আমাদের দেশের সরকার ,মন্ত্রীরা যে গাধা তার প্রমান আবারও দিল। আসলে অশিক্ষিতরা যদি দেশ চালাই তবে এর চেয়ে বেশি কিছু আশা করা যায় না। মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা জিপিএর ভিত্তিতে, এমন একটি ফালতু সিধান্ত কিভাবে নিল। আসলে তারা এসি রুমের ভেতর বসে বসে কোমল পানি খাই আর এই আবুল মার্কা সিধান্ত নেয়। অনেকটা কাজ নেই তাই খই ভাজার মত।” এবারের ভর্তি পরিক্ষার জন্য নূন্ন্যতম জিপিএ ৮ লাগবে।
আসুন একটা সহজ অঙ্ক করি,
এবার H.S.C পরীক্ষায় শুধু বিজ্ঞান বিভাগে A+ পেয়েছে ২০,০০০এর মত(কমবেশি হতে পারে)। ধরি, এর মাঝে মেডিকেল পরীক্ষা দেবে ১০,০০০ যার মাঝে ডাবল গোল্ডেন কমপক্ষে ৫,০০০ আর দ্বিতীয় বার যারা পরীক্ষা দেবে তাদের মাঝেও ডাবল গোল্ডেন কমহলেও ৩,০০০ এর মত। সর্বমোট ৮,০০০।
এখন আসেন সরকারী মেডিকেল এ সিট ২৮০০-২৯০০। এর মাঝে আবার বিভিন্ন কোটা আছে। সব বাদ দিয়ে সাধারন পরিক্ষাথির জন্য সিট থাকে ২৬০০-২৭০০। তাহলে অনেক ডাবল গোল্ডেন বাদ পড়বে, আর বাকিদের কথা না হয় বাদ দিলাম। আমাদের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী পরীক্ষার আবেদনের যোগ্যতা রেখেছেন ৮পয়েন্ট। এর চেয়ে বললে ভাল হত যারা ডাবল গোল্ডেন তারাই সুধুমাত্র আবেদন করতে পারবে। (অবশ্য তাতেও সমস্যার সমাধান হত না। কারন সিটের বিপরীতে তার সংখাও বেশি। তখন হয়ত বলত আমরা এখন কানামাছি খেলব, মানে লটারী করব
এবার আসি এমন একটা সিধান্তের পেছনে সরকারের কারন কি, যতদুর জানি তারা চাই কোচিং বাণিজ্য বন্ধ করতে। এটা একটা ভাল সিধান্ত। কিন্তু আমার মনে হয় এতে কোচিং বন্ধ হবে না, বরং বাড়তে পারে। আজ যারা মেডিকেল কোচিং করাচ্ছে কাল তারা S.S.C/ H.S.C কোচিং করাবে, তারা সকল বিষয়ে অভিজ্ঞ। এমন একটি সহজ কথা কেন সরকারের (মাথামোটাদের) মাথাতে আসে না
আচ্ছা বলতে পারেন যেসব ছাত্র-ছাত্রী A+ পায় না তারা কি সবাই খারাপ? অনেক খারাপ ছাত্র পরীক্ষার আগে প্রশ্ন আউট/কিছু সাজেশন পড়ে A+পায়, তারা কি আসলেই ভাল? কোনকারনে একজন ভাল ছাত্রের একটা পরীক্ষা খারাপ হতেই পারে আর তাতে যদি সে A+ না পায়, তবে সে খারাপ হয়ে গেল? আমি মনে করি, সরকারের A+ এর নাম্বার ৮০ থেকে বাড়ানো উচিত। আমাদের শিক্ষার মান নাকি আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। কথাটা কতটুকু সত্য? আসলেই কি অনেক বেড়েছে?
সবচেয়ে বড় কথা, আর মাত্র কয়েকদিন পর ভর্তি পরীক্ষা সবার প্রস্তুতি নেওয়া শেসের দিকে। এমন সময় এসব সিধান্ত একটা পরিক্ষার্থির ও পরিবারে জন্য যে কতটা অপ্রিতিকর তা কিভাবে বোঝাব। যারা সরকারীতে ভর্তি হতে পারবে না তারা প্রাইভেট এ যাবে, যদি অনেক টাকা থাকে। আর যার টাকা নাই কিন্তু মেধা আছে সে কোথায় যাবে বলতে পারেন? এই সরকার মনে হয় প্রাইভেট মেডিকেল/ভার্সিটি গুলোরসংখ্যা আরও বাড়াতে চাই। তা না হলে এমন সিধান্ত কিভাবে নেয়। তাদের সিধান্ত নেওয়া উচিত প্রাইভেট মেডিকেল/ভার্সিটি তে ভর্তির ফি প্রসঙ্গে। আর যদি এমন সিধান্ত নিতেই হয় তবে কেন তারা আগে জানাল না? এত দিন কি তারা বসে বসে ঘাস খাচ্ছিল?
পুনশ্চঃ চিরসুখী জন, ভ্রমে কি কখন
কি যাতনা বিষে, বুঝিবে সে কীসে
কভু আশী বিষে দংশেনি যারে।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৫৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



