somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মার্কিন প্রশাসনের নিষ্ঠুরতার আরেক প্রমাণঃ অপারেশন রোলিং থান্ডার

১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:৫৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


অপারেশন রোলিং থান্ডার হচ্ছে ভিয়েতনাম যুদ্ধ চলাকালীন আমেরিকা কর্তৃক বোম্বিং ক্যাম্পেইনের কোডনেম। ইউএস মিলিটারির এয়ারক্রাফট উত্তর ভিয়েতনামে মার্চ ১৯৬৫ থেকে অক্টোবর ১৯৬৮ পর্যন্ত ভয়ঙ্কর বিমান হামলা চালায়। এই বোমাবর্ষণের ফলে নিহত হয় অসংখ্য বেসামরিক মানুষ।
এই নির্মম বোম্বিং-এর উদ্দেশ্য ছিল উত্তর ভিয়েতনামের কমিউনিস্ট নেতাদের চাপে ফেলা আর ইউএস-সমর্থিত দক্ষিণ ভিয়েতনামের বিরুদ্ধে আগ্রাসী মনোভাব ও সামর্থ্যে ফাটল ধরানো। ভিয়েতনাম যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে অপারেশন রোলিং থান্ডার বড় একটা ভূমিকা পালন করে। ১৯৫৫ সালে শুরু হওয়া দুই ভিয়েতনামের যুদ্ধের সময় দক্ষিণ ভিয়েতনামে মার্কিন সেনাবাহিনী অবস্থান করলেও তারা সম্মুখ যুদ্ধে নামে ১৯৬৪ সালে।

মার্কিনীদের ভিয়েতনামে ভূমিকা কী ছিল
১৯৫০ এর শুরুতে যুক্তরাষ্ট্র মিলিটারি ইকুইপমেন্ট দিয়ে আর উপদেষ্টা নিয়োগ করে দক্ষিণ ভিয়েতনামকে সর্বাত্মক সহায়তা দিতে থাকে। ওদিকে কমিউনিস্টপন্থী উত্তর ভিয়েতনাম চাইছিল তাদের মিত্র- দক্ষিণ ভিয়েতনামে অবস্থিত ভিয়েত কং গেরিলা যোদ্ধাদের সাহায্য নিয়ে ক্ষমতা দখল করতে।
১৯৬২ সালে আমেরিকান মিলিটারি সীমিত আকারে দক্ষিণ ভিয়েতনামে আকাশ পথে যুদ্ধ শুরু করে। তাদের উদ্দেশ্য ছিল দক্ষিণ ভিয়েতনামিজ সৈন্যদের এয়ার সাপোর্ট প্রদান করা, ভিয়েত কং বেজ খুঁজে খুঁজে ধ্বংস করা। এছাড়া তাদের আরেকটা বিশেষ উদ্দেশ্য ছিল- বিমানের সাহায্যে এক ধরণের বিষাক্ত পদার্থ ছড়িয়ে জঙ্গলে কাভার নেয়া শত্রুপক্ষের যোদ্ধাদের উপস্থিতি ফাঁস করে দেয়া। এসব বিষাক্ত পদার্থের একটি ছিল এজেন্ট অরেঞ্জ। উদ্ভিদ বা ফসল ধ্বংস করতে এজেন্ট অরেঞ্জের মতো বিষাক্ত পদার্থের জুড়ি ছিল না। এই জিনিস বিমান দিয়ে ছিটিয়ে দিলে জঙ্গলে লুকিয়ে থাকা শত্রুদের উপস্থিতি ধরা পড়ে যেত।


প্রেসিডেন্ট লিন্ডন বি. জনসন আগস্ট ১৯৬৪ নাগাদ উত্তর ভিয়েতনামের বিরুদ্ধে আরও জোরেশোরে বিমান হামলা চালাবার নির্দেশ দেন। সে বছরেই তিনি হো চি মিন ট্রেইলে বোম্বিং রেইড চালাবার আদেশ দেন। হো চি মিন ট্রেইল হচ্ছে উত্তর আর দক্ষিণ ভিয়েতনামকে জোড়া দেয়া একাধিক পথের এক জটিল নেটওয়ার্ক। প্রেসিডেন্টের লক্ষ ছিল শত্রুপক্ষের ম্যানপাওয়ার আর রসদ সামগ্রী আনা-নেয়া বাধাগ্রস্ত করা।

তাণ্ডব শুরু
মার্চ ২, ১৯৬৫। শুরু হল অপারেশন রোলিং থান্ডার। প্লেইকুতে অবস্থিত মার্কিন এয়ারবেজে ভিয়েত কং যোদ্ধাদের আক্রমণের জবাবেই হতে লাগল টানা বোম্বিং। বোম্বিং-এ অংশ নিয়েছিল ১০০টি মার্কিন ও ভিএনএফ (সাউথ ভিয়েতনামিজ এয়ার ফোর্স) বিমান। জনসন প্রশাসন ভেবেছিল দীর্ঘ সময় ধরে ব্যাপক বোমাবর্ষণ করা হলে উত্তর ভিয়েতনামিজ নেতারা দক্ষিণের নন-কমিউনিস্ট নেতাদের মেনে নেবে। এছাড়া অতিরিক্ত গোলাবর্ষণের ফলে ভিয়েতকং বিদ্রোহীদের জন্য উত্তর ভিয়েতনাম কর্তৃক সরবরাহকৃত রসদেও ভাটা পড়বে বলে তারা মনে করেছিল। আর সবশেষে, জনসন ও তার চ্যালাচামুণ্ডারা আশা করেছিল এই অগ্নিবর্ষণের ফলে দক্ষিণ ভিয়েতনামীরা আরও উজ্জীবিত হয়ে উঠবে, আরও কঠোর ভাবে কমিউনিস্ট পন্থীদের চেপে ধরবে।


হামলায় বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মডেলের বিমান ব্যবহার করে মার্কিন এয়ারফোর্স। যার মধ্যে এফ-১০৫ থান্ডারচিফ, এফ-৪ ফ্যান্টম, বি-৫২, ডগলাস এ-৪ ইত্যাদি বিমান উল্লেখযোগ্য।

মেরিনদের আগমন
অপারেশন রোলিং থান্ডারের পরিসীমা ও তীব্রতা সময়ের সাথে সাথে বাড়তে থাকে। প্রথমদিকে তা উত্তর ভিয়েতনামের দক্ষিণাংশে সীমাবদ্ধ ছিল, তবে মার্কিন নেতৃবৃন্দ তাদের বোমাবর্ষণের লক্ষ আরও বড় জায়গা জুড়ে নির্ধারণ করে। ১৯৬৬-এর মাঝামাঝি মার্কিন বিমানবাহিনী উত্তর ভিয়েতনামের মিলিটারি ও শিল্প স্থাপনাগুলো ধ্বংসে মনোযোগ দেয়। তবে উত্তর ভিয়েতনামের চীনের সীমান্তবর্তী অঞ্চল, হ্যানয় ও হাইপং শহরকে বোমা হামলা থেকে মুক্ত অঞ্চল ঘোষণা করা হয়। কারণ এই অঞ্চলগুলোতে সোভিয়েত সামরিক বিশেষজ্ঞরা উত্তর ভিয়েতনামিজদের অস্ত্রশস্ত্র যোগান দিচ্ছিল ও সেসবের ব্যবহার শেখাচ্ছিল। মার্কিন প্রশাসন চায়নি বোমাবর্ষণের ফলে কোনো সোভিয়েত নাগরিক মারা যাক। গেলে তখন আরেকটা অনাহুত যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে হতো তাদের।
১৯৬৫ সালে অপারেশন শুরু হবার কিছুদিন পরেই জনসন ইউএসএ’র ৩,৫০০ গ্রাউন্ড ট্রুপস পাঠান ভিয়েতনাম যুদ্ধে অংশ নিতে। বোম্বিং ক্যাম্পেইন চলাকালীন সময় দক্ষিণ ভিয়েতনামে অবস্থিত এয়ারবেজ রক্ষা করাই ছিল ট্রুপদের প্রাথমিক মিশন। তবে খুব দ্রুতই ভিয়েত কং যোদ্ধাদের মুখোমুখি হতে হয় মেরিন সেনাদের।


উত্তর ভিয়েতনামিজ সেনাবাহিনী যুদ্ধে প্রবল ভাবে জড়িয়ে পড়লে জনসন ধীরে ধীরে ভিয়েতনামে নিযুক্ত সৈন্য সংখ্যা বাড়াতে শুরু করেন।

অপারেশন রোলিং থান্ডার সফল না বিফল হয়েছিল?
উত্তর ভিয়েতনামের কাছে আকাশে লড়বার মতো আহামরি বিমান মজুদ না থাকলেও বেশ তারা ভালভাবেই প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছিল। চীন আর সোভিয়েত ইউনিয়নের সাহায্যে তারা বেশ কার্যকর এয়ার-ডিফেন্স সিস্টেম দাঁড় করায়।


সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল আর রাডার নিয়ন্ত্রিত অ্যান্টি-এয়ারক্রাফট আর্টিলারির সাহায্যে উত্তর ভিয়েতনাম শত শত আমেরিকান বিমান ভূপাতিত করে। উত্তর ভিয়েতনামের হাতে POW (Prisoners of War) হিসেবে বন্দী হয় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পাইলট আর এয়ার ক্রাফট ওয়েপন সিস্টেম অপারেটর। বোম্বিং রেইডের ক্ষয়ক্ষতি কমাবার জন্য উত্তরের নেতারা আরও কিছু পদক্ষেপ নেয়ঃ তারা বোম্বপ্রুফ টানেল আর শেল্টারের বিশাল এক নেটওয়ার্ক গড়ে তোলে; রাতের আঁধারে লোকবল নিয়োগ করে ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাঘাট, ব্রিজ, কমিউনিকেশন সিস্টেম মেরামত করে তুলছিল চতুর ভিয়েতনামিজরা।


কমিউনিস্টরা আমেরিকার চালানো নির্মম হামলাকে পুঁজি করে আমেরিকান-বিরোধী মনোভাব ও দেশপ্রেম জাগিয়ে তোলার চেষ্টা করে উত্তর ভিয়েতনাম অধিবাসীদের মাঝে। সেটা বেশ বুদ্ধিমানের কাজ হয় কারণ আমেরিকার প্রধান লক্ষ ভিয়েত কং বাহিনী হলেও বোমা হামলার শিকার হয়েছিল সাধারণ জনগণ। সাধারণ জনগণ স্বাভাবিক ভাবেই খাপ্পা ছিল মার্কিনীদের কর্মকাণ্ডে। হামলায় আমেরিকার প্রায় ৯০০ বিমান ভূপাতিত হয়, ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় ১ বিলিয়ন ডলারের বেশি।

অপারেশন রোলিং থান্ডারঃ যে বিতর্কের অবসান নেই
নিরবচ্ছিন্ন হামলা চলতে থাকে প্রায় তিন বছরের বেশি সময় ধরে। অবশেষে প্রেসিডেন্ট জনসন বোম্বিং ক্যাম্পেইন অক্টোবর ৩১, ১৯৬৮ সালে স্থগিত ঘোষণা করেন। তার উদ্দেশ্য ছিল কমিউনিস্টদের সাথে একটা সমঝোতায় পৌঁছানো।
ইতিহাসবিদরা নানান ভাবে অপারেশন রোলিং থান্ডারের কৌশলগত মূল্যায়ন করেছেন। তবে সেটা পুরোপুরি বিতর্কিত এক ইতিহাস বলা যায়। কেউ দাবি করেন বোমা বর্ষণের ফলে উত্তর ভিয়েতনামের যুদ্ধ করবার ক্ষমতা অনেকটাই কেড়ে নেয়া হয়েছিল। আবার কিছু সমালোচকদের মতে এই অপারেশনের কার্যকারিতা ছিল একদমই সীমাবদ্ধ। সোভিয়েত ইউনিয়ন ও চীনের সাথে অনিচ্ছাকৃত যুদ্ধ এড়াবার উদ্দেশ্যে হ্যানয় ও হাইপং সহ কিছু জায়গায় বোম্বিং করা থেকে বিরত থাকায় যুক্তরাষ্ট্রের লাভের খাতায় যোগ হয়েছে কমই। এতে গুরুত্বপূর্ণ এয়ারফিল্ড, শিপইয়ার্ড, পাওয়ার প্ল্যান্ট আর তেলের গুদামগুলো বেঁচে গেছে, যা উত্তরের কাজে দিয়েছে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে। বিশেষজ্ঞরা এও বলেন যে, উত্তরে চালানো বোম্বিং-এর সাথে দক্ষিণ ভিয়েতনামের সমতলে চালানো অপারেশনের মাঝে বোঝাপড়া ছিল খুব কম।


জনসন প্রশাসন আশানুরূপ সাফল্যের দেখা না পেলেও তার উত্তরসূরী প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন উত্তর ভিয়েতনামে আবার এরিয়াল স্ট্রাইকের অনুমোদন দেন। এবারের বোম্বিং ক্যাম্পেইনের কোডনেম ছিল অপারেশন লাইনব্যাকার। আর সময়টা ছিল ১৯৬৯ থেকে ’৭২ পর্যন্ত।

১৯৭৩ সালে আমেরিকান সৈন্য প্রত্যাহারের আগ পর্যন্ত ইউএস সেনাবাহিনী প্রায় ৪.৬ মিলিয়ন টন বোমা ফেলে ভিয়েতনামে, ধ্বংস করে দেশটির অসংখ্য শহর-গ্রাম, মারা যায় আনুমানিক বিশ লক্ষ মানুষ।

শেষকথা
যুক্তরাষ্ট্র সৈন্য প্রত্যাহার করবার পর পরই দক্ষিণ ভিয়েতনামের মেরুদণ্ড ভেঙে যায়। ১৯৭৫ সালের ৩০ এপ্রিল উত্তর ভিয়েতনাম দক্ষিণের রাজধানী সাইগন দখল করে নেয়। যার মাধ্যমে অবসান ঘটে বিশ বছর ধরে চলে আসা নির্মম এক যুদ্ধের।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:৫৬
৬টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×