প্রবল তাপদাহে রাজধানী ঢাকা সহ পুড়ছে সমগ্র বাংলাদেশ। ফসলি জমির শস্য পুড়ে যাচ্ছে, আমের মুকুল পুড়ে যাচ্ছে, পুড়ে যাচ্ছে সকল ধরনের শাক ও সবজি। লেবু চিপে হাত ব্যাথা করে। লাউ পাতা পুইশাক লালশাক ডাঁটা শাক সবই পুড়ে যাচ্ছে, পুড়ে যাচ্ছেন মানুষজন গবাদিপশু গৃহপালিত হাঁস মুরগী সহ বন্য পশু পাখি। কৃষক হাহাকার করেন। আমরা এমন এক দুঃসহ অসহনীয় পরিবেশে বসবাস করছি যে বৃষ্টি এখন আমাদের জীবনের মৌলিকা চাহিদা হয়ে দাড়িয়েছে।
সামহোয়্যারইন ব্লগের ব্লগারগণ বিশ্বাস করবেন কিনা জানিনা ? অলৌকিক হোক আর লৌকিক অথবা শুধুমাত্র সময় কাল ঋতুও হতে পারে আমি সঠিক ব্যাখ্যাটি হয়তো দিতে পারবো না। তবে এ কথা সত্যি ৬০ থেকে ৭০ এর দশক এমনকি মাত্র ৯০ দশকের পূর্বেও অর্থাৎ ৮০ এর দশকেও কোনো না কোনো এক শুক্রবার জুম্মা নামাজ শেষ করে আমাদের ফসলি জমিতে সকলকে নিয়ে মৌলানা সাহেব মোনাজাত করতেন। আমরা মোনাজাত শেষ করতে না করতে অঝর বৃষ্টিতে ভিজে সয়লাব হয়ে বাড়ি ফিরতাম। একবার দুইবার না প্রায় প্রতিবছর।
আমি মৌলানা সাহেব নই তারপরও প্রতিদিন প্রার্থনা করি, হে পরম করুণাময় আল্লাহপাক, ইয়া রহমানুর রাহিম, আপনি আপনার রহমতের বৃষ্টি দিয়ে আপনার সকল সৃষ্টিকে রক্ষা করুন। আপনি বিচার দিনের মালিক। আপনি ছাড়া আমাদের চাওয়ার আর কেউ নেই। রোদ্রের তাপে খাদ্য-শস্য, শস্য বীজ, লতা পাতা পুড়ে যাচ্ছে, পুড়ে যাচ্ছে খেটে খাওয়া মানুষের দেহ। আপনার রহমতের জন্য আমরা সকলে প্রার্থনা করছি। আপনি আমাদের দোয়া কবুল করুন। আমীন।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১:৪৪