somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিসমিল্লায় গলদ

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:১৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

যুদ্ধাপরাধীর বিচার যাও শুরু করলারে মাননীয়, শুরুতেই ভুল লোকরে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে অন্যায় করলা। রাজাকারের কি অভার পড়ছিলো? ছোটবেলা সেন্ট্রাল মসজিদের ইমাম সাহেবের কাছে শুনেছিলাম ব্রিটিশ আইনের মূলনীতি নাকি হচ্ছে 'শত দোষী ছাড়া পেয়ে যাক, কিন্তু একজন নির্দোষও যেন সাজা না পায়।'
স্বপক্ষ শক্তির আবেগের কারণে অন্যায় মানতে পারিনা। কোনদিন লোকদেখানো সমমনাত্বের ফ্যাশন যেন সত্য ভুলিয়ে না দেয়।
ভুল যে হয়েছে এটা একটা সিম্পল সাইন্স এর স্টুডেন্টও বুঝবে। আর্টস এ পড়ার কারনে কি বিচারপতিরা বুঝতে পারেন নাই!!!
______________________________________________
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের সংগ্রহে মিরপুরের জল্লাদ খানায় সংরক্ষিত বক্তব্যে মোমেনা বেগম কী বলেছিলেন। তখন কিন্তু এই ঘটনা নিয়ে কোনো মামলা-মোকদ্দমা নেই। কোনো থানায় একটি জিডিও নেই। সুতরাং মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের কাছে বক্তব্য প্রদানের আগে মোমেনা বেগমকে কেউ ভয়-ভীতি দেখিয়েছিলেন এমন অভিযোগ করার সুযাগ নেই। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের কাছে ২০০৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর তিনি এই বক্তব্য দিয়েছেন। তখন বর্তমান সরকারের পূর্বসূরি জরুরি আইনের সরকার ক্ষমতায়। জরুরি আইনের সরকারের তত্ত্বাবধানেই সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম গঠিত হয় যুদ্ধাপরাধের বিচারের দাবিতে। তখন তারা খুবই সোচ্চার ছিলেন। সুতরাং মোমেনা বেগম মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর কর্তৃপক্ষের কাছে নির্বিঘ্নে, নিঃসংকোচে বক্তব্য দিয়েছেন তাতে কোনো সন্দেহ নেই। বলার সুযোগ নেই বৈরী সরকার থাকায় সঠিক বক্তব্য তখন দিতে পারেননি।
সেই বক্তব্যে মোমেনা বেগম জানিয়েছেন ঘটনার সময় তিনি বাড়িতে ছিলেন না। শ্বশুরবাড়ি চলে যাওয়ার দু’দিন পর তার পিতা-মাতাসহ পরিবারের অন্যরা হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। বাড়িতে না থাকায় তার প্রাণে বাঁচারও সুযোগ হয়। কয়েক দিন পর ঘটনা জানতে পেরে খোঁজ নিতে এসে দেখেন কেউ নেই। কাউকে না পেয়ে হতাশ হয়ে ফিরে যান।
এবার দেখা যাক তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে কী বলেছেন। হযরত আলী লস্করের পরিবারকে হত্যার অভিযোগে আবদুল কাদের মোল্লাকে জড়িয়ে মামলা হয় বর্তমান সরকারের আমলে। এই মামলা তদন্ত করেন বর্তমান সরকারের নিয়োজিত তদন্তকারী কর্মকর্তা। তখন আবদুল কাদের মোল্লা কারাগারে। সুতরাং তখনও মোমেনা বেগম নির্বিঘ্নেই তার পরিবার হত্যাকাণ্ডের বিবরণ তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে বলার সুযোগ পেয়েছেন। তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে মোমেনা বেগমের বক্তব্য হচ্ছে—তার বাবা-মাসহ পরিবারকে হত্যা করেছে বিহারিদের সহযোগিতায় পাকিস্তানি সেনাবাহিনী। তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছেও হযরত আলী লস্করের মেয়ে আবদুল কাদের মোল্লাকে জড়িয়ে কোনো বক্তব্য দেননি।
তৃতীয় বক্তব্যটি হচ্ছে ট্রাইব্যুনালের কাছে। ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দেয়ার সময় বোরকার নেকাবে মুখ আবৃত মোমেনা বেগমকে হাজির করা হয়। তার সাক্ষ্য নেয়া হয় ক্যামেরা ট্রায়ালে। অর্থাত্ প্রসিকিউশন এবং আসামিপক্ষের আইনজীবী ও বিচারক ছাড়া অন্য কেউ সেই কামরায় উপস্থিত ছিলেন না। ক্যামেরা ট্রায়ালের নিয়ম অনুযায়ী সেখানে প্রদত্ত্ব বক্তব্য বাইরে প্রকাশেরও কোনো সুযোগ নেই। পরবর্তীতে রায় প্রকাশের সময় দেখা যায় মোমেনা বেগম তার বাবা-মাসহ পরিবারের সদস্যদের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আবদুল কাদের মোল্লাকে জড়িয়ে ট্রাইব্যুনালে বক্তব্য দিয়েছিলেন। তিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন এবং নিজেও ধর্ষণের শিকার বলে দাবি করেন ট্রাইব্যুনালে।
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের নিয়ন্ত্রিত মিরপুরের জল্লাদখানায় সংরক্ষিত বক্তব্যটির অনুলিপিও আবদুল কাদের মোল্লার পক্ষ থেকে আইনজীবীরা ট্রাইব্যুনালে জমা দেন। তখন নথিভুক্ত করে বলা হয় রায় প্রদানের সময় এ বিষয়ে বিবেচনা করা হবে।
প্রশ্ন হচ্ছে ঘটনা একটি। সাক্ষ্য মাত্র একজন। একই সাক্ষীর বক্তব্য ৩ জায়গায় ৩ রকমের। কোনটা সত্য? মুক্তিযুদ্ধের প্রতি যাদের অবিচল আস্থা, তারাই গড়ে তুলেছেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর। তাদের কাছে মোমেনা বেগমের প্রদত্ব বক্তব্যটিতে ছলচাতুরির আশ্রয় নেয়ার কোনো প্রশ্ন থাকতে পারে না। তেমনি তদন্তকারী কর্মকর্তাও সরকারি নিয়ন্ত্রণে। সাক্ষীদের ট্রেনিংয়ের জন্য তদন্ত সংস্থার নিয়ন্ত্রণে সেফহোম ছিল। সেখানে সাক্ষীদের এনে দিনের পর দিন রেখে কী বলতে হবে—সেটার ট্রেনিং দেয়া হতো। পুলিশ হেফাজতে সরকারি খরচে থাকা-খাওয়া। ঢাকার গোলাপবাগের সেই সেফহোমের কাহিনী দালিলিক প্রমাণসহ পত্রিকায় প্রকাশ করেছি আমি নিজে। কেউ কোনো প্রতিবাদ করেননি। তারপরও কি তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে আবদুল কাদের মোল্লার নাম বলতে মোমেনা বেগমের মনে ভয় ছিল!
ট্রাইব্যুনালে প্রদত্ব মোমেনা বেগমের বক্তব্যটি সত্য হিসেবে ধরে নিয়ে মৃত্যুদণ্ড দিতে পারলে একই মোমেনা বেগমের বাকি দুটি বক্তব্য কি তাহলে অসত্য ছিল? যদি অসত্য হয়ে থাকে, তবে সেটা কেন এর গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা থাকার দরকার ছিল? এই ব্যাখ্যা থাকলে আমাদের মতো অনভিজ্ঞ, নির্বোধ মানুষগুলো হয়তো জানতে পারতাম মোমেনা বেগম মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর কর্তৃপক্ষ এবং তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে যে বক্তব্যটি দিয়েছিলেন—সেটা সুনির্দিষ্ট একটি কারণে সত্যতা হারিয়েছে। সত্যতার মানদণ্ডে উত্তীর্ণ হয়েছে মোমেনা বেগমের পক্ষ থেকে ট্রাইব্যুনালে প্রদত্ব বক্তব্যটি।
পত্রিকায় দেখা গেছে, রিভিউ আবেদনের বিষয়ে সুপারসনিক গতিতে শুনানি চলাকালে আবদুল কাদের মোল্লার আইনজীবী বিষয়টি উত্থাপন করেছিলেন। তার জবাবে দুজন বিচারপতি শুধু বললেন, আমরা বিশ্বাস করেছি বলেই ফাঁসি দিয়েছি। যে দুজন এ কথা বলেছেন, তাদের প্রতিই আবদুল কাদের মোল্লা ন্যায়বিচার না পাওয়ার আশঙ্কা জানিয়ে অনাস্থা দিয়েছিলেন। কেন শুধু একটি বক্তব্য বিশ্বাস করলেন এবং বাকি দুটি বক্তব্য বিশ্বাস করলেন না—সেটার কোনো বিস্তারিত আমরা দেখতে পেলাম না।
এদিকে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর আবদুল কাদের মোল্লার পরিবারের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে দাবি জানানো হয় ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত হওয়া মোমেনা বেগম এবং হযরত আলী লস্করের মেয়ে মোমেনা এক নন। বোরকা ও নেকাবে মুখ আবৃত ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত হওয়া মোমেনাকে নিয়ে উত্থাপিত এ প্রশ্নেরও কোনো উত্তর নেই। সরকার, প্রসিকিউশন সবাই নীরব।
আবদুল কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকরও হয়েছে সুপারসনিক গতিতে। এক্ষেত্রে জেল কোডের কোনো কিছুই অনুসরণ করা হয়নি। জেল কোড অনুযায়ী মৃত্যু পরোয়ানা জারির পর রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাওয়ার জন্য ৭ দিন সময় থাকে। সে সময়টি পর্যন্তও দেয়া হয়নি আবদুল কাদের মোল্লাকে। জেল কোডের আরেকটি বিধান হলো মৃত্যু পরোয়ানা জারির ২১ দিন আগে নয় এবং ২৮ দিন পর নয়—এমন সময়ের মধ্যে দণ্ড কার্যকর হবে। আবদুল কাদের মোল্লার ক্ষেত্রে সেটাও মানা হয়নি।
বাংলাদেশের প্রচলিত বিচার ব্যবস্থায় দায়রা আদালতে মৃত্যুদণ্ড হলে হাইকোর্ট বিভাগে পর্যালোচনা এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়া দণ্ড কার্যকরের কোনো সুযোগ নেই। হাইকোর্ট বিভাগে দণ্ড বহাল থাকলে আপিল বিভাগে যাওয়ার সুযোগ থাকে। আপিল বিভাগে বহাল থাকলে রায় প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যে রিভিউ আবেদন দায়েরের সুযোগ পাওয়া যায়। রিভিউ আবেদনের নিষ্পত্তির পর মৃত্যু পরোয়ানা জারি হয়। এতগুলো স্তর অতিক্রমের উদ্দেশ্য হলো চূড়ান্ত দণ্ড কার্যকরের আগে বার বার পরীক্ষা-নিরীক্ষায় সন্দেহের ঊর্ধ্বে ওঠা। আবদুল কাদের মোল্লার ফাঁসির দণ্ড হয়েছে আপিল বিভাগে। আর কোনো উচ্চতর জায়গা নেই সেটা পরীক্ষা-নিরীক্ষা বা প্রতিকার চাওয়ার। শেষ পর্যন্ত রিভিউ করারও সুযোগ হয়নি।
আইনে প্রাপ্য সুযোগ থেকে আবদুল কাদের মোল্লা বঞ্চিত হলেও মানুষের ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত হননি। ফাঁসির মঞ্চে প্রাণ উত্সর্গকারী আবদুল কাদের মোল্লাকে রাতের আঁধারে সরকারি নিয়ন্ত্রণে দাফন করা হলেও তার গ্রামের মানুষ ঠিকই দিনের বেলায় জুমার নামাজের পর গায়েবানা জানাজার মাধ্যমে তার মাগফিরাতের ফরিয়াদ জানিয়েছেন আল্লাহর দরবারে। শুধু তার গ্রাম নয়, বাংলাদেশের প্রতিটি উপজেলা থেকে শুরু করে ইউনিয়ন পর্যন্ত গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে আবদুল কাদের মোল্লার জন্য। নিজ দেশের মানচিত্রের সীমানা ছাড়িয়ে বাংলাদেশের বাইরেও আবদুল কাদের মোল্লার জন্য বিশ্বের দেশে দেশে হাজারো মুসলমান গায়েবানা জানাজা আদায় করেছেন। সরকার বঞ্চিত করার চেষ্টা করলেও দুনিয়াজুড়ে মুসলমানের ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধা নিয়ে আবদুল কাদের মোল্লা আখেরাতের পথযাত্রী হয়েছেন। এটাই মোমেনের জীবনে সবচেয়ে বড় প্রাপ্য। Click This Link
৬টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বারবাজারে মাটির নিচ থেকে উঠে আসা মসজিদ

লিখেছেন কামরুল ইসলাম মান্না, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৪০

ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার বারবাজার ইউনিয়নে মাটির নিচ থেকে মসজিদ পাওয়া গেছে। এরকম গল্প অনেকের কাছেই শুনেছিলাম। তারপর মনে হলো একদিন যেয়ে দেখি কি ঘটনা। চলে গেলাম বারবাজার। জানলাম আসল... ...বাকিটুকু পড়ুন

সৎ মানুষ দেশে নেই,ব্লগে আছে তো?

লিখেছেন শূন্য সারমর্ম, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৪৮








আশেপাশে সৎ মানুষ কেমন দেখা যায়? উনারা তো নাকি একা থাকে, সময় সুযোগে সৃষ্টিকর্তা নিজের কাছে তুলে নেয় যা আমাদের ডেফিনিশনে তাড়াতাড়ি চলে যাওয়া বলে। আপনি জীবনে যতগুলো বসন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

পরিবর্তন অপরিহার্য গত দেড়যুগের যন্ত্রণা জাতির ঘাড়ে,ব্যবসায়ীরা কোথায় কোথায় অসহায় জানেন কি?

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:৫৭


রমজানে বেশিরভাগ ব্যবসায়ীকে বেপরোয়া হতে দেখা যায়। সবাই গালমন্দ ব্যবসায়ীকেই করেন। আপনি জানেন কি তাতে কোন ব্যবসায়ীই আপনার মুখের দিকেও তাকায় না? বরং মনে মনে একটা চরম গালিই দেয়! আপনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯

মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা বলতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

×