আগে থাকতে টিকেট করা ছিল, উত্তর কলকাতার ষ্টার থিয়েটার থেকে কালপুরুষ দেখে নিউ এম্পায়ারে যখন পৌঁছুলাম সিনেমা শুরু হতে তখনও দু ঘন্টা দেরী । অপেক্ষার সময় কাটাতে বারিস্তাঁ'তে বসে পড়লাম কফি আর রেসের বই নিয়ে । আধঘন্টা আগে চোখে পড়ল লাইন দিতে শুরু করেছে মানুষ , তো আমিও গুটিগুটি পায়ে লাইনে গিয়ে দাঁড়ালাম । আধ কিলোমিটারেরও বেশি লম্বা লাইন ঘুরে গিয়ে আবার পড়ছে চৌরন্গীর রাস্তায়, এমন সময় গেট খুলে ভেতরে যেতে বললে প্রায় দৌড়ে ভেতরে গিয়ে আগে ভাগে বসে পড়ি সীট নিয়ে, বলা কি যায়, টিকেট হাতে থাকলেও সীট পাবো কীনা ! যা লাইন দেখলাম ! বসে পড়ে নিশ্চিন্তে চাদর গায়ে জড়িয়ে আশ পাশে তাকাতে চোখে পড়ল, নিচে, উপরে ও তারও উপরের টাওয়ারে শুধুই মানুষের মাথা ! বাতি নিভলে চলচ্চিত্র উত্সবের পরিচিতি দেখতে দেখতেই কানে এল চেঁচামেচির আওয়াজ, ঘাড় ঘুরিয়ে পেছনে তাকাতে দেখি একদল মানুষের সাথে হাতাহাতি হচ্ছে হলে প্রহরারত লোকের । যাঁদের সাথে হাতাহাতি হচ্ছে তারা সবাই পাসধারী, আর প্রহরীদের বক্তব্য, এখানে আর সীট নেই, কার্ড নিয়ে যাঁরা এসেছেন, তারা এখানে সিনেমা দেখতে পাবেন না! ভিড়টাকে ঠেলে বাইরে নিয়ে যাওয়া হল দেখতে পেলাম, ইতিমধ্যে টাইটেল শুরু হওয়াতে আমি মন দিলাম সিনেমাতে । কিন্তু ঐ ভিড়ের মারমুখী জনতার কি হল জানতে কৌতুহলী চোখ বারে বারেই দরজার দিকে তাকাতে চোখে পড়ল, কিছু একটা রফা করে ঐ ভিড় এসে ঠাঁই নিয়েছে দু'সারি সীটের মাঝের চলাচলের পথের নিউ এম্পায়ারের নোংরা কার্পেটে !
সিনেমার শুরুতেই ম্যাজিক দেখতে পেলাম, হয়ত এই ম্যাজিকের কথাই বলেছিলেন সিনেমাপ্রিয় বন্ধুটি । এক চল্লিশে পা দেওয়া পুরুষ তাঁর জন্মদিনে এক নাচের স্কুলে ডেকেছেন তার বান্ধবীদের । অভিনব তার নিমন্ত্রন পদ্ধতি । ম্যাজিকের এখানেই শুরু । একে একে চারজন । অসাধারণ চার সুন্দরী রমণী একে একে এসে স্কুলের সামনে এক গাছের কোটরে লুকিয়ে রাখা চাবি নিয়ে ঢুকল নাচের স্কুলের ভেতরে, যে এসেছে সে জানে না যে আরও কেউ আসবে । একে একে চারজনের পরে এলেন সেই প্রেমিক, চল্লিশে পা দেওয়া 'জন' । ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে নাচ, ব্যালে । হাজির ট্রুপও ।
পরের ভাগে সমাপ্য-
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই নভেম্বর, ২০০৬ রাত ১২:১৬

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



