31রোযা আমি এই প্রথম শুনলাম, অন্তত আমার স্মরণে আসে না রোযা 31শটা হয়েছে, এরকমটি কখনই শুনেছি বলে।
এখানে ঈদ নিয়ে প্রতি বছরই একটা কনফিউশন থাকে। ঈদের জন্যে সরকারী ছুটি একদিন। দিন-তারিখ হিসেব করে ক্যালেন্ডারে তারিখটা লাল কালিতে লিখে দেওয়া হয়, ছুটির দিন হিসেবে। তবে ক্যালেন্ডারের ঐ লাল কালি দেওয়া তারিখটিতে ছুটি কমই পড়ে। তিরিশদিনে রোযার হিসেবে ছুটি নির্ধারিত হয় কিন্তু প্রায় প্রতি বছরই রোযা 29দিনে শেষ হয়। যেহেতু চাঁদের উপর নির্ভর করে তাই চাঁদ দেখার খবর পাওয়ামাত্রই পরদিনটি ছুটির দিন হিসেবে ধরে নেওয়া হয়। কিছু কিছু অফিস তাও খোলা থাকে, অন্য ধর্মাবলম্বিরা এেই অঘোষিত ছুটির দিনটিতে কাজ-কর্ম করেন, ক্যালেন্ডারের লাল দাগ অনুসারে তারা পরদিন ছুটি উপভোগ করেন।
গতকাল যেমন সন্ধ্যেবেলায় কোথাও থেকেই চাঁদ দেখার কোন খবর পাওয়া যায়নি তাই মসজিদে মসজিদে তারাবীর নামাজও পড়ানো হয়েছে। কিন্তু রাত প্রায় 11টার সময় মসজিদ থেকে জানানো হয়, চাঁদ দেখা গেছে, কাল ঈদ। পাড়ার মাসজিদে রাত 12টায় ঘোষণা করা হয়, সকালে কোথায় কোথায় ঈদের নামাজ হবে।
অনেকেই রাজনীতিকে দোষারোপ করেন, এই মাঝরাত্তিরে ঈদ ঘোষণা করা নিয়ে। দিল্লির জামে মসজিদের ইমামকে দোষারোপ করেন, তিনি নাকি রাজনৈতীক কারণে প্রায় প্রতি বছরই 29রোযায় ঈদ ঘোষণা করিয়ে দেন। সত্যি -মিথ্যে আল্লাহ জানেন আর জানেন মসজিদের ইমাম আর রাজনৈতিকেরা, আমরা জন-সাধারণেরা মসজিদের ঘোষণা শুনে রোজা শুরু করি আবার ঘোষণা শুনেই 29/30 দিনের রমযান শেষ করে ঈদের আনন্দে মাতি।
কাহিনী অনেক লম্বা চওড়া হইতেসে, কাজেই শেষ করি। এই ব্লগের সমস্ত পাঠককে ঈদ অভিনন্দন।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।

