somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমাদের দেশের সরকার ,মন্ত্রীরা যে গাধা তার প্রমান আবারও দিল।

১২ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৫:৫৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



আমাদের দেশের সরকার ,মন্ত্রীরা যে গাধা তার প্রমান আবারও দিল। আসলে অশিক্ষিতরা যদি দেশ চালাই তবে এর চেয়ে বেশি কিছু আশা করা যায় না। মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা জিপিএর ভিত্তিতে, এমন একটি ফালতু সিধান্ত কিভাবে নিল। আসলে তারা এসি রুমের ভেতর বসে বসে কোমল পানি খাই আর এই আবুল মার্কা সিধান্ত নেয়। অনেকটা কাজ নেই তাই খই ভাজার মত।” এবারের ভর্তি পরিক্ষার জন্য নূন্ন্যতম জিপিএ ৮ লাগবে।

আসুন একটা সহজ অঙ্ক করি,
এবার H.S.C পরীক্ষায় শুধু বিজ্ঞান বিভাগে A+ পেয়েছে ২০,০০০এর মত(কমবেশি হতে পারে)। ধরি, এর মাঝে মেডিকেল পরীক্ষা দেবে ১০,০০০ যার মাঝে ডাবল গোল্ডেন কমপক্ষে ৫,০০০ আর দ্বিতীয় বার যারা পরীক্ষা দেবে তাদের মাঝেও ডাবল গোল্ডেন কমহলেও ৩,০০০ এর মত। সর্বমোট ৮,০০০।

এখন আসেন সরকারী মেডিকেল এ সিট ২৮০০-২৯০০। এর মাঝে আবার বিভিন্ন কোটা আছে। সব বাদ দিয়ে সাধারন পরিক্ষাথির জন্য সিট থাকে ২৬০০-২৭০০। তাহলে অনেক ডাবল গোল্ডেন বাদ পড়বে, আর বাকিদের কথা না হয় বাদ দিলাম। আমাদের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী পরীক্ষার আবেদনের যোগ্যতা রেখেছেন ৮পয়েন্ট। এর চেয়ে বললে ভাল হত যারা ডাবল গোল্ডেন তারাই সুধুমাত্র আবেদন করতে পারবে। (অবশ্য তাতেও সমস্যার সমাধান হত না। কারন সিটের বিপরীতে তার সংখাও বেশি। তখন হয়ত বলত আমরা এখন কানামাছি খেলব, মানে লটারী করব:P:P:P:P)।

এবার আসি এমন একটা সিধান্তের পেছনে সরকারের কারন কি, যতদুর জানি তারা চাই কোচিং বাণিজ্য বন্ধ করতে। এটা একটা ভাল সিধান্ত। কিন্তু আমার মনে হয় এতে কোচিং বন্ধ হবে না, বরং বাড়তে পারে। আজ যারা মেডিকেল কোচিং করাচ্ছে কাল তারা S.S.C/ H.S.C কোচিং করাবে, তারা সকল বিষয়ে অভিজ্ঞ। এমন একটি সহজ কথা কেন সরকারের (মাথামোটাদের) মাথাতে আসে নাX(X(X(। আর কোচিং কি শুধু মেডিকেল পরিক্ষাঋতী করে, অন্যরা করে না? এই নিয়ম যদি করতেই হয় তবে কেন তা ভার্সিটি/ইঞ্জিনিয়ারিং এর ক্ষেত্রে করা হচ্ছে না? সকল বোর্ডের প্রশ্ন এক হয় না, ভিন্ন ভিন্ন। তাই যে ছাত্র ঢাকা বোর্ডে পরীক্ষা দেয় সে যদি অন্য বোর্ডে পরীক্ষা দিত তার রেজাল্ট ভিন্ন হতে পারত। এই সিধান্ত নেওয়ার আগে সকল বোর্ডের প্রশ্ন এক করা উচিত ছিল। তারা বলেছেন এত পরিক্ষার্তির পরীক্ষা নেওয়া কষ্টকর। তাদের জানানোর জন্য বলছি, আমাদের পাশের দেশ ভারতে/নেপালে প্রতি বছর কয়েক লাখ মেডিকেল এ পরীক্ষা দেয়। শুধু তাই নয় মেডিকেল পরবর্তী উচ্চশিক্ষা গুলোও M.C.Q তে হয়, রেজাল্টের ভিত্তিতে নয়। আর সেখানেও লাখ খানেক পরীক্ষা দেয়। আমাদের এখানে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা দেয় কয়েক হাজার। আর এতেই আপনারা হাপিয়ে উঠলেন! সত্যিই আবারও প্রমান করলেন আমরা বড়ই আরাম প্রিয় জাতি। আর এ জন্যই আমাদের উন্নতির রেখা বোধহয় মাধ্যাকর্ষন শক্তি মেনে চলে।/:)/:)/:)

আচ্ছা বলতে পারেন যেসব ছাত্র-ছাত্রী A+ পায় না তারা কি সবাই খারাপ? অনেক খারাপ ছাত্র পরীক্ষার আগে প্রশ্ন আউট/কিছু সাজেশন পড়ে A+পায়, তারা কি আসলেই ভাল? কোনকারনে একজন ভাল ছাত্রের একটা পরীক্ষা খারাপ হতেই পারে আর তাতে যদি সে A+ না পায়, তবে সে খারাপ হয়ে গেল? আমি মনে করি, সরকারের A+ এর নাম্বার ৮০ থেকে বাড়ানো উচিত। আমাদের শিক্ষার মান নাকি আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। কথাটা কতটুকু সত্য? আসলেই কি অনেক বেড়েছে?

সবচেয়ে বড় কথা, আর মাত্র কয়েকদিন পর ভর্তি পরীক্ষা সবার প্রস্তুতি নেওয়া শেসের দিকে। এমন সময় এসব সিধান্ত একটা পরিক্ষার্থির ও পরিবারে জন্য যে কতটা অপ্রিতিকর তা কিভাবে বোঝাব। যারা সরকারীতে ভর্তি হতে পারবে না তারা প্রাইভেট এ যাবে, যদি অনেক টাকা থাকে। আর যার টাকা নাই কিন্তু মেধা আছে সে কোথায় যাবে বলতে পারেন? এই সরকার মনে হয় প্রাইভেট মেডিকেল/ভার্সিটি গুলোরসংখ্যা আরও বাড়াতে চাই। তা না হলে এমন সিধান্ত কিভাবে নেয়। তাদের সিধান্ত নেওয়া উচিত প্রাইভেট মেডিকেল/ভার্সিটি তে ভর্তির ফি প্রসঙ্গে। আর যদি এমন সিধান্ত নিতেই হয় তবে কেন তারা আগে জানাল না? এত দিন কি তারা বসে বসে ঘাস খাচ্ছিল?X(X(X( । এই সিধান্ত সামনের বছর থেকে চালু করা যেতে পারে, এই বছর থেকে কখনই নয়।

পুনশ্চঃ চিরসুখী জন, ভ্রমে কি কখন
কি যাতনা বিষে, বুঝিবে সে কীসে
কভু আশী বিষে দংশেনি যারে।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৫৫
১৬টি মন্তব্য ৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পানির অপচয় রোধ: ইসলামের চিরন্তন শিক্ষা এবং সমকালীন বিশ্বের গভীর সংকট

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৪৬

পানির অপচয় রোধ: ইসলামের চিরন্তন শিক্ষা এবং সমকালীন বিশ্বের গভীর সংকট



পানি জীবনের মূল উৎস। এটি ছাড়া কোনো প্রাণের অস্তিত্ব সম্ভব নয়। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তা'আলা ইরশাদ করেন:

وَجَعَلۡنَا... ...বাকিটুকু পড়ুন

মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫….(৭)

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৭

ষষ্ঠ পর্বের লিঙ্কঃ মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫-….(৬)

০৬ জুন ২০২৫ তারিখে সূর্যোদয়ের পরে পরেই আমাদেরকে বাসে করে আরাফাতের ময়দানে নিয়ে আসা হলো। এই দিনটি বছরের পবিত্রতম দিন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদিকে shoot করে লাভবান হলো কে?

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:২৪


শরিফ ওসমান হাদি যিনি সাধারণত ওসমান হাদি নামে পরিচিত একজন বাংলাদেশি রাজনৈতিক কর্মী ও বক্তা, যিনি জুলাই গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে গঠিত রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র হিসেবে পরিচিত। তিনি ত্রয়োদশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আধা রাজাকারি পোষ্ট ......

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৬


আমি স্বাধীন বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছি। আমার কাছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, বা পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে আজকের বাংলাদেশের তুলনা—এসব নিয়ে কোনো আবেগ বা নস্টালজিয়া নেই। আমি জন্মগতভাবেই স্বাধীন দেশের নাগরিক, কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা কেন ভারতীয় বাহিনীকে বাংলাদেশে দীর্ঘদিন রাখেনি?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:২০



কারণ, কোল্ডওয়ারের সেই যুগে (১৯৭১সাল ), আমেরিকা ও চীন পাকিস্তানের পক্ষে ছিলো; ইন্দিরা বাংলাদেশে সৈন্য রেখে বিশ্বের বড় শক্তিগুলোর সাথে বিতন্ডায় জড়াতে চাহেনি।

ব্লগে নতুন পাগলের উদ্ভব ঘটেছে;... ...বাকিটুকু পড়ুন

×