somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

লোভী

০৫ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৫:২১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমি একটি রেস্টুরেন্ট এ বসে আছি। আমার সামনে সম্ভবত এখানকার মেনুর সব আইটেম ই আছে। অথচ আমি খেতে পারছি না। আমার ঠিক পেছনের টেবিলে বিপরীত দিকে মুখ করে যে বসে আছে, আজ সকালেও সেই ছিল আমার সব। ওর মুখোমুখি যে ছেলেটা বসে আছে, ওর সাথে আমার পরিচয় নেই। ফেইসবুকে দেখেছিলাম দু'একবার। ওরা অনেক হাসাহাসি করছে। হাসতে হাসতে একবার আমার চেয়ারে ওর চেয়ার লেগে গেল। স্যরি বলল বোধহয় আস্তে করে। ও যদি জানত! ও কী পারত এভাবে হাসতে? গত দু'বছরে ঘটে যাওয়া সব ঘটনাগুলো একে একে মনে পড়ছে। আমার এখনও বিশ্বাস হচ্ছে না। ও এরকম মেয়েই না। কিন্তু কী এমন হল? আজ সকালেও তো সব ঠিক ছিল।

কাল রাতের অভিমান ভাঙ্গাতে আজ ভোরে যখন ওর হোষ্টেলের সামনে গিয়ে কল দিলাম, ওর সাবলীল উত্তর, "চুপচাপ অপেক্ষা কর, আমি আসছি।" যেন ও জানত আমি আসব।
তারপর ও যখন ভেজা চুলে আমার সামনে এসে দাঁড়ালো, আমি শুধু বলতে পারলাম, "স্যরি।"
"কী জন্য?।"
"কাল রাতের জন্য।"
"তুমি তো কিছু করনি।"
"তাহলে তুমি রাগ করলে কেন?"
"এমনি। রাগ না করলে তুমি কি আজ এত সকালে আসতে?" এটা বলেই তার সেই হাসি, ওফ। এই হাসি দেখলেই আমি আর ঠিক থাকতে পারিনা।
আমি কী বলব ভেবে পাচ্ছিলাম না। আমার হাত ধরে বলল, "চল হাঁটি। হাঁটা স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। কোন খেয়াল আছে স্বাস্থ্যের প্রতি?"
তারপর সেই হাঁটাহাঁটি চলল নিউমার্কেট হয়ে সায়েন্সল্যাব, তারপর কলাবাগান, শেষমেশ সংসদ ভবনের সামনের লেকে। কত যে কথা তার। আমি শুধু তন্ময় হয়ে শুনছিলাম।
"আচ্ছা এখন ক'টা বাজে? তোমার নাস্তার কথা খেয়াল আছে?" ঘড়িতে তখন বাজে দশটা বিশ!
"তোমার সাথে থাকলে আর কিছু খেয়াল রাখার উপায় আছে?"
"রাখ তোমার ঢং। চল খাওয়াবে।"
নাস্তা সেরে গেলাম আইডিবি। আমার একটা নেটবুক দরকার। পেলাম না মনমত। সেজন্য অবশ্য আফসোস নেই। আমার আসলে ওর সাথে আরও কিছুক্ষণ থাকার জন্য উপলক্ষ্য দরকার ছিল।
যখন ওর হোস্টেলের সামনে আসলাম, তখন বেলা গড়িয়ে দুপুর। ওর হাত ধরে চোখে চোখ রেখে বললাম, "আমার যেতে ইচ্ছে করছে না। দুপুর তো হয়েই গেল। চল লাঞ্চ করি। তারপর হোস্টেলে ফিরে এসো।"
"না, আমার মাথা ব্যথা করছে। প্লিজ আর একদিন। আমি ঘুমুব।"
"ওকে, না খেয়ে ঘুমিও না।"
"ওকে, বাই সুইটু।"
"বাই, টেক কেয়ার। রাতে কথা হবে।"
সে বার দুয়েক পিছু ফিরে চেয়ে হোস্টেলে ঢুকে গেল।
কিন্তু আমার যে আর ফিরতেই ইচ্ছে করছে না। একটু এদিক সেদিক করে আবার ওর হোস্টেলের পাশের ফুটপাতে বসে বাদাম চিবুতে লাগলাম। কেন আমি নিজেই জানতাম না। কিন্তু এখন আমি জানি।

বসে বসে মানুষ দেখছিলাম। অনেক মানুষের ভিড়ে হঠাত একজনের উপর চোখ আটকে গেল। চেনাচেনা লাগছে। আরে তাইতো। কিন্তু ও এখানে কী করে। এ হচ্ছে ওই ছেলেটা। ফেইসবুকে দেখেছিলাম। চিনতে সমস্যা হচ্ছে না। রিনির সাথে ওর একটা রিলেশন ছিল। বিশ্বাসঘাতকতা করায় ওদের সম্পর্কটা ভেঙ্গে যায়। কিন্তু সেতো অনেক আগের কথা। আমি সব ভুলে গিয়েছি। রিনিকে কথাও দিয়েছি আমাদের মাঝে ওর কথা কখনও আসবে না।

ও হোস্টেলের দিকেই আসছে। আমাকে চেনে না। আমার পাশেই দাঁড়িয়ে অস্থির হাতে মোবাইল টিপছে। কারো সাথে দেখা করার কথা। হঠাত আমার কী মনে হতে আমি কিছুটা সরে গেলাম। একটা টং দোকানে বসে দেখতে লাগলাম ও কী করে। অস্থিরভাবে পায়চারি করছে। চেহারায় কেমন যেন একটা অসহায় ভাব। কিছুটা এগিয়ে গেল হোস্টেল গেটের দিকে। রিনি! আরে রিনিই তো। সকালের খোলা চুল এখন খোপা করা। আর তাছাড়া- সব এক। ওইতো আমার রিনি। হাত নেড়ে নেড়ে কিসব যেন বলছে। ওকে অনেক খুশি লাগছে। তারপর ওরা হাঁটতে শুরু করল। মেয়েটা হাঁটতে পছন্দ করে।

হঠাত অনুভব করলাম, আমার মাথাটা ফাকা লাগছে। ঠিক এই অনুভূতিটা আমার আর একবার হয়েছিল; এসএসসির অংক পরিক্ষার সময়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই আমি চলতে শুরু করলাম। ওদেরকে অনুসরণ করে চলেছি। মনে হচ্ছে বছরের পর বছর আমি হাঁটছি, হাঁটছি। তারপর ওরা থামল এই রেস্টুরেন্ট এর সামনে। ভিতরে চলেও গেল।

আমি ফুটপাতের এক চায়ের দোকানের বেঞ্চে ধপাস করে বসে পড়লাম। দোকানী মামা প্রশ্নবোধক দৃষ্টিতে তাকাল। সিগারেট আর চা চাইলাম। ওর কথায় সিগারেট ছেড়েছি দুবছর। এখন কি আর কিছুতে যায় আসে? সিগারেট টানছি। চা খেতে গিয়ে হাত কাপছে। আশ্চর্য সিগারেট খেতে কোন সমস্যাই হচ্ছে না। এটা অনেকটা সাইকেল চালানোর মত। একবার শিখলে আর ভোলা যায় না।

আমি কী করব এখন। ভেতরে যাব? তাহলে রিনিকে হারাতে হবে সারাজীবনের জন্য। আর না গেলে? আমি কি পারব জেনে বুঝে এভাবে প্রতারিত হতে? কিছুতেই সিদ্ধান্ত নিতে পারছি না।
ওকে টেক্সট করলাম।
"tumi ghumiyecho? matha batha komeche?miss u."
"yes, tumi eto chinta koro keno?amake eto miss kora jabe na.dupure kheye nio.love u." ওর উত্তর।
অনেক্ষণ তাকিয়ে থাকলাম মোবাইল স্ক্রীনের দিকে। তারপর আকাশের দিকে। চোখ দিয়ে পানি গড়িয়ে পড়ল। লুকিয়ে মুছে নিলাম। অবশেষে বুক ভর্তি করে শ্বাস নিয়ে উঠে দাঁড়ালাম। কেমন একটা একগুয়েমিতে পেয়ে বসল। এর শেষ দেখে যাব আজ।

রেস্টুরেন্টে ঢুকে সহজেই খুঁজে পেলাম ওদের। এক নিরিবিলি কোণে ওরা গল্প করছে আর খাচ্ছে। রিনি বসেছে এদিকে পেছন ফিরে। ওর মুখোমুখি ওই ছেলেটা। একবার আমাকে দেখল। তারপর আবার গল্পে মন দিল। আমার ইচ্ছে করছিল ওদের খাবার টেবিলটা আছরে ফেলি। অনেক অকথ্য ভাষা মুখে চলে এল যা রিনিকে কখনো বলব চিন্তাও করিনি। কিন্তু আমিতো রিনিকে কথা দিয়েছি ওকে কখনো কষ্ট দেব না। আমি পারব না এতগুলো মানুষের সামনে ওকে অপমান করতে।

আমি ঠিক ওর পেছনের চেয়ারটা টেনে বসে পড়লাম। রিনি ওর চেয়ারটা একটু সরিয়ে জায়গা করে দিল। হায় ও যদি জানত। এসিতেও আমি ঘামছি। ওয়েটার আমাকে একটা টিস্যু এগিয়ে দিল। কী খাব জিজ্ঞেস করতে বললাম যা যা আছে নিয়ে আসতে। রিনি আমার কন্ঠ খেয়ালই করলনা!
ওয়েটার কিছুক্ষণ অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকে চলে গেল। হয়ত আমার দৃষ্টিতে উন্মাদ-জাতীয় কিছু ছিল, তাই আর কিছু জিজ্ঞেস করতে সাহস করল না।
আমি খাবার নাড়াচাড়া করছি। কিন্তু গিলতে পারছি না। আর শুধুই ঘামছি আর পানি খাচ্ছি। ওয়েটার চোখ কুঁচকে তাকিয়ে থাকাতে তাকে বললাম, "দেখুন আমি একটু অসুস্থ। খেতে কিছুটা সময় লাগবে ।"
"ঠিক আছে স্যার, যতক্ষণ খুশি লাগুক। আস্তে আস্তে খান।" তার চোখে করুণা ফুটে উঠল।

হঠাত রিনি উঠে দাঁড়াল। আমি বুঝতে পারলাম ও ঘুরেই দাঁড়িয়ে পড়ল। তারপর কোনদিকে না তাকিয়ে আমার পাশ দিয়ে ওয়াশ রুমের দিকে চলে গেল। ফেরার সময় এক মুহুর্তের জন্য ঠোঁট কামড়ে আমার দিকে চেয়ে রইল।
চেয়ারে বসেই কাঁদতে শুরু করল। ছেলেটা হতভম্ব।
"কী হয়েছে বাবু তোমার? কেউ কিছু বলেছে?"
"না। আমি এখনই চলে যাব।"
"আচ্ছা খাবারটা শেষ কর।"
"না আমি আর খাব না।" বলেই উঠে ছুটতে শুরু করল। ছেলেটাও পেছন পেছন।
আর আমি স্থানুর মত বসে রইলাম। কতক্ষণ বসে ছিলাম জানি না।
একসময় ওয়েটার এসে বলল, "স্যার আপনি আরও অসুস্থ হয়ে যাচ্ছেন। বাসায় যান। রিকশা ডেকে দেব?"
সে বিলটা এনে দিয়ে বলল, "আপনি তো কিছুই খাননি। একশ টাকা কম বিল করেছি।"
আমি কোন রকমে তার হাতে কয়েকটা নোট গুঁজে দিয়ে বেরিয়ে এলাম। তারপর হাঁটতে থাকলাম। রাত এগারটা পর্যন্ত। কোথায় কোথায় হেঁটেছি আমার মনে নেই। তবে ওর হোস্টেলের সামনে দিয়ে কয়েকবার গিয়েছিলাম বোধহয়। যদিও জানি সব শেষ। তারপরও আশা করছিলাম, ও ফিরে আসবে। নিশ্চয়ই কোন ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। এরকমতো হওয়ার কথা ছিল না। ও ক্ষমা চাইলে কিভাবে ওকে সারপ্রাইজ দেব তা নিয়েও ভাবছিলাম! কিন্তু ও আর কোন কল করেনি বা মেসেজ দেয়নি। নিজেকে ছোট করছি কি? করলামই বা! ও যে আমার প্রথম ভালবাসা। এরপর দুইদিন আমি ঘুমালাম। শুধুই ঘুম। হয়ত মরার মত ঘুমিয়েছিলাম বলেই সত্যি সত্যি মরতে হয়নি।
তারপর একদিন হঠাত একটা মেসেজ পেলাম ফেইসবুকে।

"আমি কী বলব তোমাকে? আশা করি সুস্থ আছ। জানি আমাকে অনেক খারাপ ভাবছ। তুমি আমাকে যা খুশি করতে পার। বলতে পার। সে অধিকার তোমার আছে। কিন্তু এর জন্য দায়ী তুমি।
মামুনের সাথে সম্পর্কটা আমিই ভেঙ্গে দিয়েছিলাম। ও আমার ভালবাসার যোগ্য ছিল না। কিন্তু ও ছিল আমার প্রথম ভাললাগা। তাই ও যখন আবার ফিরে আসতে চাইল, ক্ষমা চাইল, আমি না করতে পারিনি। কিন্তু ততদিনে তুমি আমার সবটা জুড়ে। কেন সব জেনেও তুমি আমাকে এমন করে ভালবাসলে? আমাকে আর কেউ এরকম করে ভালবাসেনি, মামুনও না। আমি তোমাকে বন্ধু হিসেবে চেয়েছিলাম। কিন্তু তোমার তীব্র আর পাগলাটে ভালবাসা আমাকে লোভী করে তোলে। তোমার ভালবাসা পেতে আমি তোমার সাথে অভিনয় করতে থাকি। আমি সত্যিই তোমার ভালবাসা হারাতে চাইনি। কিন্তু তোমার মত করে ভালবাসতেও পারিনি। ক্ষমা চাইব না। শুধু চাইব তুমি ভাল থাক। আমাকে ভুলে যেও।"



সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ৮:৩৮
৩৮টি মন্তব্য ৩৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মৃত্যু ডেকে নিয়ে যায়; অদৃষ্টের ইশারায়

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৭ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৩৯

১৯৩৩ সালে প্রখ্যাত সাহিত্যিক উইলিয়াম সমারসেট মম বাগদাদের একটা গল্প লিখেছিলেন৷ গল্পের নাম দ্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট ইন সামারা বা সামারায় সাক্ষাৎ৷

চলুন গল্পটা শুনে আসি৷

বাগদাদে এক ব্যবসায়ী ছিলেন৷ তিনি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফিরে এসো রাফসান দি ছোট ভাই

লিখেছেন আবদুর রব শরীফ, ১৭ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৮

রাফসানের বাবার ঋণ খেলাপির পোস্ট আমিও শেয়ার করেছি । কথা হলো এমন শত ঋণ খেলাপির কথা আমরা জানি না । ভাইরাল হয় না । হয়েছে মূলতো রাফসানের কারণে । কারণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুমীরের কাছে শিয়ালের আলু ও ধান চাষের গল্প।

লিখেছেন সোনাগাজী, ১৭ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৪০



ইহা নিউইয়র্কের ১জন মোটামুটি বড় বাংগালী ব্যবসায়ীর নিজমুখে বলা কাহিনী। আমি উনাকে ঘনিষ্টভাবে জানতাম; উনি ইমোশানেল হয়ে মাঝেমাঝে নিজকে নিয়ে ও নিজের পরিবারকে নিয়ে রূপকথা বলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সভ্য জাপানীদের তিমি শিকার!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৫

~ স্পার্ম হোয়েল
প্রথমে আমরা এই নীল গ্রহের অন্যতম বৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণীটির এই ভিডিওটা একটু দেখে আসি;
হাম্পব্যাক হোয়েল'স
ধারনা করা হয় যে, বিগত শতাব্দীতে সারা পৃথিবীতে মানুষ প্রায় ৩ মিলিয়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

রূপকথা নয়, জীবনের গল্প বলো

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২


রূপকথার কাহিনী শুনেছি অনেক,
সেসবে এখন আর কৌতূহল নাই;
জীবন কণ্টকশয্যা- কেড়েছে আবেগ;
ভাই শত্রু, শত্রু এখন আপন ভাই।
ফুলবন জ্বলেপুড়ে হয়ে গেছে ছাই,
সুনীল আকাশে সহসা জমেছে মেঘ-
বৃষ্টি হয়ে নামবে সে; এও টের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×