somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সবজি হিসেবে লাউ ও লাউয়ের উপকারিতা

১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১:৫২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



লাউ বা কদু (ইংরেজি: bottle gourd বা white-flowered gourd) (বৈজ্ঞানিক নাম: Lagenaria siceraria) শীতকালীন সবজিগুলোর মধ্যে অন্যতম। লাউ এক প্রকার লতানো উদ্ভিদ যা এর ফলের জন্যে চাষ করা হয়। যা কিনা কাঁচা অবস্থায় সবজি হিসেবে খাওয়া হয়, আর পরিপক্ব অবস্থায় শুকিয়ে এটি বোতল, পাত্র বা নল হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এ কারণেই লাউ এর ইংরেজি নাম হয়েছে bottle gourd। কচি লাউয়ের রং হালকা সবুজ, ভেতরে সাদা রঙের শাঁস। লাউকে আঞ্চলিক ভাষায় কদু বলা হয়। চট্টগ্রাম এর আঞ্চলিক ভাষায় জাইত হদু বলা হয়। লাউ পৃথিবীর অন্যতম পুরনো চাষ হওয়া সবজি, এর জন্ম আফ্রিকায়। লাউ একটি ধ্বনি পরিবর্তিত শব্দ, যার মূল শব্দ 'অলাবু'। লাউকে কোন কোন স্থানে আঞ্চলিক ভাষায় কদু বলা হয়। লাউ সবজি হিসেবে খাওয়া হয়। শুধু লাউ নয়, লাউয়ের পাতা, লতা এমনকি লাউয়ের বাকলও খাওয়া যায়।

***মোরগের মাংস, খাসির মাংস ও গরুর সিনা দিয়ে লাউয়ের রান্না তরকারি অত্যন্ত উপাদেয়” প্রিয় নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পছন্দের সবজি লাউ। লাউ যে স্বাস্থ্যের জন্য দারুন উপকারী একটি সবজি এবং আধুনিক বিজ্ঞানের সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম গবেষনায় তার পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য আমাদের সামনে যদিও এখন বিদ্যমান কিন্তু প্রায় দেড় সহস্রাধিক বছর পূর্বে এমন গবেষনার অস্তিত্ব যখন কল্পনার অতীত ছিল তখনই এই সবজিটি আগ্রহভরে খেতেন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। এ সম্পর্কিত একটি হাদিস উদ্ধৃত আছে: - আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, একবার একজন দরজি রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে খাবারের দাওয়াত করেন। আমিও মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সঙ্গে সেই খাবারে অংশগ্রহণ করি। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সামনে বার্লির রুটি এবং গোশতের টুকরা ও লাউ মিশ্রিত ঝোল পরিবেশন করা হয়। আমি দেখেছি, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্লেট থেকে খুঁজে খুঁজে লাউ নিয়ে খাচ্ছেন। আর আমিও সেদিন থেকে লাউয়ের প্রতি আসক্ত হয়ে উঠি। -মুসলিম, হাদিস : ২০৪১ (সংগ্রহ ও মন্তব্য - ব্লগার নতুন নকিব ভাই)***

লাউ আমাদের দেশের একটি জনপ্রিয় তরকারি। লাউ একই সঙ্গে সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর একটি সবজি। ঝোল, লাবড়া, নিরামিষ, ভাজি কিংবা সালাদ হিসেবেও খাওয়া যায় এই তরকারি। চিংড়ি, টেংরা, শিং, আইড়, বোয়াল, ইলিশ ও শোল মাছ দিয়ে রান্না লাউ অমৃতসম তরকারি ও লাউয়ের ব্রান্ড রেসিপি। এছাড়া বড় মাছের মাথা দিয়ে লাউয়ের তরকারি খুবই জনপ্রিয়। লাউয়ের বাকল কুচি করে কেটে আলু ভাজির মতো করে ভাজি করে খেতে সুস্বাদু। আর লাউ গাছের পাতা লতা দিয়ে শাক ভাজি সমগ্র বাংলাদেশে অত্যন্ত জনপ্রিয় ও পাতার স্যুপ, ভর্তাও অতুলনিয় স্বাদ। যে কোনো রোগীর পথ্য হিসেবে লাউয়ের ঝোল ঔষধের মতো কাজ করে।



USDA নিউট্রিয়্যান্ট ডেটাবেস অনুযায়ী, 100 g লাউয়ের রসে নিম্নলিখিত পুষ্টি থাকে
পুষ্টি প্রতি 100 g এ মূল্যমান

জল - 95.4 g
শক্তি - 14 kcal
প্রোটিন - 0.62 g
কার্বোহাইড্রেট - 3.39 g
ফাইবার বা তন্তু - 0.5 g
স্নেহ পদার্থ - 0.02 g

খনিজ পদার্থ
ক্যালসিয়াম - 26 mg
লোহা - 0.2 mg
ম্যাগনেসিয়াম - 11 mg
ফসফরাস - 13 mg
পটাসিয়াম - 150 mg
সোডিয়াম - 2 mg
দস্তা - 0.7 mg

ভিটামিন
ভিটামিন - B1 0.029 mg
ভিটামিন - B2 0.022 mg
ভিটামিন - B3 0.32 mg
ভিটামিন - B6 0.04 mg
ভিটামিন - B9 6 µg
ভিটামিন - C 10.1 mg

চর্বি/ফ্যাটি অ্যাসিড
সম্পৃক্ত - 0.002 g
মোনোস্যাচুরেটেড - 0.001 g
পলিস্যাচুরেটেড - 0.009 g



১। লাউয়ে প্রচুর জল থাকে, যা দেহের জলের পরিমাণ ঠিক রাখতে সাহায্য করে। ডায়রিয়া জনিত জলশূন্যতা দূর করতে সাহায্য করে। প্রস্রাবের সংক্রমণজনিত সমস্যা দূর হয়। কিডনির কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। জ্বর, ডায়রিয়া ও অন্যান্য বড় ধরনের অসুখে শরীরে পানির অভাব দেখা দেয়। প্রচুর পরিমাণে পানি বের হয় বলে পানি শূন্যতা দেখা দেয়। এতে কিডনিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। পানি শূন্যতা দেখা দিলেই প্রচুর পরিমাণে লাউয়ের তরকারি খাওয়া উচিত। এতে শরীরের পানি শূন্যতা দূর হয় এবং শরীর সতেজ থাকে।প্রসাবের জ্বালা-পোড়া কমায়, যাদের প্রসাবে জ্বালা-পোড়ার সমস্যা আছে কিংবা প্রসাব হলদে হয় - তাদের নিয়মিত লাউ খাওয়া উচিত। নিয়মিত লাউ খেলে এ ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

২। লাউ খেলে ত্বকের আর্দ্রতা ঠিক থাকে। লাউয়ে প্রাকৃতিক প্রোটিন ও ভিটামিন রয়েছে। তাই ভেতর থেকে ত্বক ভালো রাখতে সাহায্য করে লাউ। ত্বকের তৈলাক্ততা সমস্যা কমাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এ সবজি। লাউ কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে পেট পরিষ্কার করে বলে মুখে ব্রনের প্রবণতাও কমে যায়। চিরাচরিতভাবে ধরে নেওয়া হয় লাউয়ে হজমের পক্ষে লাভদায়ক হয় এবং কোষ্ঠ্যকাঠিন্য দূর করে। এর কারণ হতে পারে যে এটির মধ্যে কিছু পরিমাণ ফাইবার বা তন্তু এবং প্রচুর জল আছে। আপনার খাদ্যের সিংহভাগ হচ্ছে শ্বেত তন্তু, জলীয় উপাদান পরিপাক প্রণালী পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। একযোগে, এগুলি পরিপাক প্রক্রিয়ার সাহায্য করে। এছাড়া, পাইলস-এর অন্যতম কারণ হল কোষ্ঠ্যকাঠিন্য। পেট পরিষ্কার রাখতে নিশ্চিত করে বলে লাউয়ের রস পেটের ওপর চাপ কমায় এবং তার ফলে হেমরয়েডস -এর ঝুঁকি কমে।

৩। উচ্চ রক্তচাপবিশিষ্ট রোগীদের জন্য এটি আদর্শ সবজি। লাউ আমাদের হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এই রসে যে পরিমাণ দস্তা মজুত থাকে তা আমাদের খারাপ কোলেস্টেরল বা LDL কমায় এবং ভাল কোলেস্টেরল বা HDL বাড়াতে সাহায্য করে। এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদানের সঙ্গে আমাদের ধমনীতে প্লাক সঞ্চিত হয়ে যাতে সেগুলি বন্ধ না হয়ে যায় যায় সেদিকেও খেয়াল রাখে। ফলে কার্ডিওভাসকুলার সমস্যার ঝুঁকি কমে। এছাড়া, দস্তা আমাদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, ফলে আমাদের হার্টে কম চাপ পড়ে। ফ্রি র‌্যাডিক্যালজনিত ক্ষতি এবং অক্সিডেটিভ চাপ কমিয়ে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হৃদযন্ত্রের কার্যপ্রণালীর উন্নতি করে। ওজন কমাতে খাবারের তালিকায় প্রথমেই লাউ রাখুন। কম ক্যালোরি সম্পন্ন এই খাবারটিতে ৯৬ শতাংশ পানি রয়েছে। এছাড়া লাউয়ে প্রচুর পরিমাণে ডায়েটারি ফাইবার এবং খুব কম ক্যালোরি থাকে; যা ওজন কমাতে অত্যন্ত সহায়ক। খাবারে স্বাদ নিয়ে আসার পাশাপাশি শরীরে কম ক্যালোরি যুক্ত করবে লাউ।

৪। এই সবজি দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। ইনসমনিয়া বা নিদ্রাহীনতা দূর করে পরিপূর্ণ ঘুমের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। লাউ এর মূল উপাদান পানি। তাই লাউ খেলে শরীর ঠাণ্ডা থাকে। নিয়মিত সূর্যের আলোতে কাজ এবং দীর্ঘ সময় রোদে থাকার পর লাউ তরকারি খেলে শরীর ঠাণ্ডা হয়। শরীরের ভেতরের অস্বস্তি কমে। গরমের কারণে শরীর থেকে যে পানি বের হয়ে যায়- তার অনেকটাই পূরণ করতে পারে লাউ। এতে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকিও কমে।

৫। লাউয়ে রয়েছে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস, যা দেহের ঘামজনিত লবণের ঘাটতি দূর করে। দাঁত ও হাড়কে মজবুত করে। যে কোনও সংক্রমণ বা আঘাতের বিরুদ্ধে আমাদের শরীরের স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া প্রদাহ। যাই হোক, নিয়মিত বা দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ কোনও ভিতরের অসুস্থতার লক্ষণ হতে পারে। কিছু সাধারণ প্রদাহজনিত অসুস্থতার মধ্যে আছে আর্থারাইটিস, বাত বা রিউম্যাটিজম এবং পেট ফাঁপা জাতীয় রোগ। ফোলা, লাল হয়ে যাওয়া এবং ব্যাথা থেকে এই সব রোগে ইঙ্গিত মেলে এবং এর ফলে খুব অস্বাচ্ছন্দ্য বোধ হয়। সুসংবাদ হলো লাউ খেলে ব্যাথা এবং প্রদাহ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। বিভিন্ন প্রাণীর ওপর পরীক্ষা চালিয়ে দেখা গিয়েছে, লাউ খাওয়া হলে ব্যাথা এবং প্রদাহ উল্লেখযোগাভাবে কমে যায় এবং কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায় না। লাউয়ে প্রদাহরোধী গুণাবলীর জন্য এর মধ্যে ভিটামিন-সি এর মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট-এর উপস্থিতি অন্যতম কারণ, যা অক্সিডেটিভ চাপ কমিয়ে প্রদাহ থেকে মুক্তি দেয়।

৬। ক্যালরির পরিমাণ কম থাকায় ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও লাউ যথেষ্ট উপকারী। ডায়েটিং কালেও লাউ ভালো ফল দেয়। যারা ডায়বিটিস আক্রান্ত এবং যাদের এই রোগ হওয়ার ঝুঁকি আছে তাঁদের জন্য নিয়মিত লাউ খুব উপকারী। প্রিক্লিনিক্যাল সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, রক্তে শর্করার আকস্মিক বৃদ্ধি রুখতে এবং ডায়বিটিসের কারণে অগ্ন্যাশয়ের যেসব কোশের কার্যপ্রক্রিয়ার অবনতি হয়েছে তার উন্নতির জন্য লাউয়ের মণ্ড খুব কার্যকরী। শুধু তাই নয়, কার্ডিওভাসকুলার সমস্যা বা ডায়বিটিসের ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি দেখা দিলে, তা কমাতে লাউ খুব উপকারী। এর কারণ লাউয়ের রসে দস্তার উপস্থিতি যা রক্তচাপ এবং রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।.

৭। নিয়মিত লাউ আহারে মুত্রনালীতে সংক্রমণের হার কমে। সংক্রমণের নিরাময়ও এর সাহায্যে করা হয়। লাউয়ে ডায়রেটিক প্রভাব আছে অর্থাৎ আমাদের শরীরের কার্যপ্রণালীতে মুত্রের হার বাড়ায়। যার ফলে শরীর থেকে অতিরিক্ত জল এবং টক্সিন বার হয়ে যায়। এছাড়া ভিটামিন-সি এর মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট-এর উপস্থিতির কারণে বৃক্ক বা কিডনিকে অক্সিডেটিভ ক্ষতির হাত থেকে বাঁচায়।

৮। ওজন কমাতে লাউয়ের রস বেশিরকমভাবে সুপারিশ করা হয় এবং শরীরের বাড়তি মেদ তাড়াতাড়ি ঝরে যায়। দুর্ভাগ্যবশত এ বিষয়ে প্রমাণ সাপেক্ষে সেরকম কোনও কোনও গবেষণা হয়নি। তবুও লাউয়ের কিছু বৈশিষ্ট্য থাকে যা স্থুলত্ব রোধে বা আপনার ওজন কমানোর ক্ষেত্রে সাহায্য করে। প্রথমত, এতে চর্বি কম এবং জলীয় উপাদান খুব বেশি। কাজেই, এটি আপনার কম স্নেহ পদার্থ যুক্ত খাদ্যে হেরফের করবে না বা যখন আপনি খাবারে স্নেহ পদার্থ কম করতে চাইছেন তখন এটি তাতে কোনও চর্বি যোগ করবে না। দ্বিতীয়ত, এটি ভিটামিন -সি সমৃদ্ধ যা শরীরে সার্বিক স্নেহ পদার্থ কম করে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে। স্থুলত্বের এবং শরীর স্থুল হয়ে যাওয়ার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার অন্যতম কারণ হতে পারে ফ্রি র‌্যাডিক্যাল বেড়ে যাওয়া এবং অক্সিডেটিভ চাপ বৃদ্ধি পাওয়া। লাউয়ে যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপস্থিত থাকে তা এই ফ্রি র‌্যাডিক্যাল বার করে দেয়, ফলত স্থুলত্ব এবং তার ক্ষতিকর প্রভাব প্রতিরোধ করে। অবশেষে, এটি রক্ত থেকে টক্সিন বার করে যা বিপাকীয় প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করে এবং ওজন কমায়।

৯। লাউ শাকে প্রচুর আয়রন রয়েছে। রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ এবং লোহিত রক্ত কণিকার সংখ্যা বাড়িয়ে রক্ত তৈরিতে সাহায্য করে। লাউ শাকে উচ্চ মাত্রার ভিটামিন-সি রয়েছে। ঠাণ্ডা এবং যেকোনো ধরনের সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করে ভিটামিন-সি। লাউ শাকে যথেষ্ট পরিমাণে আঁশ থাকে। লাউ শাকের আঁশ কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর করে এবং পাইলস প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। চুলের গোড়া শক্ত করে এবং চুল পেকে যাওয়ার হার কমায়। কোষ্ঠকাঠিন্য, অর্শ, পেট ফাঁপা প্রতিরোধে লাউয়ের রয়েছে সহায়ক গুণাবলি।

১০। ফলিক এসিড সমৃদ্ধ একটি খাবার হলো লাউ শাক। তাই গর্ভস্থ শিশুর স্পাইনাল কর্ড এবং মস্তিষ্কের বৃদ্ধির জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে ফলিক এসিড সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া প্রয়োজন। এর অভাবে গর্ভস্থ শিশুর স্পাইনাল কর্ডের বৃদ্ধি ব্যাহত হয়; ফলে প্যারালাইসিস, মস্তিষ্ক বিকৃতি অথবা মৃত শিশুর জন্ম হতে পারে।



ঔষধিগুণ:
স্বাস্থ্যের উল্লিখিত উপকারিতা ছাড়া লাউয়ের আরও কিছু ঔষধিগুণ ও নিরাময়ের ক্ষমতা আছে। আপনার শরীর এবং স্বাস্থ্য কিভাবে লাউয়ের কারণে উপকৃত হতে পারে তার তালিকা দেওয়া হলো: -

১। বিছে কামড়ালে বিষ তাড়াতে লাউয়ের রস কাজ করে।
২। যাঁরা অ্যাজমা, কাশি, এবং ব্রঙ্কাইটিসে ভুগছেন তাঁদের জন্য এটি উপযুক্ত টনিক ।
৩। লাউয়ের পাতা থেকে যে নির্যাস পাওয়া যায় তা জন্ডিস নিরাময়ে সাহায্য করে।
৪। আমাদের শরীয়ে জলের অভাব হতে দেয় না এবং চাপ কমায়।
৫। লাইউয়ের রসে উপস্থিত ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, দস্তা, তামা, ম্যাঙ্গানিজ ইত্যাদি খনিজ পদার্থ আমাদের হাড় শক্ত করতে সাহায্য করে।
৬। আমাদের মাইগ্রেন থেকে রক্ষা করে।
৭। এটি দাঁতের ব্যাথার উপযুক্ত প্রতিকার।
৮। কৃমির সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
৯। অকালে চুল পেকে যাওয়া বন্ধ করে।
১০। আগুনে পোড়া ত্বকে তাৎক্ষনিক লাউয়ের রস / লাউ পাতার রস অত্যন্ত উপকারী।


উপসংহার: সুস্থ শরীর এবং মনের জন্য সবজি হিসেবে লাউ খুবই উপকারী। এর বহু স্বাস্থ্যোপকারিতা আছে। আপনার খাদ্যতালিকায় লাউ থাকলে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে এবং আপনাকে সুস্থ রাখবে।

লাউপাতার স্যুপ রেসিপি

তথ্যসূত্র: গুগল সার্চ ইঞ্জিন।
কৃতজ্ঞতা স্বীকার: সামহোয়্যারইন ব্লগ কর্তৃপক্ষ। নির্বাচিত পোষ্টে “উক্ত লেখাটি” স্থান দেওয়াতে সামহোয়্যারইন ব্লগ কর্তৃপক্ষকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।






সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:০৫
৪৩টি মন্তব্য ৪৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×