somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ঈশ্বর সম্পর্কে আমার কিছু প্রশ্ন নাস্তিক ভাইদের কাছে

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ২:৫৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বেশ কিছুদিন ধরে Neil Tyson, Richard Dawkins, Sam Harris, Lawrance Krauss এর কিছু বিতর্ক দেখছিলাম। তাদের লেকচারগুলো অনেকটা বিজ্ঞান কেন্দ্রিক আর বিজ্ঞান নিয়ে আমার কোন আপোষ নেই। সেটা তার নিজস্ব গুনে চলছে আর আধুনিক বিশ্বের অগ্রগতির পিছনে বিজ্ঞানের ভুমিকা অনেক বেশি । তবে বিজ্ঞানের মাধ্যমে যখন তারা নাস্তিকতাকে প্রমোট করে তখন আমার কাছে কেন জানি অযৌক্তিক মনে হয়। জানি নাস্তিক ভাইদের অবশই এর পিছনে কোন যুক্তি থাকবে। সেই আশায় কমেন্ট করেছিলাম তাদের বেশ কিছু ভিডিওতে। তবে আশানুরূপ কোন উত্তর পাইনি। Quora এখানে ভাল সাহায্য করেছে সেখানে অনেক জ্ঞানি লোক আছে তবে তাদের উত্তরে বেশ প্রখর কঠিন ইংরেজির প্রয়োগ দেখেছি। অখানে অনেক টার্মই আমার কাছে অচেনা ছিল। সেই সুযোগে অনেক নতুন টার্ম জানলেও সোজাসাপটা উত্তর আমি পেলাম না। আমি জানি হয়তো এখানেও ভিন্ন কিছু হবে না তবে জটিল টার্মে না গিয়ে এখানে সোজা সরল ভাষায় জানতে পারবো দেখে প্রশ্ন তুললাম।


কোন রকম ঈশ্বরের সংজ্ঞা

আমার কাছে ঈশ্বরের সংজ্ঞা হচ্ছে সে সব কিছু সৃষ্টি করেছে। যেহেতু সে সময় ও স্থান সৃষ্টি করেছে তাই সে এই দুইয়ের ঊর্ধ্বে। জগতের যা কিছু আছে সে নিয়ন্ত্রণ করছে। অতীত, বর্তমান, ভবিষ্যৎের যেকোন কিছুর জ্ঞান আছে তার কাছে। তার ক্ষমতাও অতুলনীয়। তবে উত্তরের সময় প্রয়োজনের স্বার্থে আপনি ইসলাম,খ্রিষ্ট, হিন্দু ধর্মের ঈশ্বরের কথা যোগ করতে পারেন , সমস্যা নাই।


ক । ঈশ্বর অনেক সময় এমন প্রাকৃতিক দুর্যোগ নিয়ে আসে যাতে নিরীহ মানুষ, শিশু মারা যায়, গরিব মানুষের ধনসম্পদ নষ্ট হয়। কিন্তু ঈশ্বর যেহেতু অতীত বর্তমান ভবিষ্যৎ সব জানে। এর পিছনে হয়তো ঈশ্বরের এমন কোন ইচ্ছা আছে, আরও মহৎ যেটা এই ঘতনার উপর নির্ভরশীল। কিন্তু মানুষের যুক্তির সীমাবদ্ধতার কারনে আমরা সেটা বুঝতে পারছি না। যেমন ধরুন, ৬৪ মিলিয়ন বছর আগে যখন গ্রহাণু পৃথিবীর বুকে পড়েছিল তখন ঈশ্বর হয়ত পৃথিবীকে বসবাস উপযোগই করার জন্য বৃহৎ সরীসৃপদের ( যারা মানুষের অস্তিত্বকে টিকতে দিবে না এমন ক্ষমতা রাখে) নিধনের জন্য করেছিল। যেটা আমরা ক্ষুদ্র সময় ধরে অনুধাবন করছি বলে বুঝতে পারছি না, এমন প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঈশ্বরের সুদূরপ্রসারি চিন্তার একটা সাময়িক অংশ নয়কি ?

খ । কোয়ান্টাম ফিজিক্স বিজ্ঞানীদেরও অজানা জগত। এই জগত সম্পর্কে ধারনা করতে পারা বা অনুমান করতে পারা অসম্ভব যেটা ক্লাসিক্যাল ফিজিক্সে করা সম্ভব। আর কোয়ান্টাম ফিজিক্স বিরাজ করে প্রতিটি ম্যাটারে। এটা কি ঈশ্বরের জগতের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখার প্রমান নয়? যেটা বিজ্ঞানিরা ঈশ্বরের লীলা হিসেবে মেনে নিতে পারছে না সৃষ্টিতে উপস্তিত থাকার কারনে ( আর নাস্তিক বিজ্ঞানীদের একগুয়েপনার কারনে)।

গ । "বাস্তব" বা রিয়ালিটি কেন ঈশ্বরের প্রমান নয়? বাস্তব অস্তিত্বময়, তাহলে ঈশ্বর (যে বাস্তবকে সৃষ্টি করেছে) সে অস্তিত্বময় না ?

ঘ । অনেকে মিলিটেন্ট নাস্তিকরা আস্তিকদের দ্বিধান্বিত করে একটা ছোট্ট প্রশ্নের মাধ্যমে। তা হল "স্রষ্টা যদি সৃষ্টি করে থাকে তাহলে স্রষ্টাকে কে সৃষ্টি করলো?" ব্যাপারটা নিয়ে আমার কথা হচ্ছে, স্রষ্টা চাইলেই নিজের কপি বানাতে পারবে না। কারন সে সময় ও স্থানের ঊর্ধ্বে এক সত্ত্বা। যদি সে তার পর আরেক স্রষ্টা বানাতে চায় তাহলে তাকেও হতে হবে সময় ও স্থানের ঊর্ধ্বে। কিন্তু স্রষ্টা যদি তাকে বানাতে যায় তাকে অবশই একটা স্থানে বানাতে হবে বা সময়ে বানাতে হবে। কিন্তু সেটা তো সম্ভব না। কেননা সময় আর স্থানের বাইরে সৃষ্টি তো সম্ভব না। তার মানে স্রষ্টারও আরেক স্রষ্টা বানানো সম্ভব না। তাই স্রষ্টার স্রষ্টা বলতে কিছু নাই।

তাছাড়া আরেকটি কারন হতে পারে, স্রষ্টা যদি স্রষ্টা সৃষ্টি করে তাহলে নতুন স্রষ্টা আসলে "সকল কিছুর সৃষ্টিকর্তা" হল না। তার মানে সে আসলে স্রষ্টাই না। বিজ্ঞানিরা বিগব্যাঙ এর আগে কি হয়েছিল সেটাকে ইনভেলিড প্রশ্ন মনে করে স্রষ্টার স্রষ্টা বা স্রষ্টার আরেক স্রষ্টা বানানোও ইনভেলিড। এটার কি কোন জবাব আছে ?


এখানে আমি কোন দিক দিয়ে ভুল , কমেন্ট করুন।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ২:৫৮
১৫টি মন্তব্য ১০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শ্রমিক সংঘ অটুট থাকুক

লিখেছেন হীসান হক, ০১ লা মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪৮

আপনারা যখন কাব্য চর্চায় ব্যস্ত
অধিক নিরস একটি বিষয় শান্তি ও যুদ্ধ নিয়ে
আমি তখন নিরেট অলস ব্যক্তি মেধাহীনতা নিয়ে
মে দিবসের কবিতা লিখি।

“শ্রমিকের জয় হোক, শ্রমিক ঐক্য অটুট থাকুক
দুনিয়ার মজদুর, এক হও,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কিভাবে বুঝবেন ভুল নারীর পিছনে জীবন নষ্ট করছেন? - ফ্রি এটেনশন ও বেটা অরবিটাল এর আসল রহস্য

লিখেছেন সাজ্জাদ হোসেন বাংলাদেশ, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪

ফ্রি এটেনশন না দেয়া এবং বেটা অরবিটার


(ভার্সিটির দ্বিতীয়-চতুর্থ বর্ষের ছেলেরা যেসব প্রবলেম নিয়ে টেক্সট দেয়, তার মধ্যে এই সমস্যা খুব বেশী থাকে। গত বছর থেকে এখন পর্যন্ত কমসে কম... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রতিদিন একটি করে গল্প তৈরি হয়-৩৭

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৫১




ছবি-মেয়ে ও পাশের জন আমার ভাই এর ছোট ছেলে। আমার মেয়ে যেখাবে যাবে যা করবে ভাইপোরও তাই করতে হবে।


এখন সবখানে শুধু গাছ নিয়ে আলোচনা। ট্রেনিং আসছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

একাত্তরের এই দিনে

লিখেছেন প্রামানিক, ০১ লা মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৬


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

আজ মে মাসের এক তারিখ অর্থাৎ মে দিবস। ১৯৭১ সালের মে মাসের এই দিনটির কথা মনে পড়লে এখনো গা শিউরে উঠে। এই দিনে আমার গ্রামের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে

লিখেছেন মিশু মিলন, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ৯:২০



তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×