আজ সবাই ধার্মিক হয়ে গেল।এক ট্যাবে পর্ণ সাইট অন্য ট্যাবে সোনার বাংলায় ব্লগিং করে মানুষ এত ধার্মিক হয়ে গেল? আমরা কি আগে ধার্মিক ছিলাম না?
আমরা কেন একটা জিনিস বুঝিনা যে ধর্মকে রাজনীতিবিদরা স্রেফ রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে ব্যবহার করছে।আজ এরশাদ যখন বলে সে ইসলামের খেদমতের জন্য ক্ষমতায় আসতে চায় তখন আর বুঝার বাকি থাকেনা আমাদের ধর্ম আজ কোনদিকে যাচ্ছে।
বাংলাদেশের এমন কোন ধর্মভীরু মানুষ নেই যাকে ইবাদত করতে সুযোগ দেয়া হয়না।আজ সবাই নতুন করে হেফাজতের ১৩ দফার জন্য উঠে পরে লাগছে।কি ফল আসবে? কি ফুল ধরবে গাছে?হেফাজতের ১৩ দফা না মানলে কি আমরা বেহেশতে যেতে পারছিনা?
দেশটা এক আফগানিস্থান হবে।৩০ থেকে ৪০ বছর আগের আফগান অনেক আধুনিক এক আফগান ছিল।নারীরা সব দিক থেকে এগিয়ে ছিল।তারা বিশ্বের বুকে মাথা উচু করে সবে দাড়াতে গিয়েছিল।কিন্তু সেই একই ভাবে ধর্মকে রাজনৈতিক ভাবে ব্যবহার করে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে একটা সভ্যতা কে।আফগানরা যতই যুক্তরাষ্ট্রকে দোষারোপ করুক না কেন তাদের ধর্মান্ধরাই দেশটাকে তুলে দিয়েছে এক অতল গহ্বরে।
আমাদের ভবিষ্যৎ কি?আমরা কোন পথে যাচ্ছি? আজ আমরা নতুন করে আবার ধার্মিক হবো?বিজ্ঞান পড়া বন্ধ হয়ে যাবে? বন্ধ হয়ে যাবে জ্ঞান চর্চা?আমরা শতভাগ মুসলমানের দেশ হয়ে যাবো? অতঃপর শতভাগ সুন্নির দেশে যাবো?আমরা কোথায় থামবো?
মাদ্রাসায় আধুনিক বিজ্ঞান পড়ানো হয়না।কারন তাদের ভয় বিজ্ঞান পড়লেই না জানি নাস্তিক হয়ে যাই।তাদের কি করে বুঝাব যে কত কত ইঞ্জিনিয়ার ডক্টরেট ডিগ্রিধারী মানুষ জ্ঞানের চর্চা করে যাচ্ছে সাথে ধর্ম পালন করে যাচ্ছে।
তাদের কি দোষ?আপনি আমি তো মাদ্রাসায় পড়িনা।মাদ্রাসায় পরে এক শ্রেণীর সুবিদাবঞ্চিত শ্রেণী।যারা বিভিন্ন দানের টাকায় পড়াশোনা করে।তাদেরকে যেভাবে বলে দেয়া হয় তারা সেভাবেই চলবে।মাদ্রাসা থেকে বের হয়ে কয়জনইবা তারেক মাসুদ হবে? তাদের মেধা মনন তো সেই ছোটবেলাতেই তিলে তিলে শেষ করে দেয়া হয়।এই সমাজের প্রচলিত ভাল ভাল চাকরী তাদের সাথে মানানসই হয়না।তাই এই স্বাধীনতা ধর্মনিরপেক্ষতা সমাজতন্ত্র গনতন্ত্র তাদের টানবেনা তাই স্বাভাবিক।আমরা পড়ার জন্য যখন পাই ল্যাপটপ তারা বেশি হলে পায় একটা জিহাদি বই।
মানিকগঞ্জে যখন কয়েকজন পুলিশের গুলিতে মারা গেল তখন তাদের এলাকার কয়েকজনকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল আপনারা কেন আন্দোলন করেছিলেন?
-মহানবীর কটূক্তির প্রতিবাদে করছি।
-মহানবীর কটূক্তি কোথায় হয়েছে?
-হেইদা জানিনা।তবে শুনছি।
হা তিনি শুনেছেন এবং সাথে সাথেই প্রভাবিত হয়েছেন।এবং আরও কয়েকজন নিজেকে কমদামী লাশে পরিণত করেছেন।
তারা ব্লগে এসে কখনও দেখেনা এখানে কি হয়।ব্লগে কি প্রতিবাদ হয়না? ধর্মের অবমানিরকারিরা কি সহজে পার পায় ব্লগে? যুক্তিহীন কথা যে বলে সে সব সময় দৌড়ের উপর থাকে।
এ কথা কে কাকে বুঝাবে?
লাশ কোন সমাধান না।নিজের প্রতিবাদের ভাষা কি হওয়া উচিত তা আপনি নিজ থেকেই ঠিক করে নিবেন।ধর্মের কটুক্তিকারীদের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালাতে চান যদি তবে তা হতে হবে অহিংস এবং মনে রাখতে হবে তা যেন দেশের গায়ে একটুও স্পর্শ না লাগে।
"দাম দিয়ে কিনেছি বাংলা,কারও দয়ায় পাওয়া নয়"
আপনি ৪ নাস্তিকের ফাসি দিবেন কিন্তু পিছন থেকে এক দল বাংলাদেশকেই ফাঁসিতে ঝুলাতে চাইবে আপনি বুজতেও পারবেন না।কারন এখানে রাজনীতি হয় ক্ষমতার রাজনীতি।এ রাজনীতি মানুষের জন্য না।
আমার বাংলার সংস্কৃতি ২ দিনের কোন সংস্কৃতি না।বাংলার মাটি কোন মহাদেশ থেকে কেজি দরে নিয়ে আশা হয়নি।রক্তের বিনিময়ে পাওয়া এই দেশ।