“শাবান মাসের পনের তারিখের রাতে মাহফিলের আয়োজন করা এবং দিনের বেলায় রোজা রাখা মানুষের আবিষ্কৃত একটি বেদাতের ্উদাহরন। বাস্তবতা হলো এ ব্যাপারে নির্ভরযোগ্য কোন প্রমান নেই।” (সূত্র;ইসলাম প্রচার ব্যুরো,রাবওয়া/রিয়াদ)
খন্ডন: অথচ হাদীস শরীফ এ নবি পাক সাল্লল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেছেন, “তোমাদের নিকট শাবান মাসের পনের তারিখ উপস্থিত হলে উক্ত রাত্রিতে নামাজ কালাম ইবাদত বন্দেগী করবে এবং দিনের বেলায় রোজা রাখবে”। ইসলামী শরীয়তের দ্বিতীয় উৎস হাদীস শরীফ এর বিশুদ্ধ কিতাবসমূহের অন্যতম ইবনে মাজাহ শরীফ এবং মিশকাত শরীফসহ তাফসীর ও ফিক্বাহ’র অসংখ্য অগনিত কিতাবে উপরোক্ত হাদীস শরীফখানা আরো বিস্তারীতভাবে উল্লেখ রয়েছে। এই হাদীস শরীফ এর আলোকে গোটা মুসলিম মিল্লাত প্রায় পনেরশত বৎসর যাবৎ শাবান মাসের পনেরতম রাত্রিতে নামাজ কালাম ইবাদত বন্দেগী বিশেষ আনন্দ উৎসবের সাথে পালন করার জন্য সারা রাত্রি সজাগ থাকেন এবং দিনের বেলায় রোজা রাখেন। এখন যেহেতু মৃত ইবনে বাজ এবং সৌদী ওহাবী মৌলুভীরা সারা রাত টিভি চ্যানেলে বিভিন্নপ্রকার নষ্টামী দৃশ্য দেখে রাত কাটায়, মদ শরাবে ব্যস্ত থাকে, সারাদিন ইহুদী নাছারাদের সাথে বল্গাহীন চলাফেরা করে রাতে বেঘোরভাবে একটু ঘুমাতে চায় তাই তারা ইসলামী শরীয়তের প্রামান্য দলীলের দ্বারা সাব্যস্ত পবিত্র শবে বরাতকে মানুষের সৃষ্ট বেদাত বলে বর্জন করতে চায়। আসলে এরা পাশ্চাত্য ইংরেজদের চরিত্রে চরিত্রহীন হয়ে শবে বরাত সম্পর্কে এমন গুমরাহীমূলক বক্তব্য দিচ্ছে। নচেৎ স্বয়ং নবীপাক পাক সাল্লল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যে বিষয়ে আদেশ মুবারক দান করেন সেটা পালন করা কি উম্মাহর জন্য ফরজ ওয়াজিব না বেদয়াত হবে সেটা পাঠক এবার আপনারাই বলুন।
“এ রাতের (শবে বরাতের) ফজীলতের ব্যাপারে কয়েকটি দুর্বল হাদীসের উল্লেখ পাওয়া যায় যা হাদীস নিরীক্ষার বিচারে গ্রহনযোগ্য নয় কোনভাবে” নাউজুবিল্লাহ! (সূত্র;ইসলাম প্রচার ব্যুরো,রাবওয়া/রিয়াদ)
খন্ডন: এখন এই কানা ইবনে বাজের আন্ধা অনুসারীদের নিকট জিজ্ঞাসা, যদি শবে বরাত এর ফজীলতের ব্যাপারে কোন দুর্বল হাদীস শরীফও থেকে থাকে তাহলে তো শবে বরাত এর অস্তিত্ব দ্বীন ইসলাম এ রয়েছে সেটা প্রমানিত হচ্ছেই। এরপর কথা হচ্ছে, নবিপাক সাল্লল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার হাদীস শরীফকে দুর্বল বলা হচ্ছে আর সৌদী ওহাবী ইবনে বাজ ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা কি তবে সবল? তাদের কথা কি সবল? তাদের আমল কি সবল? তাদের ঈমান কি সবল? সেটাও মুসলমানরা যাচাই বাছাই করে দেখতে চায়। আমরা ব্যাপক তথ্য প্রমান ও সাক্ষ্যের আলোকে জানি যে, সৌদী ওহাবী মৌলুভীরা হরদম ছবি তোলে, ভিডিও করে, টিভি চ্যানেলে প্রোগ্রাম করে, শরয়ী পর্দা অমান্য করে, সলফে সালেহীনদের তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে অথচ এগুলো করা কাট্টা হারাম তথা নিষিদ্ধতা সম্পর্কে কুরআন শরীফ ও সহীহ হাদীস শরীফ এর অসংখ্য-অগনিত প্রামান্য দলীল রয়েছে। এত দলীল আদীল্লাহ থাকার পরও মুফতে ইবনে বাজ ও তার চেলারা যখন জগন্য হারাম কুফরীতে লিপ্ত তখন হাদীস শরীফকে দুর্বল বলার অধিকার এরা কোন দূ;সাহসে দেখায়? এদের নিজেদের ঈমান আমলইতো প্রচন্ড রকমের দুর্বল। কাট্টা ফাসিক আর চরম চরিত্রহীন হলেই সৌদী ওহাবী সরকারের গ্রান্ড মুফতী হওয়া যায় কিন্তু হক্কানী রব্বানী আলিম হওয়া যায়না। হক্কানী রব্বানী আলিম উলামা ইমাম মুজতাহিদ রহমাতুল্লাহি আলাইহিম উনারা পবিত্র শবে বরাত পালন করেছেন এবং উম্মাহ যাতে তা পালন করতে পারে সেজন্য উনারা পবিত্র হাদীস শরীফগুলো উত্তমরুপে কিতাব পত্রে লিপিবদ্ধ করেছেন। উনারা সহীহ মনে করেই তা করেছেন। সৌদী ইবনে বাজ ওহাবীদের মত যদি উনারা সেগুলো দুর্বল বা অগ্রহনযোগ্য মনে করতেন তাহলে কোনদিনই সেগুলো বর্ননা করতেন না।
“শাবান মাসের পনের তারিখের ফজিলতের ব্যাপারে যেহেতু কোন প্রামান্য দলীল নেই তাই এ রাতের নামাজ এবং দিনের রোজার ব্যাপারে বর্নিত দুর্বল হাদীস বিবেচ্য গ্রহনযোগ্য নয়” নাউজুবিল্লাহ! (সূত্র;ইসলাম প্রচার ব্যুরো,রাবওয়া/রিয়াদ)
একথার জবাবে বলতে হয় যে, পবিত্র শবে বরাত এর রাতের নামাজ ও দিনের রোজার ব্যাপারে যে হাদীস শরীফ রযেছে সেটা মানতে বাধ্য হয়েছে সৌদী ওহাবী গং । তবে ঐ রাত্রির ফজীলতের ব্যাপারে সে প্রামান্য দলীল অর্থাৎ কুরআন শরীফ এর দলীল নেই বলছে। অথচ শবে বরাতকে পবিত্র কুরআন শরীফের সুরা দুখানেই আল্লাহ পাক তিনি লাইলাতুম মুবারকা বলে উল্লেখ করেছেন। এ বিষয়টি উম্মাহকে নিশ্চিত করেছেন নবিপাক সাল্লল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুবিখ্যাত সাহাবী হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এবং হযরত ইকরামা রদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনারা। এখন আমরা যারা মুসলমান, তদের নিকট কি নবি পাক সাল্লল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আসমানের তারকা সদৃশ হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমা উনাদের ব্যাখ্যা গ্রহনযোগ্য হবে, না সৌদী ফাসিক ফুজ্জার বদ আক্বীদাধারী ওহাবী কানা দাজ্জাল ইবনে বাজদের নাপাক যুক্তি গ্রহনযোগ্য হবে? তারা আগে বলুক কোন হাদীস শরীফ দুর্বল তা প্রমান করার জন্য তাদের কুরআন শরীফ ও হাদীস শরীফ এর কি প্রামান্য দলীল রয়েছে? তারা এও বলুক তারা যে সারাদিন অশ্লীলতা আর বেপর্দা হচ্ছে, ইহুদী খ্রিষ্টান মুশরিকদের সাথে আন্ত;ধর্ম সম্মেলন করছে সেটা পবিত্র কুরআন শরীফ এর কোন্ প্রামান্য দলীলের ভিত্তিতে করছে। আসলে এ সবই পবিত্র কুরআন শরীফ এর প্রামান্য দলীলের আলোকে হারাম কুফরী অর্থাৎ এগুলো হালাল বা জায়িজ হবার পক্ষে কোন প্রামান্য দলীল আদৌ নেই। এমন নাজায়িজ হারাম কাজে যারা প্রকাশ্যে অহরহ লিপ্ত থাকে তারা কি চরিত্রবান না চরিত্রহীন তা পাঠক আপনারাই একটু চিন্তা করুন।
“শবে বরাত নিয়ে বর্নিত হাদীস শরীফ এর কারনে ফুকাহায়ে কিরামের একটি দল ধোঁকায় পতিত হয়েছেন; যেমন ইমাম গাজ্জালী। তদ্রুপ মুফাসসিরিনদের এক দলও।” নাউজুবিল্লাহ! (সূত্র;ইসলাম প্রচার ব্যুরো,রাবওয়া/রিয়াদ)
জাহিল নির্বোধ ইবনে বাজের খেদোক্তি হলো, কেন বিশ্ব বিখ্যাত ইমাম মুজতাহিদ উলামায়ে কিরাম পবিত্র শবে বরাত এর হাদীস শরীফগুলো উনাদের কিতাব মুবারকে সহীহ বলে উল্লেখ করলেন আর কেনই বা হযরত মুফাসসিরিনে কিরাম রহমাতুল্লাহি আলাইহিমগন উনাদের তাফসীরে সুরা দুখানে বর্নিত “লাইলাতুম মুবারাকা” বলে শবে বরাত কে উল্লেখ করলেন। এটা তার এবং সমস্ত ওহাবী বাতিলদের জন্য মহা আফসূস! একারনে তারা তাদের বাতিল মতবাদ মুসলিম মিল্লাতে প্রতিষ্ঠিত করতে পারছে না। এখন কথা হলো- হুজ্জাতুল ইসলাম হযরত ইমাম গাজ্জালী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার মত ইমাম মুজতাহিদগন যদি ধোকাঁয় পড়ে যান তবে ধোঁকামুক্ত কারা? সোদী ওহাবী বিদয়াতীরা? ইবলিশ শয়তান তো তাদেরকে ধোকা দেয়, যারা ছবি তোলার জন্যই নামাজ কালাম করে ভিডিও করে, অশ্লীল টিভি দেখে ও তাতে প্রোগ্রাম করে, বেপর্দা বেলাজ মহিলাদের সাথে মাখামাখি করে, ইসলাম ছেড়ে রাজতন্ত্রের গোলামী করে। অপরদিকে যারা এসব অপকর্ম থেকে সম্পুর্ন মুক্ত পাক পবিত্র যাদেঁর মাধ্যমে দুনিয়াতে দ্বীন ইসলাম আবাদ হয়েছে, যাদের উসীলায় লক্ষ কোটি উম্মত ইবলিশের ধোকা থেকে পরিত্রান পেয়েছে তারা ধোকায় পড়েছেন এটা একমাত্র কাট্টা মালাউন ইবলিশ শয়তানের মনুষ্য বশংবদ ছাড়া আর কেউ বলতে পারে না। অথচ ইতিহাস বলে ঐ জামানায় হযরত ইমাম গাজ্জালী রহমাতুল্লাহি আলাইহি যদি তাশরীফ না নিতেন তবে দ্বীন ইসলাম এর অনুসারী বিশ্বের তাবৎ মুসলমানগণ ইসলাম থেকে দুরে সরে গিয়ে গ্রিক দর্শনের মতবাদের দিকে ঝুকে পড়তেন। আজকে তো ঐ সমস্ত পাপাত্মা শ্রেনীর লোক উনার প্রতি ধোকায় পড়ে যাবার অপবাদ দেয় যারা সেই গ্রীক বিধর্মী বিজাতীদের সাথে তাশাব্বুহ রেখে জাহান্নামী হয়েছে।
“দুর্বল হাদীসের উপর আমল করতে হলে আমল করার সময় এটা রাসুল ছল্লল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (উনার) থেকে প্রমানিত বলে বিশ্বাস করা যাবে না”। সুত্র/ ড: আবু আব্দুল্লাহ মুহম্মদ যাকারিয়া, সহকারী অধ্যাপক, আল ফিক্বহ বিভাগ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়া।
খন্ডন: নাউজুবিল্লাহ! আচ্ছা, এই ওহাবীর গোলামদের নিকট আমাদের জিজ্ঞাসা, তাদের এই কথার দলীল পবিত্র কুরআন শরীফ বা সহীহ হাদীস শরীফ এর কোথায় রয়েছে? রাবীর দুর্বলতার কারনে কোন হাদীস শরীফ যদি জয়ীফ প্রমানিত হয় তবে সেটা নবী পাক সাল্লল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার হাদীস শরীফ নয় এমন ধারনা করা যাবেনা সেটা ওহাবী চেলাদেরকে কে বলেছে? বরং আমরা তো দেখেছি, কোন বিষয়ে একটি দুর্বল হাদীস শরীফ পাওয়া গেলেও ঐ বিষয়ে আদবের কারনে সম্মানিত ইমাম মুজতাহিদ আউলিয়া কিরাম রহমাতুল্লাহি আলাইহিমগন কখনো কিয়াস করে বক্তব্য দিতেন না বা মাসয়ালা বর্ননা করতেন না। উনারা নিজেদের কিয়াসের বিপরীতে বরাবর ঐ জয়ীফ হাদীস শরীফকেই প্রাধান্য দিতেন বা দিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! অপরদিকে ওহাবী খারেজী বিদয়াতী সম্প্রদায়ের মৌলুভীদের নিকট পবিত্র কুরআন শরীফ এবং সহীহ হাদীস শরীফ পেশ করার পরও তারা বিভিন্ন মিথ্যা অজুহাতে সেগুলোকেও বর্জন করে। নাউজুবিল্লাহ! এটা শুধু পবিত্র শবে বরাত সম্পর্কেই নয় বরং দেখা যায়, তারা নানার অবৈধ কাজের ব্যাপারেও পবিত্র কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ এ অকাট্ট্য প্রমান থাকার পরও তারা সেগুলোকে বর্জন করছে। মূলত; একই কারনে তারা পবিত্র কুরআন শরীফ এ সুরা দুখানে পবিত্র শবে বরাত সম্পর্কে এবং অসংখ্য অগনিত সহীহ হাদীস শরীফ এ পবিত্র শবে বরাত প্রসঙ্গে শক্তিশালী বর্ননা থাকার পরও তারা সেগুলো অস্বীকার করছে। এরা যদি সত্যিকার ঈমানদার হতো তাহলে এমনটি করার দূ;সাহস দেখাতে পারতো না।
“শবে বরাতের রাত্রিতে রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কোন সুনির্দিষ্ট ইবাদত বন্দেগী করেছেন বলে সহীহ হাদীসে বর্নিত হয়নি। অনুরুপভাবে কোন সাহাবী থেকেও কিছু বর্নিত হয়নি। তাবেয়ীনদের মধ্যে তিনজন ব্যাতীত আর কারো থেকে বর্নিত হয়নি।” নাউজুবিল্লাহ! ! সুত্র/ ড: আবু আব্দুল্লাহ মুহম্মদ যাকারিয়া, সহকারী অধ্যাপক, আল ফিক্বহ বিভাগ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়া।
খন্ডন: বদ আক্বীদা বদ আমলধারী ওহাবীদের উক্ত মিথ্যা বক্তব্যের জবাবে বলতে হয়, তারা তো সহীহ হাদীস শরীফকে স্বীকারই করেনা। অথচ আমরা হাজার হাজার সহীহ হাদীস শরীফ বর্ননা করতে পারি যা ওহাবীরাও জানে যেগুলো থেকে পবিত্র শবে বরাত পালন করা উম্মাহর জন্য ফরজ ওয়াজিব সাব্যস্ত হয়ে যায়। আর সহীহ হাদীস শরীফ হযরত ছাহাবায়ে আজমাঈন রদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা বর্ননা করেছেন বলেইতো সেগুলো হাদীস শরীফ এর কিতাবে এসেছে। উনারা যদি কিছু বর্ননা না করে থাকেন তবে হযরত তাবেয়ীন কিরাম রহমাতুল্লাহি আলাইহিমগন (ওদের মতে তিনজন) উনারা কি তাহলে হাওয়া থেকে সেগুলো বর্ননা করেছেন? মূলত; হযরত তাবেয়ীন রহমাতুল্লাহি আলাইহিমগন উনারা হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগন উনাদের থেকে পবিত্র শবে বরাতের রাত্রিতে সুস্পষ্ট ইবাদত বন্দেগী করার বিস্তারীত দলীল প্রমান লাভ করার কারনেই সেগুলো উনারা পরবর্তী গনের নিকট বর্ননা করেছেন। এখন ওহাবীদের নিকট জিজ্ঞাসা, খায়রুল কুরুনের উনারা কি মুসলিম উম্মাহর জন্য অনুসরনীয় দলীল নন? উনাদের বর্ননা এবং আমল যদি মুসলমানদের জন্য দলীল না হয় তবে যে সমস্ত ওহাবী মৌলুভীরা নানান অবৈধ কাজের সাথে যুক্ত তাদের বর্ননা মুসলিম উম্মাহ কি করে গ্রহন করতে পারে! তারা হাজারো মিথ্যা ছল চাতুরী দিয়ে এতসব হারামকে হালাল করতে পারলে পবিত্র শবে বরাতের ইবাদত বন্দেগীর মত হালাল জায়িজ আমলকেও হারাম বিদয়াত বলে পরিত্যাগ করতে পারেনা একথাও বা কিভাবে বিশ্বাস করা যায়!
“যদি ঐ রাত্রি উদযাপনকারী তাবেয়ীনদের পক্ষে কোন দলীল থাকত, তাহলে তারা তা অবশ্যই পেশ করে তাদের কর্মকান্ডের যথার্থতা প্রমাণ করার চেষ্টা করতেন, অথচ এরকম করেছেন বলে প্রমাণিত হয়নি।” নাউজুবিল্লাহ!
খন্ডন: দেখুন! ওহাবী মনুষ্য শয়তানগুলো কি মারাত্মক অপবাদ আরোপ করছে উম্মাহর সর্বশ্রেষ্ঠ আলিম হযরত তাবেয়ীন রহমাতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের প্রতি। উনারা নাকি পবিত্র শবে বরাতে বিনা দলীলে আমল করেছেন। তার মানে ঐ জামানায় উনারা পবিত্র কুরআন শরীফ সুন্নাহ শরীফ ছাড়াই নিজেরা মনগড়া বানিয়ে বানিয়ে ইবাদত বন্দেগী করতেন? নাউজুবিল্লাহ! এক্ষেত্রে আমাদের পরিষ্কার জবাব হলো, যদি এটা ঐতিহাসিকভাবে প্রমানিত হয় অর্থাৎ মাশহুর হয় যে, খায়রুল কুরুনের উম্মাহর সর্বশ্রেষ্ঠ আলিম হযরত তাবেয়ীন রহমাতুল্লাহি আলাইহিমগন পবিত্র শবে বরাত বা অন্য কোন উপলক্ষে কোন ইবাদত বা আমল করেছেন তবে পরবর্তী উম্মাহর জন্য ঐ বিষয়ে পবিত্র র্কুআন শরীফ বা হাদীস শরীফ-এ কোন দলীল আছে কিনা এটা জানা বা জানার চেষ্টা করা মোটেও জরুরী নয়। কেননা উনাদের আক্বীদা আমলই পরবর্তী উম্মাহর জন্য দলীল হিসেবে যথেষ্ট- এটাই শরীয়াসম্মত ফায়সালা। ওহাবী বিদয়াতীরা নিজেরাই স্বীকার করেছে তাবেয়ীন রহমাতুল্লাহি আলাইহিমগন উনাদের বিশাল এক জামায়াত (মূলত; প্রত্যেকেই) পবিত্র শবে বরাত ইবাদত বন্দেগীর মাধ্যমে উদযাপন করেছেন। তাহলে তো একটি কথা পরিষ্কার, সলফে সালেহীনদের আমলের মাঝে যে বিষয়টির দলীল রয়েছে সেটা মোটেও বিদয়াত নয়।
“শুধুমাত্র ইকরিমা থেকে বর্নিত হয়েছে, তিনি বলেন- এ আয়াত দ্বারা (সুরা দুখানের লাইলাতুম মুবারকা শব্দ দ্বারা) শাবানের মধ্য রাত্রিকে বুৃঝানো হয়েছে। এটি একটি অগ্রহনযোগ্য বর্ননা।” নাউজুবিল্লাহ!
খন্ডন: যাক! সৌদী ওহাবী দালাল মৌলুভীরা এটা বলেনি যে, হযরত ইকরিমা রদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু যে পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ এর সুরা দুখানের তাফসীরে যা বলেছেন সেটা একটি মিথ্যা বানানো মনগড়া বানোয়াট রেওয়ায়েত! তারা স্বীকার করেছে মূলত; স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছে পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ-এও শবে বরাত এর কথা রয়েছে এ ব্যাপারে হযরত ইকরিমা রদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু একমত পোষন করেছেন। আমরা আরো বিশ্বস্ত সুত্রে জানতে পেরেছি উক্ত আয়াত শরীফ এর তাফসীরে বিশিষ্ট ছাহাবী হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনিও বলেছেন, লাইলাতুম মুবারকা দ্বারা পবিত্র শবে বরাত এর রাত্রিকেই বুঝানো হয়েছে। সুবহানাল্লাহ! এখন তাহলে মুমিন মুসলমানদের জিজ্ঞাসা, পবিত্র কুরআন শরীফ এর তাফসীর এর হাকিকত হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা বেশী বুঝেছেন নাকি এই সমস্ত ওহাবী বিদাতীর দল বেশী বুঝেছে? তাহলে তারা কি করে বলতে পারলো হযরত ইকরিমা রদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুৃ উনার মতটি অগ্রহনযোগ্য! আমরা বলতে চাই, হযরত ইকরিমা রদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার মতটি অগ্রহনযোগ্য বাতিল এমন কথা কি অন্য কোন ছাহাবায়ে কিরাম রদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেছেন? কষ্মিনকালেও বলেন নি। একারনেই নবী পাক সাল্লল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাবধান করে ইরশাদ করেছেন, “আমার ছাহাবায়ে কিরাম রদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদেরকে তোমরা মন্দ বলোনা, উনাদের সমালোচনা করো না।” কত বড় পথভ্রষ্ট হলে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের বর্নিত তাফসীরকে অগ্রহনযোগ্য বলা যায় সেটা ফিকির করা উচিত। মুলত; এরা কাট্টা মালাউন ইবলিশ শয়তানের কায়মোকাম যার কারনে তারা হারামকে হালাল করছে এবং হালালকে হারাম করছে। নাউজুবিল্লাহ!
__________________________
বিস্তারিত দলীল সহ লেখনী পড়ুন এখানে

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


