রব মহান আল্লাহ ‘সূরা ফাতিহা’-এ ইরশাদ করেন, ‘(তোমরা দোয়া করো) আয় বারে ইলাহী! আমাদেরকে সরল পথ দান করুন। তাদের পথ দান করুন; যাঁদেরকে নিয়ামত দিয়েছেন। আর যারা গযবপ্রাপ্ত ও বিভ্রান্ত তাদের পথ দিবেন না।’
বিষয়বস্তুর আঙ্গিকে, গুরুত্বের বিচারে ‘সূরা ফাতিহা’ এক অনন্য মযার্দাসম্পন্ন সূরা। কুরআন শরীফ আরম্ভ হয়েছে ‘সূরা ফাতিহা’ দ্বারা। অবতরণের দিক দিয়ে এটিই প্রথম পূর্ণাঙ্গ সূরা। বৈশিষ্ট্যের দিক থেকে এটি সমগ্র কুরআন শরীফ-এর সংক্ষিপ্ত সারমর্ম। কুরআন শরীফ-এর অবশিষ্ট সূরাগুলো মূলতঃ ‘সূরা ফাতিহারই’ বিস্তৃত ব্যাখ্যা। গুমরাহীর পথ ছেড়ে সিরাতুল মুস্তাক্বীমের পথে পরিচালিত হওয়াই সমগ্র কুরআন শরীফ-এর মূল কথা। আর ‘সূরা ফাতিহাতে’ সে বিষয়টিই দোয়ারূপে সন্নিবেশিত করা হয়েছে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণরূপে। আর তাই সূরা ফাতিহাকে বলা হয় 'উম্মুল কুরআন'।
কুরআন শরীফ-এর সর্বাধিক পঠিত সূরা হিসেবে সে দোয়া সারা মুসলিম জাহান উচ্চারণ করছেন প্রতিনিয়ত, অহরহ- “আমাদেরকে সরল পথ দান করুন, সে সমস্ত ব্যক্তিত্ব উনাদের পথ দান করুন; যাঁদেরকে নিয়ামত দান করেছেন। তাদের পথ নয়, যারা গযবপ্রাপ্ত, বিভ্রান্ত ও পথভ্রষ্ট।”
নিয়ামতপ্রাপ্ত ও গযবপ্রাপ্তদের বর্ণনা কিন্তু কুরআন শরীফ-এই রয়ে গেছে। যাঁদেরকে নিয়ামত দেয়া হয়েছে, তাদের প্রসঙ্গে খালিক্ব মালিক আল্লাহপাক ইরশাদ করেন, যাঁদের প্রতি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহপাক অনুগ্রহ করেছেন, তাঁরা হচ্ছেন- নবী, ছিদ্দীক্ব, শহীদ এবং ছালেহ।
তাই আমাদের সকলেরই উচিত তাঁদেরই জীবনের আদর্শ মনে করা। আর যারা এর বিপরীত তাদেরকে সম্পূর্ণভাবে পরিহার করে চলা*
*আক্বলমন্দ লিয়ে ইশারাই কাফি

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


