somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পরীক্ষার রেজাল্ট নিয়ে মিডিয়ার আলোড়ন প্রমাণ করে মিডিয়া কতটা দায়িত্বজ্ঞানহীন ।

০৮ ই জুন, ২০০৭ রাত ১০:৫৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

একমাত্র মনে হয় আমাদের দেশেই (ভারতে) পরীক্ষার রেজাল্ট বেরোলে তা হয়ে যায় একটা খবর আর যারা ফার্স্ট সেকেন্ড হয় তারা হয়ে যায় সেলিব্রিটি ।
এর মধ্যেই বেরোল মাধ্যমিক আর উচ্চমাধ্যমিকের রেজাল্ট । আর এই রেজাল্ট নিয়ে প্রত্যেক বছরের মত এবছরও দেখা গেল মিডিয়ার বাড়াবাড়ি । আমাদের দেশের মিডিয়া যে কত দায়িত্বজ্ঞানহীন তা প্রমান করে পরীক্ষার রেজাল্ট নিয়ে তাদের এই অহেতুক প্রচারে । এখন আর বোর্ডের পক্ষ থেকে কোন মেধা তালিকা প্রকাশ করা হয় না তবুও সংবাদপত্র এবং টিভি চ্যানেলগুলি নিজেরাই উদ্যোগ নিয়ে ফার্স্ট সেকেন্ড থার্ড খুঁজে বের করে । যা আসলে ছাত্রছাত্রীদের ক্ষতিই করে ।
আর যে পরীক্ষায় পাঁচ ছয় লক্ষ করে পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দেয় এবং এক দুই নম্বরের ব্যবধানে অজস্র ছাত্রছাত্রী সেখানে দশ বা কুড়ি জনকে কেবল নম্বরের বিচারে বেছে নেওয়া নির্বুদ্ধিতা ছাড়া আর কিছু নয় । প্রথম দশ বা কুড়ি জন নয়, প্রথম অন্তত দুশো জনের মধ্যে মেধার কোন ফারাক নেই ।
মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিক বা সেন্ট্রাল বোর্ডের পরীক্ষাগুলি প্রত্যেক বছরই যথাসময়ে হবে এবং তাতে বহু ছাত্রছাত্রী পাস অথবা ফেল করবে । এটা একটা স্বাভাবিক ঘটনা । এটা প্রত্যেক বছরেই ঘটবে । এই ঘটনা নিয়ে এত মাতামাতি করার কি আছে সেটা ভেবে পাওয়া যায় না । আসলে আমাদের দেশে শিক্ষার থেকে প্রতিযোগিতাকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয় । আমরা আসলে ভুলে যাই যে শিক্ষাটা কোন প্রতিযোগিতার বিষয় নয় । ছাত্র ছাত্রীরা কি শিখেছে সেটাই সব থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হওয়া উচিত । তারা একে অপরের থেকে কত বেশি বা কম নম্বর পেয়েছে তাকে কখনই গুরুত্ব দেওয়া উচিত নয় ।
আর মাধ্যমিক বা উচ্চমাধ্যমিক কখনই জয়েন্ট এন্ট্রান্স বা আইআইটির মত প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা নয়
আর সব থেকে হাসি পায় উচ্চ মাধ্যমিকে যখন মেধা তালিকা তৈরি করার চেষ্টা করা হয় । উচ্চ মাধ্যমিকের মেধা তালিকাতে দেখা যাবে প্রায় সবাই বিজ্ঞানবিভাগের ছাত্র ছাত্রী । সেখানে কলা বা বাণিজ্য বিভাগের ছাত্রছাত্রীদের দেখা যায় না । তার মানে কি কলা বা বাণিজ্য বিভাগে কোন প্রতিভাবান ছাত্রছাত্রীরা পড়ে না । আসলে বিজ্ঞান বিষয়গুলিতে যত বেশি নম্বর পাওয়া সম্ভব তা কখনই কলা বা বাণিজ্য বিভাগের বিষয় গুলিতে পাওয়া সম্ভব নয় । ইতিহাস বা রাষ্ট্রবিজ্ঞানে কি ৯০ শতাংশ নম্বর পাওয়া সম্ভব । মনে হয় না ।
তাহলে বোঝাই যায় যে উচ্চমাধ্যমিকের কখনই কোন মেধা তালিকা প্রকাশ করা সম্ভব নয় । অথচ রিপোর্টাররা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে প্রথম দ্বিতীয় স্থানাধিকারীদের খুঁজে বার করে এবং তাদের নিয়ে হল্লা আরম্ভ করে । কোন কোন সংবাদপত্র বা চ্যানেল আবার মেয়েদের মধ্যে প্রথম স্থানাধিকারীর নাম ঘোষনা করে । এটা প্রমান করে যে আমাদের মিডিয়া যাঁরা চালাচ্ছেন তাঁরা কতটা অশিক্ষিত এবং তাঁদের কমন সেন্স কতটা কম । মেধা কখনও মানুষের লিঙ্গের উপর নির্ভর করে না । আইনস্টাইন যদি পুরুষ না হয়ে মহিলা হতেন তাহলে কি তাঁর বুদ্ধি আর মেধা বেড়ে বা কমে যেত ?
এরপর প্রতিভাবান ছাত্রছাত্রীরা যখন হঠাৎ করে মিডিয়ার সামনে পড়ে তখন তারা যে মানসিক চাপের সম্মুখীন হয় তার ফলেও তাদের নানা রকমের সমস্যা চলে আসতে পারে । বহু মানুষের প্রশংসা আর পিঠ চাপড়ানি খেতে খেতে তাদের যদি অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস চলে আসে তার ভবিষ্যৎ ফল খারাপ হতে বাধ্য ।
৮টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্মৃতিপুড়া ঘরে

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩০



বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।

দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×