somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

"নবীন লেখকদের প্রতি সাবধান বার্তা ও আমার প্রতিবাদ"-এর প্রতিবাদ ও কার্যকারণ

২৬ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:৩৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

জান্নাতুন নাহার তন্দ্রা, একজন নারী একজন লেখক। উনি এই ব্লগে একটা পোস্ট দিয়েছেন এবং রীতিমত আমাকে ধুয়ে দিয়েছেন। প্রথমত, তিনি একজন নারী এবং আমি একজন পুরুষ, আমি তাকে চিৎকার করে ধমক দিয়েছি। এসবই অভিযোগ, নিচে তার লেখাটা কপি করে দিয়েছি, এবং লিঙ্ক ও দিয়েছি, দেখবেন, কমেন্ট গুলো কেমন জোশ হয়েছে আমার বিরুদ্ধে।

তো, আমার ক্যাম্পাসের ছোট বোন, কথা শুরু করলেন কীভাবে? "ভাইয়া আপনাকে কিছু কথা বলতে চাই, যেগুলো আপনাকে আমার আগেই বলা উচিত ছিলো, কিন্তু বুঝতে পারছিলাম না, কথাগুলো ভদ্রভাবে বলা যায়"। তাহলে আমি বুঝলাম, তিনি এখন আমার সাথে অভদ্র কিছু বলতে চাচ্ছেন, ক্যাম্পাসের হিসাবে সে আমার ১০ বছরের ছোট।

একদিন আগেই সে ফোন দিয়েছিল, রকমরিতে বই পাোয়া যাচ্ছে না বলে, আমি তাকে বলেছিলাম, নেটে ঢুকে ওটার স্ট্যাটাসটা আউট অব প্রিন্ট দেখাচ্ছে কীনা। সে আমাকে জানালো, অন প্রসেস দেখাচ্ছে, সে এটা দেখলো না, রাইটার্স গিল্ডের সব বই অন প্রসেস দেখাচ্ছে।



এটা একটা সাময়িক সমস্যা।

সে দুইবারে যে চল্লিশ হাজার টাকা পাঠিয়েছে, তার শেষের ২০ হাজার আমি পেয়েছি বই ছাপানোর অন্তত এক সপ্তাহ পর, আমার ব্যাংক একাউন্টে যোগ হয়েছে।

বই কত কপি ছাপানো হয়েছে, তার হাজব্যাণ্ড আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলো, আমি জানিয়েছি, ৩০০ কপি বই, আর ৬০০ কপি প্রচ্ছদ।
আমাদের স্টোরে নবীন লেখকদের অন্তত ৩০০০ কপি বই জমে আছে, বিক্রি হয় না। প্রচ্ছদ ছাপাতে ঝামেলা বলে, প্রচ্ছদের কপি বেশী ছাপানো হয়েছে। ৫০ কপি হাতে থাকতে আরো ৩০০ কপি ২দিনের মধ্যে রেডি করা ব্যাপার না।

মূলত বইয়ের দাম তিনি রাখতে বলেছিলেন, ২০০/=
৫০০/৬০০ কপির টার্গেট না নিলে বইয়ের দাম ২০০ টাকা রাখা সম্ভব নয়, তাই আমরা টার্গেটটা ওরকম নিলাম, কিন্তু স্টোরেজ সমস্যার কারণে আপাতত ৩০০ কপি ছাপলাম। ইতিপূর্বে তার হাসব্যাণ্ডের সাথে কথা বলার সময় আমি পরিষ্কার করেছি, ৩০০ কপি বই, ৬০০ কপি প্রচ্ছদ।

তার মনোনীত প্রতিনিধি সৌরভকে তিনি প্রেসে পাঠিয়েছিলেন, আমরা যেতে বলেছিলাম, প্রেসে গিয়ে সে যেন, সরেজমিনে সব কিছু সে দেখে আসতে পারে, সৌরভকে ৬০ কপি বই দেওয়ার কথা ছিল, সেটা বেড়ে হলো ৭০, পরে শুনি এক কার্টনে ১২০ কপি বই ছিলো, সবটাই সৌরভ নিয়ে গেছে। ওকে, ওয়েল ডান। আমরা তো কিছু লুকোচুরি করি না, তাই আমাদের অফিসে আসতে না বলে, প্রেসে আসতে বলি।

আমাদের লেখিকা, যে মহান লেখাটা লিখেছেন অভ্র দিয়ে, সেটা কনভার্ট করতে গিয়ে, পুরোটাই নতুন করে কাজ করা লাগে। তাই উনার মহান এই বইটা প্রকাশ করতে গিয়ে কিঞ্চিত বিলম্ব হয়, তারপরেও মহান এই লেখিকার বই মেলাতে আমাদের প্রথম বই ছিলো।

জাহাঙ্গীর ভাই যে প্রাথমিক অবস্থায় বই ১০ কপির বেশী রাখতে চাননি, সেটা জাহাঙ্গীর ভাই আর আমাদের চেয়ে কেউতো ভালো জানে না। ৫দিনে উনার বই ১০কপি বিক্রি হওয়ার কারণে একজন সম্মানিত পাঠক ফেরত যান, পরদিন মেলাতে বই পৌঁচানো হয়, কিন্তু রকমারিতেও অর্ডার ছিলো, রকমারি কাভার করে মি. সাজ্জাদ মেলাতে পৌঁছাতে একটু বিলম্ব করেন, আর এর মধ্যেই উনি ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে, একাকার করেন।

আমি পরশুদিন (২৪মার্চ) তাকে যেটা বলেছিলাম, তোমার মত লেখিকা আমি আর একটাও দেখিনি, উনি এই পোস্টের মাধ্যমে সেই উক্তির যথার্থতা প্রমাণ করলেন।

আমি তার বাবার একাউন্ট নাম্বার চেয়ে মেসেজ দিয়েছি, তিনি আমাকে জানাননি। এখন উনি কী বলতে চান? বিক্রির টাকা উনি পাচ্ছেন না। এটা নিয়ে অভিযোগ করতে চান? আবার কী ব্লগে একটা পোস্ট দেবেন?

যাই হোক, রকমারির সাথে কথা বলে বিষয়টি সমাধান করি, আমাদের সবগুলি বই অন প্রসেস দেখাচ্ছিল। এখন আবার রকমারিতে আমাদের বই পাওয়া যাচ্ছে। আমি সব সময় লেখকদের উপকার করতে চেয়েছি, তবে ভাই বেরাদররা, এতক্ষণ যা বললাম, যা ঘটে গেলো, এরপরও চাই তার বই বাজার পাক, ৫০০/৬০০ কপি বই যেন বিক্রি হয়, যদি লাখ লাখ কপি বিক্রি হয়, তাও ভালো, তার মঙ্গল কামনাই করি। সে উত্তরোত্তর লেখালেখির পথে এগিয়ে যাক, তার পোস্ট পড়ে না জেনে না বুঝে, যারা আমাকে গালাগালি করছেন, সেই সমস্ত ব্লগার ভাইদেরকেো আন্তরিক শুভ কামনা জানাচ্ছি।

আর আমার ক্যাম্পাসের ছোট বোনটির জন্যও থাকলো, সাধারণ ক্ষমা। টাকা পাঠানোর একাউন্ট নম্বর দিলে আমি ব্যাংক একাউন্ট টাকা জমা করে দেবো, আর বইয়ের বিক্্রি-বাট্টার হিসাব বুঝে নিতে চাইলে নিজ দ্বায়িত্বে নিতে পারো, আমি টাকাসহ বই বুঝিয়ে দেবো।





Click This Link
আমি এতোটাই মানসিক ভাবে বিধ্বস্ত যে লিখতেও খুব কষ্ট হচ্ছে আমার। কিছুক্ষণ আগে প্রকাশকের সাথে কথা হয়েছে, তিনি এতটা উত্তেজিত ও চিৎকার করে আমার সাথে কথা বলেছেন যে একজন নারী হিসেবে কোন পুরুষের সাথে এরকম ব্যাবহারের অভিজ্ঞতা হয়নি আমার। থর থর করে হাত পা কাঁপছে কিন্তু না লিখে পারছিনা। কারণ আমার মত অসহায় ও নবীন লেখকদের জন্য এটাই একটা মোক্ষম প্রতিবাদ হতে পারে।

‘প্রবাসে’ নামে একটি সিরিজ দিয়ে ব্লগিং জীবন শুরু করি আমি। আমার লেখাটি মনে হয়েছিল সবাই বেশ পছন্দ করছে। আর সিরিজটি লিখতে লিখতে ও প্রকাশ করতে করতে বুঝি এর পিছনে প্রচুর সময় দেওয়া লাগছে। পড়াশোনার ব্যস্ততা ছিল সে কারনেই হঠাৎ মনে হল বই করা যাক। আমার হাসবেন্ডের বন্ধু ব্লগার হিমালয়ের সাথে এই নিয়ে কথা বললাম সে বলল বই করা যাবে, নিজের খরচে করতে হবে। ৩৩-৪০ হাজারে করা যাবে ৫০০ কপি বই। কিন্তু বই বিক্রির মাধ্যম হবে রকমারি ডট কম। কারণ বই যেহেতু কোন প্রকাশনী থেকে ছাপানো হচ্ছে না, তাই বই মেলায় প্রকাশ ও বিক্রি করা যাবে না।

সামহোয়্যার ইন ব্লগে বই প্রকাশ নিয়ে একটা পোস্ট দেখি, ঐ নাম্বারে ফোন করি। উনি আমাকে বলেন বই প্রকাশ করা যাবে, আমি ওনাকে একটা ডেডলাইন দেই, জানুয়ারির ১৬ তারিখ, এর মধ্যে প্রকাশ করা যাবে কিনা? তাহলে আমার কিছু বাংলাদেশী বন্ধু যারা দেশে আছেন তারা বইটি সাথে করে আমেরিকা নিয়ে আসতে পারবেন। উনি বললেন, কোন সমস্যা নেই, জানুয়ারি ১৬ তারিখের মধ্যেই বই প্রকাশ হয়ে যাবে। তারপর ইমেইলে পরিচয় দেন উনিও কুয়েটের এক প্রাক্তন ছাত্র। নিজের বিশ্ববিদ্যালয়ের বড় ভাই প্রকাশক আমি তো আনন্দে গদ গদ হয়, আস্থাও অনেকটা বেড়ে যায়।

প্রকাশক আমাকে জানান, ৫০০ কপি ছাপাতে ৪০ হাজার টাকা লাগবে। নবীন লেখকদের অধিকাংশেরই কম বেশি টাকা লাগে বলে শুনেছি। তাই ওনাকে জানুয়ারি মাসের শুরুতে ২০ হাজার ও ফেব্রুয়ারির শুরুতে ২০ হাজার টাকা আমি পরিশোধ করি। এর মাঝে জানুয়ারির ১৬ তারিখ পার হয়ে যায়। বই ছাপানো হয় না। উনি বলেন কাজ চলছে। কিন্তু কাজ কতদূর হল জানবার জন্য যতবারই ফোন দেই ততবারই বলেন ব্যস্ত আছেন, আমাকে পরে ফোন করবেন। কিন্তু ফোন আর করেন না। এরপর ২৯ তারিখে আমি ওনাকে একটা কড়া করে ইমেল করি, “ I need a promise“

উনি প্রমিস করেন মেলাতে এক তারিখ থেকে বই পাওয়া যাবে, কাজের অগ্রগতি চলছে। যাই হোক উনি জানুয়ারির ৩০/৩১ তারিখে আমাকে স্ক্রিপ্ট দিতে বলেন, বলেন আমার কোন সংশোধনী থাকলে আবার পাঠাতে। বুঝি বই প্রকাশের আসলে কিছুই হয়নি। “কাজ চলছে” পুরোটাই আসলে একটা মিথ্যে ছিল।

ফেব্রুয়ারির এই সময়টা সব প্রকাশনীই প্রকাশনা নিয়ে ব্যস্ত থাকে, শ’য়ে শ’য়ে বই ছাপা হয়। সমস্যা হতেই পারে। কিন্তু তিনি ব্যবসার ক্লায়েন্ট ধরে রাখার মত কখনই সমস্যার কথা বলেন না। সব সময় নগদ কথা বলেন, খুব ভদ্র ভাষায় এমনভাবে দৃঢ় চিত্তে বলেন যে, যে পিছনের কাহিনী ধরবার উপায় কোন উপায় থাকে না।

বই বিক্রির প্রচারণার অংশ হিসেবে আমি রোজ ফেসবুকে পোস্ট দেয়, বইটা মেলায় পাওয়া যাবে ১ তারিখ থেকে ‘ বাংলাদেশ রাইটার্স গিল্ড প্রকাশনী থেকে” কারন যতবারই কথা হয়েছে উনি আমাকে প্রতিবারই এই তথ্য জানিয়েছেন। যাই হোক ১ তারিখের আগে আমি জানতে পারি মেলায় আসলে ওনাদের আসলে কোন স্টল নেই। জ্যোতি প্রকাশ এর স্টলে বইটি পাওয়া যাবে, যদিও উনি প্রথমে বলেছেন ওনার একটা স্টল মেলাতে থাকবে।

যাই হোক আমি এই নিয়ে কিছু বলিনি। ১ তারিখে উনি আমাকে বই এর ফাইনাল স্ক্রিপ্ট দেন। কিন্তু এ কি অবস্থা!!! বিজয়ে কনভার্ট করতে যেয়ে লাইন সব ভেঙ্গে গেছে। এক অনুচ্ছেদের শব্দ আর এক অনুচ্ছেদের সাথে ঘোট পাকিয়েছে। সারা রাত জেগে আমি সেই ঘোট পাকানি ঠিক করি। কারণ ২ তারিখে বই ছাপা হবে!!! আমি মূলত ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিঙের এর স্টুডেন্ট, ন্যানো ইঞ্জিনিয়ারিং এ পি এইচ ডি করছি। তাই কাজের ব্যস্ততা সম্পর্কে আর বিশেষ কিছু বলছিনা। শুধু এটুকু বলব খুব যন্ত্রণাময় রাত কাটে। এরপর আজ নয় কাল এরকম করতে করতে মেলার প্রথম আটদিন পার হয়ে যায়। এই দেরি নিয়ে আমার কোন সমস্যা নেই। কিন্তু আমি একটি স্পেসিফিক ডেট চেয়েছিলাম। আমি বারবার মিথ্যে হয়রানির শিকার হতে চাইনি। আমার পাঠকেরা মেলায় যেয়ে বার বার ফিরে আসছে, তাদের এই হয়রানিটা খুব লজ্জার ব্যাপার ছিল আমার কাছে। কিন্তু উনি প্রতিদিন ই বলেন আজ পাওয়া যাবে, কাল পাওয়া যাবে, দুপুরে বলছেন বিকেলে পাওয়া যাবে, আমি তোমার বই নিয়ে রওনা দিয়েছি কিন্তু বই আর পাওয়া যায় না। অবশেষে আমাকে আমার ননদ এন টিভির সাংবাদিক, আপুর সাহায্য নিতে হল। আপু খুব ভদ্র ভাবে জানতে চায়লেন আসলে কি হয়েছে। আমার একটা প্রচ্ছন্ন উদ্দেশ্য “ এই কি হয়েছে” শুনে যেন উনি সোজা হয়ে যান কারন সাংবাদিককে হয়ত সকলে ভয় পায়।

যাই হোক মেলায় বই আসল, কিন্তু দুদিন পর লোকে আমাকে জানায় মেলায় বই নাই আরে কি এমন লিখলাম দুদিনেই শেষ!!! উনি বললেন বই আছে, আমি বললাম লোকে যে বলছে নেই, আমার বাড়ির লোকেরা গিয়ে বই আসার দু দিন পর মেলায় যেয়ে বই পায়নি!!!..............................এরকম যে কত অসংখ্য বার হয়েছে এই পুরোটা লিখে আমি আমার লেখা দীর্ঘায়িত করতে চাই না। মুল কথা উনিপ্রতিবার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ও খুব দৃঢ়তা নিয়ে মিত্থ্যে বলেছেন। শেষে বিরক্ত হয়ে আমরা ১২০ কপি ওনার ছাপাখানা থেকে নিয়ে আসি। ব্যাক্তি গতভাবে বিক্রির চেষ্টা করি।

এত মেলার ভোগান্তি গেল, এবার রকমারিতে লোকে কিছুদিন বই পাওয়ার পর আর পায় না? রকমারি বলছে, প্রকাশক জানিয়েছে বই এর প্রকাশনা বন্ধ আছে। কিন্তু উনি প্রতিবার নগদ কথা বলেন, না মিত্থ্যে কথা বই পাওয়া যাচ্ছে, তোমাকে ভুল তথ্য দেওয়া হচ্ছে। আর ওদেরকে বল আমার নাম্বারে ফোন দিতে। ওরা কেন আমাকে ফোন দেয় না। ভীষণ হাস্যকর কথা, লোকে ওনার নাম্বার জানবে কি করে আর এটা নিশ্চয়ই বই বিক্রির কোন উপায় হতে পারে না। আমি কোন কিছু ভেরিফাইড না করে কাউকে দোষ দেয় না। আমি অনেকজনকে দিয়ে রকমারিতে ফোন করলাম, নিজেও রকমারিতে ফোন করলাম এবং স্পস্ট শুনতে পেলাম “ ওরা বলছে বই এর প্রকাশনা বন্ধ আছে প্রকাশক জানিয়েছে, বইটি পাওয়া যাচ্ছে না”
আমি এবার ওনাকে ফোন দিলাম, গুছিয়ে বললাম “ আপনি যেটি করছেন সেটি ঠিক নয়, মিত্থ্যে বলার সময় মানুষ খুব দীর্ঘ কথা বলে, উনিও বললেন, তারপর খুব অভদ্র ব্যাবহার করলেন আমার সাথে আর জানালেন যে বই পাওয়া যাচ্ছে না এই ইস্যু নিয়ে আমাকে কখনও ফোন দিবানা।

কারো প্রফেশনাল ক্যারিয়ার ক্ষতি করা আমার কাছে খুব খারাপ কাজ মনে হয়। কিন্তু মনে হল এই লোকটি এত অন্যায় আমার সাথে করেছে এবং আমি যদি কিছু না বলি এই অন্যায় সে আরও নবীন লেখদের সাথে করবে এবং এই অভিজ্ঞতার কারনে তাদের হয়ত আর বই প্রকাশ করতে ইচ্ছে করবে না। কারন লেখালেখিকে এখন শুধু আর কেউ পেশা হিসেবে নেয় না, রুটি রুজির জন্য অন্য একটা পেশা থাকে, সেই পেশায় ব্যাস্ততা থাকে। এরকম অসৎ ও মিত্থ্যাবাদী প্রকাশক পেলে, সারাদিন বই লেখার চেয়ে বই সত্যি বাজারে পাওয়া যাচ্ছে কিনা এই নিয়েই যদি লেখককে ব্যস্ত থাকতে হবে, তাতে আসল পেশায় ভাটা পড়বে। আর লেখার জন্য একটা ভালবাসা লাগে, সেই ভালবাসার জায়গাটাও নষ্ট হয়ে যাবে।

উনি ওনার প্রোফাইল থেকে পোস্ট দিয়েছেন আমার বইটা ওনার প্রকাশনী থেকে বিক্রির তালিকায় প্রথম। বিক্রির টাকা আজ কথার পর উনি পাঠাতে চেয়েছেন। কিন্তু ওনার এরকম অন্যায়ের পর ঐ টাকার প্রতি আমার বিন্দু মাত্র আগ্রহ নেই। ওনার কৃতকর্মের প্রতি এইটাই আমার প্রতিবাদ। আমার ধারনা বইয়ের ৪০ হাজার টাকা পেয়ে যাবার কারনেই উনি দ্বায়িত্ববান প্রকাশকের মত দায়িত্ব পালন করেননি। কারণ আমার বই বিক্রি হলেই কি আর না হলেই কি ওনার কিছু আসে যায় না। ওনার টাকা তো উনি পেয়েই গেছেন। আর বইটি আসলেই ৫০০ কপি ছাপা হয়েছে কিনা এই নিয়ে আমার বিস্তর সন্দেহ আছে।
বইয়ের নামঃ প্রবাসে
প্রকাশনীঃ বাংলাদেশ রাইটার্স গিল্ড
প্রকাশকঃ পারভেজ রানা
রকমারিঃ http://rokomari.com/book/94709
আপনারা রকমারিতে খোঁজ নিয়ে দেখতে পারেন, একই কথা বলবে......
তাই নবীন লেখকেরা সাবধান।

***“ আর উনি আমাকে যে পরিমান হয়রানি করেছেন ও মিথ্যে বলেছেন তার বিস্তারিত লিখতে পারলাম না। কারণ এই সাত খণ্ড রামায়ণ লেখার মত ধৈর্য আমার নেই আর লেখাটি গুছিয়েও লিখতে পারলাম না, গুছিয়ে লেখার মত মানসিক অবস্থাও আমার নেই”
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:৪১
১৫টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে

লিখেছেন মিশু মিলন, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ৯:২০



তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইসলামের বিধান হতে হলে কোন কথা হাদিসে থাকতেই হবে এটা জরুরী না

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ১০:৫৫



সূরাঃ ৫ মায়িদাহ, ৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩। তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে মৃত, রক্ত, শূকরমাংস, আল্লাহ ব্যতীত অপরের নামে যবেহকৃত পশু, আর শ্বাসরোধে মৃত জন্তু, প্রহারে মৃত... ...বাকিটুকু পড়ুন

লবণ্যময়ী হাসি দিয়ে ভাইরাল হওয়া পিয়া জান্নাতুল কে নিয়ে কিছু কথা

লিখেছেন সম্রাট সাদ্দাম, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১:৫৪

ব্যারিস্টার সুমনের পেছনে দাঁড়িয়ে কয়েকদিন আগে মুচকি হাসি দিয়ে রাতারাতি ভাইরাল হয়েছিল শোবিজ অঙ্গনে আলোচিত মুখ পিয়া জান্নাতুল। যিনি একাধারে একজন আইনজীবি, অভিনেত্রী, মডেল ও একজন মা।



মুচকি হাসি ভাইরাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবন চলবেই ... কারো জন্য থেমে থাকবে না

লিখেছেন অপু তানভীর, ০২ রা মে, ২০২৪ সকাল ১০:০৪



নাইমদের বাসার ঠিক সামনেই ছিল দোকানটা । দোকানের মাথার উপরে একটা সাইনবোর্ডে লেখা থাকতও ওয়ান টু নাইন্টি নাইন সপ ! তবে মূলত সেটা ছিল একটা ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। প্রায়ই... ...বাকিটুকু পড়ুন

দেশ এগিয়ে যাচ্ছে; ভাবতে ভালই লাগে

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০২ রা মে, ২০২৪ দুপুর ১:০৩


বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল নেতিবাচক। একই বছরে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল প্রায় ১ শতাংশ। ১৯৭৩ সালে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রবৃদ্ধি ছিল ৭... ...বাকিটুকু পড়ুন

×