভাবে? তাই সবাই মিলেঝুলে দেশপ্রেমের লাড্ডু ভাগাভাগি করার মোক্ষম সুযোগ হাতিয়ে নেয়াটাই উত্তম!

দেশটার কথা যখনই চিন্তা করি মনটা খারাপ হয়ে যায়। দেশের জনগণ দিন দিন হিংস্র হয়ে যাচ্ছে। সবচেয়ে বড় কথা মানুষ মানুষকে যখন তখন খুন করে ফেলছে, সহজেই! এই দেশের মানুষের রক্তে রক্তে দূর্নীতির বীজ রোপন হয়ে গেছে। এই বীজ ঠিক কতো বছর পর আমাদের রক্ত থেকে বিদায় হবে কে জানে! প্রতিটি সেক্টরে দূর্নীতি, সরকার করছে, মন্ত্রী মিনিষ্টার করছে, জনগণ করছে, এমনকি পাগলও করছে...। সবচেয়ে ভয়ঙ্কর বিষয় হলো; মানুষ আগে দূর্নীতি করলে তাদের বিবেক হয়তো অনুশোচনা করতো। কেউ কেউ বিবেকের দংশনে আত্মহত্যাও করতো। এখন বিষয়টা বদলে গেছে। তাদের বিবেক আজ দূর্নীতিগ্রস্ত, অনুশোচনা করার কিছু অবশিষ্ট নেই।

ন্যাপলিয়ন বলেছিলেন, "তোমরা আমাকে একজন শিক্ষিত মা দাও, আমি তোমাদের একটা শিক্ষিত জাতি উপহার দেব।" তিনি এই সময়ে বাংলাদেশে জন্মালে বলতেন, "আমাকে একজন দূর্নীতিমুক্ত মা দাও, আমি তোমাদের একটি দূর্নীতিমুক্ত জাতি উপহার দেব!"।

সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৭
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিনেতা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৫



বলতে, আমি নাকি পাক্কা অভিনেতা ,
অভিনয়ে সেরা,খুব ভালো করবো অভিনয় করলে।
আমিও বলতাম, যেদিন হবো সেদিন তুমি দেখবে তো ?
এক গাল হেসে দিয়ে বলতে, সে সময় হলে দেখা যাবে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

তাবলীগ এর ভয়ে ফরজ নামাজ পড়ে দৌড় দিয়েছেন কখনো?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:২৬


আমাদের দেশের অনেক মসজিদে তাবলীগ এর ভাইরা দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দিয়ে থাকেন। তাবলীগ এর সাদামাটাভাবে জীবনযাপন খারাপ কিছু মনে হয়না। জামাত শেষ হলে তাদের একজন দাঁড়িয়ে বলেন - °নামাজের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×