ফিত্রা দেওয়া সবার জন্যে প্রযোজ্য নয়। মানে যাদের কাছে ঠিকঠাক পয়সা কড়ি আছে তাদের উপরেই এই 'ইবাদত' ( পড়ুন দান ) বাধ্যতামুলক। যারা যাকাত নেয় তারা ফিত্রাও নিতে পারে। একদমই যারা নিম্নবিত্ত মূলত তারাই এই দান নেন। একটু বুঝিয়ে বলি, মাথা গুনে দান করতে হয়, সোয়া দু কিলো সোনালী গম বা যব'এর দাম যা হয় সেই পরিমান টাকা একজনের নামে ফিত্রা হিসেবে দেওয়া হয়। যেমন এবছর সেটা ছিল ২৭টাকা (প্রতি বছরই গমের দামানুসারে এই টাকাটা বাড়ে) । গম বা যবএর বদলে চাল, ছোলা বা যবএর ছাতু ও দেওয়া যায় ফিত্রা হিসেবে, আর এই জিনিসগুলোর মূল্য অনুসারে কোনটা কতখানি দিতে হবে তাও বলে দেওয়া আছে ঐ বইয়ে। বাংলাদেশে কিংবা এখানে, এই কোলকাতায়, সোয়া দু কিলো গমের মূল্যই দেওয়া হয় ফিত্রা হিসেবে। একজনের ফিত্রা একজনকেই দেওয়া হয়। ঈদের দিন 'সুবেহ সাদিক' ( সূর্যদয়েরও আগে দিনের আলোর আভাস যখন মাত্রই আকাশের বুক চিরে দেখা দেয়, ঐ সময়টাকে 'সুবেহ সাদিক' বলে) পরে যে শিশু ভূমিষ্ট হয়েছে তার ফিত্রাও দিতে হয়। আর এই সুবেহ সাদিকের আগে যিনি মারা গেছেন তার ফিত্রা মাফ ।
রচনা লিখছি বলে মনে হচ্ছে নিজেরই ! তো ঈদের নামাজ সেরে বাড়ি ফেরার পথেই পুরুষেরা ফিত্রা দিয়ে আসেন। ঈদাগহের ময়দানে ইমাম ঘোষণা করে দেন, এবছর ফিত্রা কত ঠিক হয়েছে। সেইমত দান সেরে বাড়িতে ঢোকা। অর্থাত্ কীনা যাঁর বাড়িতে আজ পোলাও মাংস, সেমুই হবে না তাঁদের ব্যবস্থাও হয়ে গেল ।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


