স্মৃতির সরনি বেয়ে হেঁটে বেড়াই সারাদিনমান...
হাত ডোবাই পাঁকে, খোঁজ করি পদ্মের।
মেলে না... মেলে না...
কাঁদা ঘাটাই সার হয়। ক্লান্তি আসে, তবু থামি না।
ঘেঁটেই চলি ঘেঁটেই চলি...
একসময় গড়িয়ে পড়ি খড়ের গাদায়, আমার ছেলেবেলার খড়ের গাদায়...
কী হবে পদ্ম তুলে! বরং এইখানে শুয়ে থাকি খানিক চুপটি করে। কেউ দেখতে পাবে না আমায়...
একসময় আমি চাঁদের সাথে হেঁটে বেড়াতাম। সরু চাঁদ,মোটা চাঁদ, আধখানা চাঁদ। পূর্ণচন্দ্র। সন্ধেবেলায় আকাশে চাঁদ উঠলেই আমার পাগল পাগল লাগত। চাঁদ যেন আমায় ডাকছে। কতদিন আমি একা একা কাউকে কিছু না বলে বেড়িয়ে পড়েছি চাঁদের সাথে। আমিও হাঁটি চাঁদও হাঁটে। আমি থামলে চাঁদও থামে। একসময় বাড়ির কথা মনে পড়ত। পরদিনের স্কুলের পড়া। বাড়ি ফিরে মা'য়ের বকুনি কখনোবা মৃদু উত্তম মধ্যম। ফিরে আসতাম ঘরে। ওমা! চাঁদও ফিরছে! হ্যাঁ। চাঁদও ফিরত আমার সাথে। এসে জনালার কোণটিতে চুপটি করে দাড়িয়ে পড়ত। আমার ঘুম আসত আর চাঁদও কখন যেন চলে যেত আমার জানালা থেকে...
স্বধীনতার ষাট বছর। সিক্সটি ইয়ারস অফ বিইং ফ্রী।
আকাশে ঘুড়িদের মেলা। সাদা ঘুড়ি, লাল ঘুড়ি, সাদায় কালোয় ছোট ছোট দাগ কাটা ঘুড়ি, সবুজ কমলা আর সাদায় তেরঙা ঘুড়ি,রাণীরঙা ঘুড়িরা সব উড়ে বেড়াচ্ছে ছাদের মাথা থেকে, সামনের ছোট মাঠ থেকে, টালির চালের নিচের একচিলতে পা রাখার জায়গা থেকে। ঘুড়িদের রঙে ধূসর আকাশে রঙের মেলা। স্বাধীন বলেই গলা সমান উঁচু দেয়াল টপকে পাশের বাড়িতে ঢুকে পড়েন বাবাটি, উড়ে গিয়ে পড়ে যাওয়া ঘুড়িটি কুড়োতে। সাদা স্যান্ডো গেঞ্জি হাফ প্যান্ট আর কিটোস পরা শিশুটি অপেক্ষা করে দেওয়ালে এধারে, ঘুড়িটির অপেক্ষায়।
পথশিশুটি সুতোর প্রান্তটি হাতে নিয়ে দৌড়য় ঘুড়ির পেছন পেছন। উড়ে আসা একটি ঘুড়ি কেটে দেয় তার ঘুড়িটিকে। ঘ্যাচাং। ঘুড়ি তবু উড়ে। বাতাসের ডানায় ভর করে ঘুড়ি উড়ে চলে। একসময় আর পারে না। পানাভর্তি ডোবায় এসে মুখ থুবড়ে পড়ে। ঘুড়ির পেছন পেছন দৌড়ুতে দৌড়ুতে পথশিশুটি এসে দাঁড়ায় ডোবার ধারে। মলিন মুখ। আরেকটি ঘুড়ি কেনার স্বাধীনতা তার যে নেই...
আমি এখনও চাঁদের সাথে হাঁটি। জানালা পেরিয়ে নেমে পড়ি পাশের বাড়ির ছাদে। সেখান থেকে এ'ছাদ ও'ছাদ পেরিয়ে সোজা উঠে পড়ি ফ্লাইওভারে। হেঁটে হেঁটে বিদ্যাসাগর সেতু। ওপারে আলো ঝলমল কলকাতা। চাঁদের আলো ম্লান হয়ে যায় সে আলোতে, প্রায় দেখাই যায় না। মরা, ফ্যাকাশে সাদা নিয়নের আলোয় ভেসে যায় বিদ্যাসাগর সেতুও। তবু আমি ঠিক দেখতে পাই চাঁদকে। ঐ তো! আমার সাথেই হাঁটছে সেও...
ভরা গঙ্গা উপচে উপচে পড়ে দুপাশে। ঘোলা জলও চিক চিক করে চাঁদের আলোতে। আমার বড় সাধ হয় আমি নৌকোয় করে খানিক বেড়িয়ে আসি গঙ্গায়। কিন্তু না, আজ থাক । আরেকদিন হবে। অন্য কোনদিন...
আলোচিত ব্লগ
সৎ মানুষ দেশে নেই,ব্লগে আছে তো?
আশেপাশে সৎ মানুষ কেমন দেখা যায়? উনারা তো নাকি একা থাকে, সময় সুযোগে সৃষ্টিকর্তা নিজের কাছে তুলে নেয় যা আমাদের ডেফিনিশনে তাড়াতাড়ি চলে যাওয়া বলে। আপনি জীবনে যতগুলো বসন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন
গরমান্ত দুপুরের আলাপ
মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন
রাজীব নূর কোথায়?
আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন
=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=
©কাজী ফাতেমা ছবি
মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।
হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।
ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন