somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ভিগানদের সম্পর্কে ভুল ধারনা (কিউ অ্যান্ড এ) পর্ব ১

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


ভিগানদের সম্পর্কে আমাদের অনেকেরই ভুল ধারনা আছে। ভিগান  যারা তাদের পিছনে অনেক সময় ধর্ম,  অনেক সময় স্বাস্থ্য,  অনেক সময় নৈতিকতা, আবার অনেক সময় পরিবেশ সচেতনতা কাজ করে। এটা বলাবাহুল্য যে ভিগানরা তাদের খাদ্যঅভ্যাসের মাধ্যমেই নিজের ও পরিবেশের অনেক উপকার করছে।

আমি এখানে ধর্মনিরপেক্ষ ভিগানদের নিয়েই কথা বলবো কারন ধর্মীয় ভিগানদের খাদ্যঅভ্যাসের পিছনে কিছু স্পিরিচুয়াল ব্যাপার আছে (যেমন আত্মার পরিশুদ্ধি) এই ব্যাপারগুলো সার্বজনীনভাবে গ্রহনযোগ্য নয়। বৈজ্ঞানিক , নৈতিক ও পরিবেশগত ব্যাপারই এখানে আলোচনা করা হবে যা পাঠক সহজের গ্রহন করতে পারবে। আমি খেয়াল করলাম প্রশ্নউত্তরের মাধ্যমে লিখলে কোন বিষয়কে সহজে ব্যাখা করা যায়। এই নতুন সিরিজে আমি তাই করার চেষ্টা করবো।

১. ভিগান কারা?



ভিগানরা শুধুমাত্র উদ্ভিদজাত খাবারের খেয়ে থাকে (অর্থাৎ ফলমুল, সবজি, শস্যজাত খাবার ইত্যাদি )। ভিগানদের অনেকগুলো ধরন আছে। আমি এখানে শুধুমাত্র র-ভিগান (১০০% উদ্ভিজ খাবার খায়) তাদের কথাই বলবো।

২. কেন তারা ভিগান?



এর অনেক কারন কাছে। অনেকে ধর্মীয় কারনে। ধর্মনিরপেক্ষ ভিগানদেররা স্বাস্থ্যসচেতনতা, পরিবেশ সচেতনতা, নৈতিক কারনে ভিগান।

ভিগানরা প্রাণীদের ব্যবহারের ব্যাপারে খুবই আপেক্ষিক। মানে সবচেয়ে কম প্রানের ব্যবহার করে সবচেয়ে বেশি মানবিকতার মাধ্যমে জীবন নির্বাহ করাই তাদের উদ্দেশ্য।

৩. যেখানে প্রোটিনের সবচেয়ে বড় উৎস হচ্ছে মাছ-মাংস-ডিম সেখানে ভিগানরা প্রোটিনের চাহিদা পুরন করে কিভাবে ?
 






এটা খুবই কমন একটা ভুল ধারনা। মাংস-মাছ-ডিমে অবশ্যই অনেক প্রোটিন আছে। তার মানে এই না যে অন্য কোথাও পর্যাপ্ত প্রোটিন নেই। বোরো চাল, চিনাবাদাম, ডাল, পানিফল, গমের রুটি, পাস্তা, ফুলকপি, বাধাকপি, পালং শাঁখে প্রচুর প্রোটিন আছে। অনেকে মনে করে ভিগানদেররা প্রোটিনের অভাবে ভুগে। তবে রাইসে যে পরিমান প্রোটিন আছে তা আমাদের দৈনন্দিনের চাহিদা পুরন করার জন্য যথেষ্ট। আর এইসব সুলভ খাবার তুলনামূলক খুব কম খরচে পাওয়া যায়।

৪. কি নৈতিক কারনে ভিগানরা প্রাণীজ খাবার (মাছ মাংস ডিম) খায় না ?




বেশ কিছু নৈতিক কারন আছে যার কারনে তারা প্রাণীজ খাবার জাতীয় খাবার খায় না।

ক। প্রাণীকে ব্যাথা দিয়ে হত্যা করা হয় আমাদের খাবারের ব্যবস্থা করার জন্য যেখানে সেটা থেকে দূরে থেকেও আমাদের খাবারের চাহিদা পুরন করা সম্ভব।
খ। প্রানিদের সারাজীবন কষ্ট দিয়ে শুধু আমাদের কয়েক বেলার খাবারের ব্যবস্থা করা খুবই পাশবিক , অমিতব্যয়ি একটা সিদ্ধান্ত।
গ।  আমাদের খাবারের ব্যবস্থা করতে প্রানিদের ফার্মে পালন করে  যে পরিমান জমি প্রয়োজন (খাবারের জমি, ফার্ম ইত্যাদি ), শস্য প্রয়োজন (প্রানির সারাজিবনের খাবার, আমিষের ডিশে সাপ্লিমেন্টারি মশলা, সবজি ইত্যাদি) তার থেকে কমপক্ষে ৮গুন কোন জমি খরচ করেই সেই পরিমান খাদ্যচাহিদা পুরন করা সম্ভব।
খ। দুধ, ডিম সেটা প্রানির প্রয়োজনের।  গরুর ক্ষেত্রে যদি বলি, তাদের দুধগ্রন্থি সক্রিয় থাকে তাদের বাচ্চাদের খাবারের ব্যবস্থা করার জন্য। সেটাকে মানুষ মেনুপুলেট করে সময় দীর্ঘায়ত করে দুধের ব্যবসা করার জন্য। যেটা কিনা গরুর জন্য খুবই কষ্টকর। একটা স্বাভাবিক গরু প্রায় ২০ বছরের আয়ু থাকে, ডেইরি ফার্মে দুধের জন্য ব্যবহৃত গরুর আয়ু থাকে গড়ে প্রায় ৫ বছর। সেটা খুবই দুঃখজনক।
গ। পৃথিবীর প্রায় ৭০% মানুষ লেকটস ইনটলারেন্স মানে মায়ের দুধ ছাড়া অন্য কোন প্রকার দুধ হজম করতে সমস্যা হয়। যেই খাদ্য আমাদের অধিকাংশ হজম করতে পারি না তার জন্য অন্য প্রাণীকে জীবনভর কষ্ট দেয়া মতেই নৈতিক মনে করে না ভিগানরা।
 
৫. উদ্ভিদেরও প্রান আছে। তাদের লতাপাতা ফল খাওয়া কি অনৈতিক হবে না?

অনেকে প্রানির হাত, পা মাথার সাথে উদ্ভিদের অংশের তুলনা দেয় সেটা মতেই যুক্তিযুক্ত নয়।

জীববিজ্ঞানীরা পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে উপসংহারে এসেছে যে উদ্ভিদের ব্যাথা অনুভুতি নেই।  এমনকি কিছু জলজ প্রাণী, পোকামাকড়েরও ব্যাথা অনুভব করার ক্ষমতা নেই কারন তাদের ব্রেইনের কোন কর্টেক্স নেই যেটা ব্যাথাকে অনুভব করবে।  এমনকি উদ্ভিদের কিছু অংশ কেটে দিলে তাদের জন্য উপকার, তারা সহজে আরও বাড়তে পারে। যারা ব্যাথা অনুভব করে তাদের বলা হয় sentient being । এক প্রজাতির ভিগান আছে ১০০% উদ্ভিজ খাবার না হয়ে শুধুমাত্র sentient প্রাণীদের পরিহার করে। এদের বলা হয় pescatarian.

তার মানে উদ্ভিদ হত্যা করা বা তাদের কোন অংশ কাটা তাদেরকে কষ্ট দেয়া হবে না। মানে সেটা অনৈতিক হবে না।

৬. আমাদের দাতই প্রমান করে আমরা সর্বভুক। তাহলে কেন শুধু উদ্ভিজ খাবার খাব ?

 
আমাদের দাত মোটেই প্রমান করে না আমরা সর্বভুক। সর্বভুক প্রানির পাশের দাত অনেক ধারালো ও বড় থাকে যা কাচা মাংস কেটে ফেলতে সাহায্য করে। তবে আমাদের শরীরের অনেক অংশ প্রমান করে আমাদের কয়েক মিলিয়ন বছর আগের পূর্বপুরুষরা ভিগান ছিল। তবে পরিস্থিতিগত কারনে পরবর্তীতে কিছু এপ মাংস ও উদ্ভিদ উভয়কে খাদ্য হিসেবে গ্রহন করে, আমাদের ন্যাচারাল সিলেকশনও সেটায় সায় দেয়।




ভিগানদের প্রাণীজ খাবার ত্যাগ করার কারন স্বাস্থ্য, নৈতিকতা ও পরিবেশ। তারা প্রাণীজ খাবার ত্যাগ করাই উত্তম মনে করে। এটা প্রাকৃতিক নিয়মকে বাধাগ্রস্থ করা হচ্ছে না। বরং পরিবেশবিদরা মনে করে পৃথিবীর সবাই যদি ভিগান হয় তাহলে মাত্র যুক্তরাষ্ট্রের কৃষিকাজে ব্যবহৃত জমির মধ্যেই পৃথিবীর  সকল মানুষের খাদ্যচাহিদা পুরন করা যাবে আরও ৪ বিলিয়ন মানুষের খাবার বেশি থাকবে।


৭. বাজারে এত এত প্রাণীজ খাবার, অনেক প্রোডাক্টের মধ্যে প্রাণীজ জাতীয় উপাদান ব্যবহার করা হয় যা লেবেল না দেখলে বুঝাই যায় না, অনেকগুলো তো লেবেল দেখলেও বুঝা যায় না। এমন পরিস্থিতিতে ভিগান হওয়া খুবই কঠিন নয় কি ?

 
Imperfect পৃথিবীতে perfect থাকা অনেক কঠিন। ভিগানদের মুল ফিলোসফিকে যদি এক লাইনে বলি তাহলে হবে
A way of living which seeks to exclude, as far as is possible and practicable, all forms of exploitation of, and cruelty to, animals for food, clothing or any other purpose.
 
৮.  উদ্ভিজ খাবার খাবার খুবই "নিরামিষ" (Boring).  শুধু উদ্ভিজ খাবার খেয়ে আমি থাকতে পারবো বলে মনে হয় না ?  
 
 যাদের জন্ম হয়েছে ভিগান পরিবারে তাদের এই প্রবনতা নেই। কারন তারা বড় হয়েছে সেভাবে। তাদের কাছে সবচেয়ে মুখরোচক খারাপ উদ্ভিজ খাবার ডিশই। কিন্তু তারা জীবনে প্রাণীজ খাবার খেয়ে এসেছে তাদের কাছে প্রাণীজ খাবার ভাল লাগেনি এটা হয় না। যারা জীবনের এক পর্যায়ে ভিগান হয়েছে তাদের আর সঠিক alternative জেনেছে তাদের কাছে ভিগান হওয়া মোটেই "আমিষ" (boring) মনে হয়নি।












গরুর দুধের বিকল্প হিসেবে আছে Rice Milk, Coconut Milk, Macadamia Nut Milk, Oat Milk, Flax Milk, Hemp Milk, Hazelnut Milk, Soy Milk, Almond Milk। তাছাড়া ডিম,দই এমনকি মাংসেরও বিকল্প আছে। আপনি যে খাবারই খেতে চান না কেন সেটার কম হলেও ১০টা উদ্ভিজ বিকল্প আছে।
 
৯. প্রাণীজ খাবার খাবারের স্বাস্থ্যঝুকি কি আছে ? সব প্রাণীজ খাবার কে কেন একই সারিতে ফেলা হচ্ছে? অনেক উপকারি প্রাণীজ খাবার খাবার কি নেই ?

 
প্রাণীজ খাবার প্রতিটিতেই কম বেশি স্বাস্থ্যঝুকি আছে। আর আমি এখানে খাবারে ভেজালের কথা বলছি না, বলছি সেটা প্রাকৃতিকভাবে প্রানির শরীরে থাকে। লাল মাংস প্রচুর ক্ষতিকর।  হৃদরোগ, রক্তচাপ এমনকি ক্যান্সারের জন্য লাল মাংস দায়ি। প্রক্রিয়াজাত মাংস কিছু কেমিক্যাল তৈরি করে যেটা আমাদের পরিপাকতন্ত্র সঠিকভাবে  করতে পারে না, যা পরে ক্যান্সার সৃষ্টি করে। মাছে বিশেষ করে সামুদ্রিক মাছে পারদ থাকে। অধিকাংশ মানুষ দুধ হজম করতে পারে না। ডিমের মধ্যে ক্ষতিকারক উপাদান আছে। অথচ এই সব খাবারের উদ্ভিজ বিকল্পে খুবই কম বা শূন্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে।








 
১০. ভিগানরা কোন দুর্গম মরুভূমি বা দ্বীপে আটকা পড়লে কি করবে ?


এ ধরনের ঘটনা খুবই আনকমন। কিন্তু এই প্রশ্নটা খুবই কমন। কোন দ্বিপে আটকা পড়লে উদ্ভিজ খাবার পাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। সঠিক পাতা, ফল চিনে নিতে হবে। আর মরুভূমিতেও সঠিক পথে হাঁটলে অনেক আগাছা পাওয়া যাবে সেটা বেচে থাকতে সাহায্য করবে।  গুগল Desert Survival Tips বা Island Survial Tips লিখে সার্চ করলে অনেক ভাল ভাল আর্টিকেল পাবেন। খেয়াল করলে দেখবেন প্রাণীজ খাবারর থেকে উদ্ভিজ খাবারই বেচে থাকার লড়াইয়ে বেশি কমন।



আর এমন এক্সত্রিম সময় বেচে থাকাটাই যখন মুখ্য তখন কোন উপায় না থাকলে প্রাণীজ খাবারের শরণাপন্ন হওয়া ভুল কিছু হবে না। তবে এমন ঘটনার সাথে দৈনন্দিনের তুলনা করা মতেই যৌক্তিক নয়।


 
১১. গবাদি পশু দ্রুত বংশবৃদ্ধি করে, তাদের খাবার হিসেবে খেয়ে আমরা পশুসংখা নিয়ন্ত্রনে রাখছি বলে আমার মনে হয়।

 
গবাদি পশুর অতিরিক্ত বংশবৃদ্ধির পিছনে আসলে ফারমিং দায়ি। ফার্মে প্রাণীদের প্রজননক্ষমতা হওয়ার সাথে সাথে তাদের থেকে বংশবৃদ্ধি করার ব্যবস্থা করে দেয়। স্বাভাবিক বংশবৃদ্ধি মোটেই এত বেশি না, ক্রিত্তিমভাবে করায় সেই প্রবৃদ্ধি কয়েক গুন ছাড়িয়ে যায়।
 
 
১২. যদি প্রাণী হত্যা করা ভুল হয়ে থাকে তাহলে পৃথিবীর অন্যপ্রাণীরা যে অন্য প্রাণীদের হত্যা করছে, এটাও তো ভুল। ভিগানরা কি ভবিষ্যতে এটাও বাধাগ্রস্থ করবে ? তারা কি আমাদের পুরো খাদ্যচক্র নস্ট করে দিতে চায় ?

 
পৃথিবীর সব মানুষ ভিগান হয়ে গেলেও খাদ্যচক্রে কোন বাধা আসবে না। মানুষের জন্য ভাল হবে যে খাদ্যবণ্টন ঠিক হলে পৃথিবীর কোন মানুষ আর অনাহারে মরবে না । প্রত্যেকের চাহিদার থেকে দিগুন উৎপাদন সম্ভব। জেসব প্রাণী আমরা খাই সেই প্রাণীদের সারাজীবন কষ্ট দেয়া থেকে বিরত থাকা যাবে সাথে সাথে স্বাস্থ্য রক্ষাও হবে।
অন্য প্রাণীদের ক্ষেত্রে বিশেষ করে মাংসাশী , তৃণভোজী প্রাণীদের ক্ষেত্রে খাদ্যঅভ্যাস পরিবর্তন করা সম্ভব না কারন তাদের পরিপাকতন্ত্র সেটা নিতে পারবে না। কিন্তু মানুষ পারবে। আমাদের এই শারীরিক ক্ষমতা আছে আর আমরা নিজেদের পৃথিবীর সবচেয়ে উন্নত প্রাণী  বলার দাবিদার। তাহলে কেন আমরা এই সিদ্ধান্ত নিব না যা সবার জন্যই ভাল হয়।

 
১৩. আমি খুব খেলাধুলা করি, আর জিমও প্রতিনিয়ত করি। আমার প্রচুর প্রোটিন দরকার হয়। আমি মনে করি না এথলেটরা ভিগান হতে পারে। আপনার কোন জবাব আছে ?

আপনি ভিগান হলেও খুব সহজে আপনার স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে পারবেন এমনকি আপনি এথলেটিক ক্যারিয়ার বেছে নিলেও কোন সমস্যা হবে না।  অনেক টেনিস প্লেয়াল ভেনাস উইলিয়াম  সেলেনা উইলিয়াম, অনেক অলেম্পিক স্বর্ণজয়ী, ম্যারাথন প্রতিযোগী, বেলে ডান্সার, সাইকেলিস্ট, বাস্কেটবল প্লেয়ার, দৌড়বিদ, অনেক হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়ন,  অনেক চ্যাম্পিয়ন রেস্লার-বক্সাররা এমনকি ক্রিকেট বিশ্বকাপজয়ী অস্ট্রেলিয়ার পেস বলার পিটার সিডেল ভিগান খাদ্যঅভ্যাস মেনে চলে।  ভিগানদের এথলেটিক ক্যারিয়ারে তাদের খাদ্যঅভ্যাস কোন সমস্যাই করে না।







১৪. উদ্ভিজ খাবারের মধ্যেও অনেক খাবার আছে যেটা আমাদের জন্য ক্ষতিকর। স্বাস্থ্যের অজুহাত দেখিয়ে ভিগান হওয়া কতটা যুক্তিযুক্ত ?


যারা প্রাণীজ খাবার খায় তারা অবশ্যই গরুর মলদ্বার খাওয়ার চেষ্টা করে না। উদ্ভিজ খাবারর ক্ষেত্রেও তাই। আমরা ভাল জিনিসগুলো গ্রহন করবো খারাপ জিনিসগুলো পরিহার। তামাকও শস্য, ধানও শস্য, একটা জীবন ঘাতক, একটা জীবন রক্ষক।

১৫. ভিগানরা মনে করে পশু খেলে নাকি পশুর মত আচরণ করে মানুষ। এর পিছনে কোন বৈজ্ঞানিক ভিক্তি নেই। আপনারা কিভাবে এটাকে সমর্থন করেন ?

ভিগানদের এক অংশ ধর্মীয় কারনে ভিগান। তারা সকল ভিগানদের প্রতিনিধিত্ব করে না। তাদের ধারনার মুল প্রেরণা ধর্ম। ধর্মনিরপেক্ষভাবে যারা ভিগান তারা এই কথার সমর্থন দেয় না। সচেতনতা তাদের ভিগান হওয়ার মুল প্রেরণা, আত্মিকটতা নয়।

১৬. কৃষিজাতে প্রানির ব্যবহারকে ভিগানরা কিভাবে দেখে ? সেটা কি প্রাণীদের কষ্ট দেয়া নয় ?

এটা ঠিক যে কৃষিকাজের জন্য প্রাণীদের ব্যবহার করা হয়। যেহারে প্রাণী খাদ্য হিসেবে গ্রহন করার জন্য মারা জাচ্ছে (১০ বিলিয়নের বেশি গবাদি প্রাণী প্রতিবছর) সেই তুলনায় এটা কিছুই না। আর চাষাবাদের ফলে যে হারে প্রাণী মারা যা তা নিতান্তই নগণ্য। প্রাণীদের চাষাবাদে ব্যবহারের ক্ষেত্রে আমরা সচেতন হলে তাদের এই ব্যাপারেও কষ্ট পাবে। মানুষের প্রয়োজনে প্রানির ব্যবহার করা এক জিনিস আর জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত কষ্ট নিয়ে মারা অন্য। যুগ পাল্টানোর সাথে সাথে নতুন প্রজুক্তি আমাদের কাছে এসেছে, পৃথিবীতে ভিগানদের সংখ্যা আরও বাড়লে
এই ব্যাপারে মানুষ আরও সচেতন হবে এক সময় কৃষিকাজে প্রাণী আর দরকার হবে না।

১৭. আমাদের কি গরুর দুধ দরকার হয় না শক্ত হাড়ের জন্য ?





ডেইরি ইন্ডাস্ট্রির প্রমোশনের কারনে ভোক্তাদের মাঝে অনেক সময় ভুল পারসেপ্সন কাজ করে এটা তার একটা উদাহরন এটা। যে পরিমান ভিটামিন ডি আমাদের দরকার তা খুব সহজেই উদ্ভিজ খাবার খাবারের মধ্যে পাওয়া যায়।


১৮. বাচ্চারাউদ্ভিজ খাবার খাবার খেতে পছন্দ করে না। তাদের পুষ্টি চাহিদা পুরন করার জন্য আমার কাছে প্রাণীজ খাবারই মক্ষম মনে হয় ?








যে পরিবারে প্রাণীজ খাবার খাবার থাকে সেখানে মুলত এই সমস্যা হয়। বিকল্প যে খাবারের কথা ৮ নাম্বারে বলা হয়েছে এমন কিছু বিকল্প খারাপ অবশ্যই তাদের ভাল লাগবে। স্টাডি বলে বিকপ খারাপ আরও বেশি সারা ফেলেছে তাদের মাঝে। মানে তাদের পছন্দের খারাপ ও পুষ্টি চাহিদা দুটিই পুরন করা সম্ভব উদ্ভিজ খাবার দ্বারা।


আশা করি কমেন্টে আরও প্রশ্ন পাব। কমেন্টে করা প্রশ্নগুলো সাথে আমার নির্বাচিত আরও ১৫টি প্রশ্ন যুক্ত করে পরবর্তী পর্ব লিখবো। আশা করি সবার সহযোগিতার মাধ্যমে সবার ভ্রমঘাত হবে। সবাইকে ধন্যবাদ।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৮
২৩টি মন্তব্য ১৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

খুলনায় বসবাসরত কোন ব্লগার আছেন?

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:৩২

খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় তথা কুয়েট-এ অধ্যয়নরত কিংবা ঐ এলাকায় বসবাসরত কোন ব্লগার কি সামুতে আছেন? একটি দরিদ্র পরিবারকে সহযোগীতার জন্য মূলত কিছু তথ্য প্রয়োজন।

পরিবারটির কর্তা ব্যক্তি পেশায় একজন ভ্যান চালক... ...বাকিটুকু পড়ুন

একমাত্র আল্লাহর ইবাদত হবে আল্লাহ, রাসূল (সা.) ও আমিরের ইতায়াতে ওলামা তরিকায়

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৬:১০



সূরাঃ ১ ফাতিহা, ৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
৪। আমরা আপনার ইবাদত করি এবং আপনার কাছে সাহায্য চাই।

সূরাঃ ৪ নিসার ৫৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৯। হে মুমিনগণ! যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় রাজাকাররা বাংলাদেশর উৎসব গুলোকে সনাতানাইজেশনের চেষ্টা করছে কেন?

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সম্প্রতি প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন? শিরোনামে মোহাম্মদ গোফরানের একটি লেখা চোখে পড়েছে, যে পোস্টে তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘুষের ধর্ম নাই

লিখেছেন প্রামানিক, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

মুসলমানে শুকর খায় না
হিন্দু খায় না গাই
সবাই মিলেই সুদ, ঘুষ খায়
সেথায় বিভেদ নাই।

হিন্দু বলে জয় শ্র্রীরাম
মুসলিম আল্লাহ রসুল
হারাম খেয়েই ধর্ম করে
অন্যের ধরে ভুল।

পানি বললে জাত থাকে না
ঘুষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×