১) এক দিনে ১১ টা কেন ১১০ টা মুসলিম জঙ্গি মারা হলেও কোনদিনই এই বাংলাদেশ ইসলামি জঙ্গিবাদের থাবা থেকে রেহাই পাবে না । কারন দেশে বসবাসকারী দশটা লোকের মধ্যে ৬ টাই মুসলিম ।
২) বাংলাদেশে বসবাসকারী মুসলিমরা কখনোই বাংলাদেশকে ভালবাসে না । এদের প্রথম ভালোবাসা সৌদি আরব আর দ্বিতীয় ভালবাসা হল পাকিস্তান ।
৩) সৌদি আরবের মুসলমানের বর্বরতা আর বাংলাদেশে বসবাসকারী মুসলমানের বর্বরতা এক ও অভিন্ন !! প্রমান চাপাতি দিয়ে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান আর ইটালীয় জাপানী কুপিয়ে ক্ষত বিক্ষত করা ।
৪) রামু হামলা কিংবা হিন্দু মন্দিরে ভাঙচুর থেকে শুরু করে গুলশানে বিদেশীদের এবং ভোর বেলায় হিন্দু পুরোহিতদের কুপিয়ে মারার পর সৌদি আরবের নীরব ভূমিকা অনেক কিছুই প্রকাশ করে দেয় , অনেক প্রশ্নেরই উত্তর দিয়ে দেয় ।
৫) উপজেলা পর্যায়ে মডেল মসজিদ নির্মানে নতুন করে সৌদি সরকারের অর্থায়ন প্রমান করে আসলে কি হচ্ছে আড়ালে । এমন না যে বাংলাদেশে মসজিদ নাই !! কিংবা যেগুলো আছে সেগুলো অনৈসলামিক এবং নামাযের অনুপযোগী । সবচেয়ে বড় কথা বর্তমানের মসজিদগুলো মুসলমানের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিচ্ছে এমন কোন সংবাদ পাওয়া যায় নি ।
৬) হেফাজত এ ইসলামের মতন সন্ত্রাসী একটা সংগঠনকে গণভবনে কোলে বসিয়ে যে মুসলিম মহিলা ঘোষনা দেয় "ইসলামের বিরুদ্ধে কিছু লিখলে বরদাশত করা হবে না, দায় দায়িত্ব কেউ নিবে না, মহানবীকে নিয়ে কটুক্তি / ইসলাম কে নিয়ে কটুক্তি সহ্য করা হবে না " এইসব বলে যে চাপাতিওয়াদের আস্কারা দিয়ে গেছে দিনের পর দিন সেই একই মুসলিম মহিলা আজ ঢাকেশ্বরী মন্দির আর রামকৃষ্ণ মঠ পরিদর্শন করে বলেছে --- ইসলামের নামে জঙ্গিবাদ বরদাশত করা হবে না, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রিতির দেশ ইত্যাদি ইত্যাদি !!!
তাই বলি হারি যাই , ভোলা ভোল পাল্টে যাও । কারন, দিনের পরে দিন আছে । তোমাকে এই একপেশে ধর্মীয় রক্তাক্ত আস্ফালনের পরিনতি ভোগ করতে হবে ।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১:২৩