গত ৩রা আগষ্ট রাতের টঙ্গি ইস্তেমা রোডের ঘটনা শেয়ার করেছিলাম। ঐ পোষ্টে আমি বলেছিলাম আমাদের গাড়ির সাথে গিভেন্সি গ্রুপের গাড়িও আক্রান্ত হয়। আমার ফেসবুক পোষ্টে গিভেন্সি গ্রুপের Director মন্তব্য করেছেন- যে তিনি ঐ গাড়িতে ছিলেন এবং ডাকাতরা রামদা দিয়ে তার বাম পায়ে কোপ দিয়ে জখম করে। তিনি আরো বলেন- টঙ্গি থানা পরের দিন ০৪।০৮।১৫ জিডি নিতে অস্বীকার করে এবং শেষ পর্যন্ত ০৫।০৮।১৫ তারিখে জিডি গ্রহন করে। এই হলো অবস্থা। কোথায় যাবেন? কাকে বলবেন?
আমার গড়িতে ছিলেন আমার কোম্পানীর নতুন এ্কাউন্টস ম্যানেজার যিনি ঐ দিনই জয়েন করেছেন। বেচারা ভয়ে মোবাইল আর গত বিবাহ বার্ষিকীতে স্ত্রীর উপহার দেওয়া ঘড়ি ভাঙ্গা জানালা দিয়ে ছুড়ে দেন। আমরা যারা সেই দিন ঐ গাড়িতে ছিলাম কেউই সেই বর্বরতা স্মৃতি থেকে সরাতে পারছি না। প্রতিদিন মোহাম্মাদপুর টু গাজীপুর যাওয়া আসা করি। ঐ ঘটনার পরে দেড় ঘণ্টা সময় বেশি লাগলেও এক অজানা আতঙ্কে ঐ রাস্তায় আর যাই না। কিন্তু এভাবে আর কত দিন?
এই ঘটনা নিয়ে আমার আর কিছু বলার ইচ্ছা ছিলোনা। কিন্তু আমার ফেসবুক পোষ্টে শত শত বন্ধু, শুভাকাংখী, সহযাত্রী ও সাদা মনের মানুষ দুঃখ প্রকাশ করেছেন, সমবেদনা জানিয়েছেন এবং ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন । যারা সাবাই সত্য ও সুন্দরের পক্ষে। বুঝলাম এটি হালকা ভাবে নেওয়ার বিষয় না। বিষয়টি ভালোভাবে আলোচনায় আসা উচিত। কারন আজ আমি, কাল আপনি, পরশু হয়তো আপনার প্রিয় অন্য কেউ বা আমিই আবার আক্রান্ত হতে পারি। তাই সচেতনতা এবং একতার দরকার। আমরা যারা একই পথের পথিক আমাদের নিরাপত্তায় এই জাতিয় ঘটনায় বিকল্প চিন্তার দ্বার যেন উম্মেচিত হয়। আল্লাহ সকলের মঙ্গল করুক। পাপিষ্ঠরা যেনো হেদায়েত পায়।
"আশ্চর্য এক সাফারি পার্ক আমার এই সোনার বাংলা"- ১
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১:৩৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




