বিষয়:
বাংলাদেশে ‘সাহারা’ নামক কোম্পানির বিনিয়োগ
তথ্যাবলী:
১) প্রাথমিকভাবে কোম্পানিটি বাংলাদেশে নতুন ঢাকা প্রকল্প, টাউনশিপ বিজনেস, অবকাঠামো উন্নয়ন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পর্যটন ইত্যাদি খাতে প্রাথমিক ভাবে ১শ’ ৩০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে।
২) বাংলাদেশে নতুন কোম্পানির নাম-‘সাহারা মাতৃভূমি উন্নয়ন করপোরেশন’।
৩) কোম্পানির ডিরেক্টর শেখ ফজলে হোসেন ফাহিম। উল্লেখ্য তিনি শেখ হাসিনার পরিবারের সদস্য এবং ১৫ আগস্ট শহীদ শেখ মনির ছোট ছেলে ও সংসদ সদস্য শেখ ফজলে নূর তাপসের ছোট ভাই। ফাহিমের চাচা শেখ ফজলুল করিম সেলিম আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের বড় বোনের মেজ ছেলে।
৪) সুব্রত রায় সাহারা বলেন, ‘আমরা সরকারের কাছে এক লাখ একর গ্রিন ফিল্ড চেয়েছি। যেখানে কিছু নেই। যেখান থেকে কাউকে সরাতে হবে না। এই জায়গার উন্নয়ন করব আমরা। অবকাঠামো গড়ে তুলব আমরা। এখানে সরকারের এক কানাকড়িও বিনিয়োগ দরকার নেই।
৫) ঢাকার নগরায়ন সম্পর্কে সুব্রত রায় সাহারা বলেন, ‘এখানে আমরা লাইফ স্টাইল তৈরি করব। এজন্য ১০০ থেকে ৩০০ একর পর্যন্ত আমাদের এক একটি প্রকল্প থাকবে। এর নিচে নামা হবে না।
৬) সুন্দরবনের অদূরে নদীর ওপর একটি পর্যটন শহর গড়ে তুলতে চাই, যা হবে বিশ্বের ৫টি বিখ্যাত পর্যটন কেন্দ্রের একটি।
দ্বি-মত:
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, আবাসিক সংকট নিরসনে দেশেই অনেক কোম্পানি কাজ করেছে। তারা থাকতে বিদেশি কোম্পানি কেন?। তিনি এ চুক্তি জনগণের কাছে প্রকাশেরও দাবি জানান।
ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, অন্য চুক্তির চেয়ে ভূমি সংক্রান্ত চুক্তি আলাদা। এ ধরনের চুক্তি সহজ নয়। যথাযথ বিশ্লেষণ ছাড়া এ ধরনের চুক্তি সম্পাদন স্পর্শকাতর এবং দেশের জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ চুক্তির মাধ্যমে দেশের জমির দীর্ঘমেয়াদী মালিকানা পাবে সাহারা পরিবার। এমনকি তারা এর স্থায়ী মালিক হয়ে যাওয়ারও আশঙ্কা রয়েছে।
দেশের বিভিন্ন আইন, সংবিধান এবং উন্নয়নের জন্য এ চুক্তি সাংঘর্ষিক কিনা সেটা দেখতে হবে বলে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, এতে বাংলাদেশের কতোটুকু লাভ হবে, তা বিশ্লেষণ করা হয়নি। এটা বিশ্লেষণ করে দেখা দরকার।
দেশের জমি নেওয়ার অধিকার কারো নেই বলেও মন্তব্য করেন ড. ইফতেখারুজ্জামান।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


