সমুদ্র সাঁতারে অবলীলায় যাওয়ার জন্য গাঙচিলের আপত্তি ছিল না । সমুদ্রের বুকের উপর দিয়ে অথবা নীল জলরাশির উপর ডানা মেলে উড়ে যেতো দূর থেকে বহুদূরে। হয়তো যখন ক্লান্তি ধরে আসতো খুঁজে নিতো কোন জাহাজের পাটাতনে খানিক একটু আশ্রয়। মাঝ সমুদ্র থেকে উড়ে যেতে যেতে নীল আকাশের সাথে সন্ধি করে ফেলতো। একটু একটু করে আকাশের ঠিকানায় পৌঁছে যেতো। আবার একটু একটু করে নীল জলের কন্যার ভালোবাসায় নীচে নেমে আসতো। আর একটু একটু দীর্ঘায়িত দ্বিপ্রহরের রোদ্দুরকে আপন করে নেওয়ার আপ্রান চেষ্টায় সে অবিরত থাকতো।
দ্বিপ্রহরের রোদ্দুরের ভালোবাসায় নিজেকে উড়িয়ে দিতো গাঙচিল ডানা মেলে। পালকের ভাঁজে ভাঁজে দেহের সবটুকু জায়গায় রোদ শুষে নিতো সে। মাঝে মাঝে অভিমান করতো যেদিন মেঘে ঢেকে দিতো দ্বিপ্রহরের রোদ্দুরকে। হয়তো ভাবতো , আজ সে মেঘের বালিকা হয়েই আসবে। তাই তো সমুদ্রের নীল জলরাশির উপর দিয়ে সাঁই সাঁই করে উড়ে যাওয়া। কিন্তু সে মেঘ বালিকা হয়ে ধরা দেয়নি গাঙচিলের কাছে। সে বৃষ্টি বিলাসী হয়ে ভিজিয়ে দিয়েছে। উড়ে যেতে যেতে সমুদ্রের নীল জলরাশির সুরে সুরে যখন বৃষ্টিধারা নামতো, তখন বড্ড খারাপ লাগতো গাঙচিলের। সমুদ্র সুর পেলো বৃষ্টিস্নাত, আর গাঙচিলের পেলো শুধুই ভিজে যাওয়া। পরক্ষনেই সে বৃষ্টি থামিয়ে দিয়ে ফিকে হাঁসি দিয়ে যখন দিকে তাকিয়ে থাকতো, তখন হয়তো সব অভিমান ভেঙে যেতো গাঙচিলের।
এতোটা ভিজে যাওয়ার পর এতোটা রোদ্দুরে ভালোবাসা কে বুঝে কখন দিয়েছিল গাঙচিলকে ! কেউ তো দেয়নি। আরও একবার উড়ে উড়ে ঘুরে ঘুরে দ্বিপ্রহরের রোদ্দুরে গাঙচিল।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



