somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পিচ্চি বেলা -২ ( আমার জীবনে খাওয়া সেইসকল ইউনিক ক্র‌্যাশগুলো {এখানে প্রেমে পড়া অর্থে ব্যবহৃত})

০৩ রা মে, ২০১২ রাত ৮:২০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মানুষ সর্বভুক প্রাণী..মানুষ ভাত খায় - নাস্তা খায় - ভেজ-ননভেজ খায় আর সামুতে ক্যাচালের সময় আলুপোড়া খায় ..আর সিংগেলরা এক্স্ট্রা একটা জিনিষ খায় সেইটা হল আমার মত প্রেমে ক্র্যাশ খাওয়া .......
এইজীবনে যে কত কিছুর প্রেমে আমি পড়ছি তার কোনো ইয়ত্তা নাই ...সেই সকল প্রেমগুলো ছিলো কখন এক পলক স্হায়ী - দুই পলক স্হায়ী - একটু স্বল্প স্হায়ী- স্বল্প স্হায়ী - নাতি দীর্ঘ স্হায়ী - দীর্ঘ স্হায়ী ইত্যাদি ... তো আজকে আমার জীবনে পড়া কয়েকটি ইউনিক ক্র‌্যাশের কথা আজকে ব্লগে দিলাম ..

১। জীবনের প্রথম ক্র্যাশ : আমি তখন নার্সারী কি কেজিতে পড়ি ..আমাদের পাশের বিল্ডিংয়ে একটা ভার্সিটি পড়ুয়া আপু থাকতো ..তো প্রথমবার আপুকে পর স্ট্রেইট পাগল হয়ে গেছিলাম...তখন তো আর এতো কিছু বুঝতাম না আর খুব বেশী কিছু মনেও নাই ... তবে একটা কথা মনে আছে যে, আপুটা ভার্সিটির ক্লাশ শেষ করে সাড়ে তিনটার দিকে বাসায় ফিরত..তো আমি আপুটাকে একনজর দেখার জন্য ঐ রৌদ্রের মধ্যেই ব্যাট-বল-সাইকেল নিয়া নীচে নামতাম আর খাঁ-খাঁ রোদে একা একা খেলতাম ( এইজন্য বহুত মাইর খাইছি মার কাছে)....আর আপুটা বিকালে পাঁচটার দিকে বারান্দায় বসত আর আমি তখন সুবোধB-)B-) বালকটির মত ড্রইং করতে বসতাম বারান্দায়..
কয়েকদিন পর আপুটা এলাকা ছেরে চলে যায় এখন তার বিয়েও সম্ভবত হয়ে গেছে.....
২। স্কুলের প্রিফেক্ট ভয়ংকর : আমি তখন ১ ...এ এলাকার একটা স্কুলে ভর্তি হইছি ...... তো ঐ স্কুলে প্রতিদিন আ্যসেম্বলি হইত.... আর আ্যসেম্বলি সামলাইতো প্রিফেক্টরা ... তো একদিন আ্যসেম্বলিতে দুষ্টামি করার সময় এক এইটের প্রিফেক্ট আপু এসে আমার কান মলে দিল.... সত্যি কথা ঐদিন কানমলা খেয়ে এক্কেবারে দিওয়ানা হয়ে গেছিলাম ....এরপর থেকে ইচ্ছা কইরা প্রতিদিন কান মলা খাইতাম B-)) :#>..... নাইনে আপুটা স্কুল ছাইরা দেয় :((:((:(( ... আমার কানমলা খাওয়া ইতি ঘটে

৩। যেইটার ক্র‌্যাশ খেয়ে একদম দিওয়ানা এই আমি : এইটা ক্র‌্যাশ টা আমার জীবনে অন্যতম প্রধান ক্র‌্যাশ .. ক্লাশ থ্রিতে থাকতে আমি এইটা ইন্টার স্পোর্টস থেকে কিনে আনি ..
(গুগল থেকে সংগৃহিত .. আমারটার লোগাটা একেবারে মাঝে)
এইটা হল আমার ম্যান ইউ এর একটা কীট.... মজার ব্যাপার হচ্ছে এই জার্সিটা এখন আমার গায়ে ফিট হয় .. ছয় বছর আগে যে কেমন লাগতো সেইটা চিন্তা করে নেন( তখন জার্সিটা পড়লে আর প্যান্ট পড়া লাগতো না B-)) ... ক্লাশ থ্রি তে থাকতে সারাদিন এইটা পড়ে থাকতাম ... এলাকার কোনো বড় কোনো ম্যাচ থাকলে এইটা পড়তাম .... ক্লাশ এইটে উঠে ফুটবল খেলা ছাড়ার আগ পর্যন্ত আমি সব ইম্পোরটেন্ট ম্যাচে এইটা পড়ছি ..... এবং যখনই গোল করতে পারতাম তখনই ম্যান ইউর লোগোটাতে একটা চুমু খেয়ে লোগো টা উচায় ধরতাম.. ঐটা ছিল আমার ফেভারিট সেলিব্রেশন.....এখনও দিনগুলো মনে পড়লে মনটা খারাপ লাগে ...
৪। হ্যারি পটারের মেয়েটা আমায় পাগল করেছে : বেশী কিছু বলবো না .... প্রিজনার অফ আযকাবান এর পর থেকে আমারে এমা ওয়াটসন কি একটা মোহ করছে সেই মোহটা এখনও ছাড়ায় নাই .... ছাড়াবে বলে আশাও নাই


( এমার জন্য জান দিয়া দিমু..... খবর্দার কেউ কমেন্টে বলবেনন না যে এমা আমার না আপনার :P:P )
৫/ আমার রাত জাগার সাথি ;);) : আমার রাত জাগার সাথী ... এইটা দিয়া রিয়েল এবং সিরিয়াস গেমিং জগতে হাতে-খড়ি ..
( আমার Hp Notebook 520)
ফাইভের বৃত্তি পরিক্ষার পর সারারাত এইটা দিয়া ফিফা ৯ খেলতাম .. এখনও মনে আছে ভোর সাতটায় ঘুমাইতাম ফিফা খেলা শেষ করে আর উঠতাম দুপুরে.. ... আমার জানের টুকরা ছিলো এইটা.... যখন ক্লাশ সিক্সে পড়ি তখন এইটা নষ্ট হয়ে যায় ..... বহু রাত এই ল্যাপ্পিটার কথা ভাইবা কান্না- কাটি করছি ..

আজ আর না .... Physics পরীক্ষা দেওয়ার সময় পোষ্টের আইডিয়া আসছে আর এখন Chemistry পড়টতে গেলাম.. পরশু পরীক্ষা X((:((:((
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা মে, ২০১২ রাত ১১:৩৫
৪৩টি মন্তব্য ৪৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অপরূপের সাথে হলো দেখা

লিখেছেন রোকসানা লেইস, ১৪ ই মে, ২০২৪ রাত ১:৩৫



আট এপ্রিলের পর দশ মে আরো একটা প্রাকৃতিক আইকন বিষয় ঘটে গেলো আমার জীবনে এবছর। এমন দারুণ একটা বিষয়ের সাক্ষী হয়ে যাবো ঘরে বসে থেকে ভেবেছি অনেকবার। কিন্তু স্বপ্ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমরা কেন এমন হলাম না!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪১


জাপানের আইচি প্রদেশের নাগোইয়া শহর থেকে ফিরছি৷ গন্তব্য হোক্কাইদো প্রদেশের সাপ্পোরো৷ সাপ্পোরো থেকেই নাগোইয়া এসেছিলাম৷ দুইটা কারণে নাগোইয়া ভালো লেগেছিল৷ সাপ্পোরোতে তখন বিশ ফুটের বেশি পুরু বরফের ম্তুপ৷ পৃথিবীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিমানের দেয়াল

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৪




অভিমানের পাহাড় জমেছে তোমার বুকে, বলোনিতো আগে
হাসিমুখ দিয়ে যতনে লুকিয়ে রেখেছো সব বিষাদ, বুঝিনি তা
একবার যদি জানতাম তোমার অন্তরটাকে ভুল দূর হতো চোখের পলকে
দিলেনা সুযোগ, জ্বলে পুড়ে বুক, জড়িয়ে ধরেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি

লিখেছেন প্রামানিক, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



২৬শে মার্চের পরে গাইবান্ধা কলেজ মাঠে মুক্তিযুদ্ধের উপর ট্রেনিং শুরু হয়। আমার বড় ভাই তখন ওই কলেজের বিএসসি সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র ছিলেন। কলেজে থাকা অবস্থায় তিনি রোভার স্কাউটে নাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিকেল বেলা লাস ভেগাস – ছবি ব্লগ ১

লিখেছেন শোভন শামস, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৪৫


তিনটার সময় হোটেল সার্কাস সার্কাসের রিসিপশনে আসলাম, ১৬ তালায় আমাদের হোটেল রুম। বিকেলে গাড়িতে করে শহর দেখতে রওয়ানা হলাম, এম জি এম হোটেলের পার্কিং এ গাড়ি রেখে হেঁটে শহরটা ঘুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×