
আমি প্রায় সময়েই বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করি। আমি সাধারণত বেশ বেলা করেই ঘুম থেকে উঠি, ঘুম থেকে উঠেই মনে মনে প্রার্থনা করি আজ যদি বৃষ্টি হতো, আহারে তপ্ত গরমে কতো কতো মানুষ কষ্ট করছেন! রাতে যখন ঘুমোতে যাই তখনও প্রার্থনা করি “হে মহান ঈশ্বর আপনি বৃষ্টি দিন। যাতে মানুষ শান্তিতে ঘুমোতে পারে”।
আমাদের দেশের সাধারণ মানুষ খাওয়ার কষ্ট করেন, কাপড়ের কষ্ট করেন, খাবার পানি গোসলের পানির কষ্ট করেন, এমনকি ঘুমেরও কষ্ট করেন। তপ্ত গরমের কষ্টে গভীর রাতে অঘুমা মানুষ সড়কে - রেল লাইনে বসে থাকতে দেখেছি অসংখ্য। তাঁদের ঘুম দরকার ছিলো, কারণ পরের দিন ভোর হতে না হতেই মুজুরির জন্য এক মুঠো ভাতের জন্য তাঁদের দৌড় দিতে হবে।
হত দরিদ্র মানুষগুলো বৃষ্টির দিনে কিছুটা অভিনয় করে মুখ কালো করে রাখতে আপ্রাণ চেষ্টা করেন! সেই কালো মুখের আড়ালে লুকিয়ে থাকে বিশাল এক আনন্দ! বৃষ্টির দিনে এই হত দরিদ্র মানুষগুলোর আয় কিছুটা বেশি - আজ যে কোনো কাজ করবেন, অন্যান্য দিনের তুলনায় আজ রোজগার খানিকটা বেশি হবে! দিন শেষে হয়তো কেউ কেউ একটি পোল্ট্রি মোরগ কিনে নিয়ে যান ঝুপড়ি ঘরে। সেই ঘরে হয়তো অপেক্ষা করছেন বৃদ্ধ অসহায় মাতাপিতা, সন্তান আর ছেড়া কাপড়ে জনম দুঃখী স্ত্রী।
আমার মতো হয়তো আরও অনেকই প্রার্থনা করেন “হে মহান ঈশ্বর আপনি বৃষ্টি দিন। যাতে মানুষ শান্তিতে ঘুমোতে পারে, শান্তিতে যেনো বেঁচে থাকতে পারে, শান্তিতে যেনো মরতে পারে”। মহান ঈশ্বর খুশি হয়ে আজ রাজধানী ঢাকা শহরের ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিন এলাকা বৃষ্টির চাদরে মুড়িয়ে দিয়েছেন। মহান ঈশ্বরের বৃষ্টির পানিতে ধুয়ে যাক সকল অকল্যান। আজ বৃষ্টিমুখর দিন।
উৎসর্গ: লেখাটি উৎসর্গ করছি দেশের হত দরিদ্র মানুষদের। যারা - ধর্ম রাজনীতি, গুন্ডা রাজনীতি, দখলদার রাজনীতি সম্পর্কে কিছুই জানেন না। শুধু জানেন কষ্ট করতে যাতে করে এক দুই বেলা - আধা পেট, ভর পেট “ভাত” খেতে পারেন।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ১১:৪২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




