somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সেবা হোক বিজয়ের উল্লাস

৩০ শে নভেম্বর, ২০১০ রাত ৮:৩৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

" আপনার আনন্দ প্রকাশের মাধ্যম কি?"

আনন্দের মাত্রা আর বিষয়ের উপর নির্ভর করে সেটার উত্তর এক একজনের এক এক রকম হবে।

যে আনন্দের সাথে জড়িত থাকে অনেক স্বপ্ন, সাধনা সেই আনন্দের মাত্রাও যেন অনেক অনেক বেশি।

আবার, যখন আপনার উল্লাসের সাথে আরো অনেকের উল্লাস একসাথে মিশে যায় তখন সে মাত্রা বেড়ে যায় অনেকগুন!

স্কুল-কলেজে রেজাল্টের সময়, ক্রিকেটে বাংলাদেশের কোন জয়ের সময় খেয়াল করেছেন মানুষের আনন্দ কতগুন বেড়ে যায়!!

তাহলে, একবার ভাবুন তো যে আনন্দের সাথে মিশে আছে কোটি মানুষের আবেগ, প্রাণখোলা হাসি, বুক ফাটা কান্না.......
কেমন হবে তার বহি:প্রকাশ!?
কতটা জোরালো হবে সে উল্লাস ধ্বনি!!
সামনেই আসছে ১৬ ডিসেম্বর। আমাদের বিজয় দিবস।
বিজয়ের আনন্দে ভেসে যাওয়ার মত একটি দিন।

সমাজের সব পেশার, সব বয়সের মানুষের জন্য এমন বিজয়ের উপলক্ষ আর কয়টি আছে?
সেটা আবার পালিত হয়ে আসছে ৩৯ বছর ধরে !

এমন একটি দিনে আনন্দ প্রকাশের মাধ্যম কেমন হওয়া উচিত?
অবশ্যই যেন-তেন ভাবে সেটা প্রকাশ করা যায়না।
তার জন্যই তো আমরা আয়োজন করি নানা অনুষ্ঠানের।

কিন্তু এই সব অনুষ্ঠানে কতটা প্রতিফলিত হয় সেই সব মানুষের চেতনা, যাদের কারণে এই উপলক্ষ আমরা পেয়েছি??
................................................................................................................

নয় মাসের যুদ্ধের ফসল এই স্বাধীনতা।

যারা নিজের জীবন বাজি রেখে যুদ্ধে গিয়েছিলেন, তাঁরা কি জানতেন যে নয় মাসেই যুদ্ধ শেষ হয়ে যাবে???
আদৌ যুদ্ধ শেষ হবে কিনা! আদৌ তিনি ফেরত আসতে পারবেন কিনা!
এত অনিশ্চয়তার মাঝেও কেন গেলেন?? কতটা দেশপ্রেম থাকলে, মায়ের জন্য কতটা ভালোবাসা থাকলে এভাবে যুদ্ধে যাওয়া যায়? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে শ্রদ্ধায় মন ভরে যায়।

"তীর হারা এই ঢেউয়ের সাগর, পাড়ি দিবো রে"
চোখ বুজে একবার কল্পনা করে দেখুন তো এমন একটা পরিস্থিতির কথা। !
তাঁদের সেই চেতনার সাথে আপনার, আমার চেতনার দূরুত্ব অনেক বেশি।
দেশের সেবার করার জন্য তাঁরা নিজের রক্ত বিলিয়ে দিতে কুন্ঠা বোধ করেননি। আর আমরা??

আসুন, যে মহান বীরদের জন্য আমাদের এই বিজয় পেয়েছি, সেই বিজয়ের দিনে আমরা দেশের সেবায় নিজেদের নিয়োজিত করি।

গতানুগতিক পোস্টের মত আমার এই পোস্ট এখানেই শেষ নয়। বরং শুরু।
....................................................................................
কিভাবে করবেন দেশের সেবা??

সেবা করার কাজটি খুব একটা কঠিন না। এজন্য বাঘ-ভাল্লুক শিকার করতে হবে না।একটা জঙ্গল কেটে লোকালয় বানাতে হবে না।

ছোটখাট অনেক কাজ করেও দেশের সেবা করা যায়। এমন কাজ, আপনার সামনে যা হয়তো কখনো সেবামূলক কাজ হিসেবে কেউ উপস্থাপন করেনি।

সেবার কাজটি কত আনন্দদায়ক আর সহজ সেটা আমাদের সামনে তুলে ধরেছে কমিউনিটিঅ্যাকশন (CommunityAction)1di (One Degree Initiative)

কেমন ধরনের সেবা:
█ সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য এলাকার সবাই মিলে কিছু করতে পারেন।
█ আপনার গ্রামে বা আশেপাশের কোন স্কুলে লাইব্রেরী স্থাপন করে দিতে পারেন
█ বন্ধু-বান্ধব সবাই মিলে রক্ত দান কর্মসূচীতে যোগদান করতে পারেন।
█ সামনেই আসছে শীতের দিন। আপনার বাড়ির চারপাশে একটা মানুষও যেন এমন না থাকে, যিনি শীতে কষ্ট পাবেন-- এই লক্ষ্যে কাজ করতে পারেন।
█ যাদের সামর্থ্য আছে, তারা নলকূপ স্থাপন করে দিতে পারেন, যেখানে মানুষ পানির জন্য কষ্ট করছে।
█ কোন সামাজিক সমস্যার বিরুদ্ধে সবাই মিলে কোন ক্যাম্পেইন করতে পারেন।
█ বর্তমান সময়ে ইভটিজিং একটা প্রকট সমস্যা হিসবে দেখা দিয়েছে। এই অপরাধ নির্মূলে সামাজিক ঐক্য অনেক জরুরী। আপনি আপনার পরিচিত মানুষদের নিয়ে ক্যাম্পেইন করতে পারেন।


আরো দেখুন: গত বছর যেভাবে পালন করা হয় বিজয় দিবস
গত বছর কমিউনিটি অ্যাকশন ও 1di (One Degree Initiative) , এর এই আহবানে সাড়া দেয় দেশ ও বিদেশের ৪২ টি প্রতিষ্ঠান!

দেখুন ছবি
আপনিও যুক্ত হয়ে যান এই বছর।

এবার কমিউনিটিঅ্যাকশনের সাথে আরো আছে BYEI (বি ওয়াই ই আই)

হাজারো সমস্যায় জর্জরিত আমাদের এই দেশ। এই সমস্যা গুলোর সমাধান আমাদের নিজেদেরই করতে হবে। আপনি-আমি যদি এগিয়ে না আসি, তাহলে মঙ্গলগ্রহ থেকে কেউ এসে সমস্যা গুলোর সমাধান করে দিয়ে যাবে না।

আসুন, সেবার মাধ্যমে প্রকাশ করি আমাদের বিজয়। বিজয়ের উল্লাস।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১২:৫৬
৯টি মন্তব্য ৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মুসলিম কি সাহাবায়ে কেরামের (রা.) অনুরূপ মতভেদে লিপ্ত হয়ে পরস্পর যুদ্ধ করবে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪৯




সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৫। তোমরা তাদের মত হবে না যারা তাদের নিকট সুস্পষ্ট প্রমাণ আসার পর বিচ্ছিন্ন হয়েছে ও নিজেদের মাঝে মতভেদ সৃষ্টি করেছে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদে মসজিদে মোল্লা,ও কমিটি নতুন আইনে চালাচ্ছে সমাজ.

লিখেছেন এম ডি মুসা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ১০:২৩

গত সপ্তাহে ভোলার জাহানপুর ইউনিয়নের চরফ্যাশন ওমরাবাজ গ্রামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। লোকটি নিয়মিত মসজিদে যেত না, মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়েনি, জানা গেল সে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসী ছিল, স্বীকারোক্তিতে সে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গল্পঃ অনাকাঙ্ক্ষিত অতিথি

লিখেছেন ইসিয়াক, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ দুপুর ১:১২

(১)
মাছ বাজারে ঢোকার মুখে "মায়া" মাছগুলোর উপর আমার  চোখ আটকে গেল।বেশ তাজা মাছ। মনে পড়লো আব্বা "মায়া" মাছ চচ্চড়ি দারুণ পছন্দ করেন। মাসের শেষ যদিও হাতটানাটানি চলছে তবুও একশো কুড়ি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগে বিরোধী মতের কাউকে নীতি মালায় নিলে কি সত্যি আনন্দ পাওয়া যায়।

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৮

ব্লগ এমন এক স্থান, যেখানে মতের অমিলের কারণে, চকলেটের কারণে, ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে অনেক তর্কাতর্কি বিতর্ক কাটা কাটি মারামারি মন্তব্যে প্রতিমন্তব্যে আঘাত এগুলো যেনো নিত্য নৈমিত্তিক বিষয়। ব্লগটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা

লিখেছেন অপু তানভীর, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১১:০৫



সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×