somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

উপমহাদেশের ইতিহাসে দোষী পুলিশদের ফাঁসিতে মৃত্যু কার্যকরের প্রথম ঘটনা

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:২৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

১৯৯৫ সালের ২৪ আগস্ট ভোরে ঢাকা থেকে ঠাকুরগাঁওগামী হাছনা এন্টারপ্রাইজের একটি নৈশকোচের সুপারভাইজার দিনাজপুরের দশমাইল মোড়ে ইয়াসমিনকে নামিয়ে দেয়, যে ঢাকায় গার্মেন্টসে চাকরি করতো। সুপারভাইজার এক চায়ের দোকানদারকে বলে যায়, সকাল হলে কিশোরীটিকে যেন দিনাজপুর শহরগামী কোনো বাসে উঠিয়ে দেয়।

কিছুক্ষণ পরই পুলিশের একটি টহল দল পিকআপভ্যান নিয়ে সেখানে আসে। পুলিশ সদস্যরা চায়ের দোকানের বেঞ্চে বসে থাকা ইয়াসমিনকে নানা প্রশ্ন করতে থাকে। এক পর্যায়ে দিনাজপুর শহরে তাকে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে তাকে ভ্যানে তুলে নেয় পুলিশ।

এরপর তারা দশমাইল সংলগ্ন সাধনা আদিবাসী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভেতরে নিয়ে ইয়াসমিনকে ধর্ষণের পর হত্যা করে রাস্তার পাশে লাশ ফেলে রেখে চলে যায়।

এ ঘটনায় দিনাজপুরের সর্বস্তরের মানুষ বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। ওঠে দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি।

ইয়াসমিন ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় ৩টি মামলা দায়ের করা হয়। এ মামলাগুলোর বিচার কাজ ১শ’ ২৩ দিনে শেষ হয়। অবশেষে ১৯৯৭ সালের ৩১ আগস্ট রংপুরের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আব্দুল মতিন মামলার রায় ঘোষণা করেন।

রায়ের ৮ বছর পর ২০০৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে চাঞ্চল্যকর ইয়াসমিন ধর্ষণ ও হত্যা মামলার দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ফাঁসি রায় কার্যকর করা হয়।

২০০৪ সালের ১ সেপ্টেম্বর রাত ১২টা ১ মিনিটে মামলার অন্যতম আসামি এএসআই মইনুল হক, কনস্টেবল আব্দুস সাত্তারকে রংপুর জেলা কারাগারে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়।

অপর আসামি পিকআপভ্যান চালক অমৃত লাল বর্মনকে ২০০৪ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর রাত ১২টা ১ মিনিটে রংপুর জেলা কারাগারে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়।

উপমহাদেশের ইতিহাসে দোষী পুলিশদের ফাঁসিতে মৃত্যু কার্যকরের ঘটনা এটাই প্রথম।

বাংলানিউজে ইয়াসমিনের মায়ের আকুতি 'আমি ইয়াসমিনের মা, চাকরি চাই' লেখাটা পড়া মনে পড়ে গেল এই দু:খের ঘটনা। এর পরও বাংলাদেশে অনেক নারী সম্ভ্রম হারিয়েছে, অনেক মানুষ নিহত হয়েছে। কিন্তু কোন পুলিশের সাজা হয়নি। আফসুস! যারা মানুষের জীবনের নিরাপত্তা দেয়ার কথা, তাদের হাতেই মানুষ নিরাপদ নয়!!X((
২২টি মন্তব্য ১৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…

লিখেছেন বিচার মানি তালগাছ আমার, ০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০০



১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায় কারো হাত না ধরে (ছবি ব্লগ)

লিখেছেন জুন, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৯

ঐ নীল নীলান্তে দূর দুরান্তে কিছু জানতে না জানতে শান্ত শান্ত মন অশান্ত হয়ে যায়। ১৯২৯ সালে রবার্ট মোস নামে এক ব্যাক্তি লং আইল্যান্ড এর বিস্তীর্ণ সমুদ্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

মেহেদীর পরিবার সংক্রান্ত আপডেট

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:৪৯


মার্চ মাস থেকেই বিষয়টি নিয়ে ভাবছিলাম। ক'দিন আগেও খুলনায় যাওয়ার ইচ্ছের কথা জানিয়েও আমার বিগত লিখায় কিছু তথ্য চেয়েছিলাম। অনেক ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও মেহেদীর পরিবারকে দেখতে আমার খুলনা যাওয়া হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

×