somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমরা শিক্ষিত মেয়ে দেখে কি আমাদের স্বামী আমাদের দেখবে না , আমাদের ভরনপোষন ও বাচ্চার দায়ভার নিবে না ??

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:০৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

অনেকদিন পর একখানা লেখা লিখতে বসেছি। ছোট থেকে যখন বড় হচ্ছিলাম আব্বা আম্মা আমাদের এত কিছু শিখিয়েছিলেন ও জানিয়েছেন তন্মধ্যে আব্বা এই বোধটা ঢুকিয়েছেন যে আমি প্রথমত একটি মানুষ। ছেলে মেয়ের প্রভেদ ও যা যা বিতর্ক মাঝে সাঝে বাধে তার থেকে শতগুন দূরে থাকার চেষ্টা সর্বাত্মক থাকে।
মেয়েদের স্বাধীনতা ও তার পড়ালেখা, কাজ ও পরবর্তিতে সংসার ধর্ম। সমাজে যেন শ্রেনীবিন্যাসকরন চলে বিবিধ ভাবে। এই বিবিধটা আমার একদম পছন্দ না।
যেহেতু মেয়েটি পড়ালেখা করে নাই, তাই সে কিছু করতে পারবে না জীবনে। যে একান্তই ভুল কথা । যেহেতু মেয়েটি পড়ালেখা করেছে তাই মেয়েটি স্মার্ট।
স্মার্ট ও ওভারস্মার্ট নিয়ে যখন দ্বন্ধ , এরপর দ্বন্ধ শুরু হয় মেয়েটি কততা সতী।
এ যুগে কোন মেয়ে ছেলেদের সাথে কথা না বলে বড় হয়েছে এমন কোন মেয়ে খুঁজে পাওয়া দুস্কর। ছেলেদের সাথে কথা বললে কি হয়? পড়ালেখা ও একসাথে যদি ছেলেদের সাথে কাজ করে তাহলে কি হয় ?
আচ্ছা মেয়েটি উচ্চশিক্ষিত হয়েছে ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার বা কোন বিষয়ে মাস্টার্স পাশ করেছে তাই সে ঘরের কোন কাজ পারে না । সে নিজের টাকা নিজে কামাবে আর তার স্বামী টাকে কোন ভরনপোষন দিবে না।
এমন কিছু উদ্ভট সংঙ্গা দাড়াচ্ছে। একটা মেয়ে যদি পড়ালেখা ভাল করে , সব কাজে পরদর্শী হয় তাহলে সে কেন তার স্বামীর ভরনপোষন পাবে না?? আর মেয়েটি ভাল লেখাপড়া করেছে দেখে সে অনেক বেশী আধুনিক এমন ভাবার কি কারন তাও বুঝি না।মেয়েটি বাবা মায়ের সেবা করে, পাড়া প্রতিবেশির উপকার করে , সহপাঠী ও ছোট ভাই বোনদের স্নেহ করে তাই বলে এ গুনগুলো শিক্ষিত মেয়ের মধ্যে থাকতে পারবে না তাতো কোথাও লেখা নাই।
কোন ইঞ্জিনিয়ার মেয়ে যদি বাসায় রান্না বান্না করে ঘরের কাজ করে ও চাকুরীও করে সেটা সে করবেই । ভাল মেয়েরা সব কাজে পারদর্শী হয়। তাই বলে কি সে বাকী আর পাচটা মেয়ে যেমন স্বামীর সোহাগ ও ভরন পোষন পায় তা থেকে কি বঞ্চিত হবে। এখনকার মেয়েদের মূল্যায়ন যেন ছেলেরা করতেই চাচ্ছে না । তারা ভাবছে সেই মেয়েটি নিজের খরচ নিজে চালাবে।কিন্তু কিছু কর্তব্য আছে যা সেই স্বামীকেই করতে হয়। বাচ্চার দুধের টাকা যদি কোন স্বামী যদি না দিতে পারে তার নিজের সামর্থ থাকা স্বত্তেও তা খুব দুখজনক।
একটা কাহিনী বলি। গ্রামীন ব্যাঙ্কে জব করা এক মেয়ের সাথে স্ট্যান্ডার্ড চ্যাটার্ড ব্যাঙ্কের ছেলের সাথে বিয়ে হল। ছেলেটার গুলশানে বাড়ি মেয়েটার ধানমন্ডিতে বাড়ি।
হীরার সেট দিয়ে বিবাহ হল। খুব ধুমধাম । কিছু দিন পরে মেয়েটির বাবু হওয়ার পর থেকে বাপের বাড়িতে আসা শুরু হল। ছেলেটার বাবা মা নাকি বাবুটিকে দেখতে পারে না । এরপর বাবুর দুবছর হওয়ার পর শোনা গেল বাচ্চার সমস্ত ভরনপোষন ও খরচ সব নাকি মেয়ের চাকুরী থেকে চালাতে হয়। এত বড়লোকের মেয়ে এত বড়লোকের ছেলে তাদের এত বেতনের জব করে অথচ মেয়েটিকেই তার বাচ্চার দুধের টাকা জোগার করতে হয়। আমাদের আব্বা আম্মাদের যুগে দেখতাম আব্বাই সব চালাতেন। আম্মাকে কোনদিন শুনি নাই তোর বাপ আমাকে কিছু দেয় না ।
এখনকার মেয়েরা এত শিক্ষিত জব করে অথচ ওদেরকে যেভাবে মূল্যায়ন করা হচ্ছে একটা কুত্তা বিলাইকেও এভাবে মূল্যায়ন করে না । আর সারাক্ষন ছেলেগুলি মেয়েগুলির থেকে খালি নেওয়ার জন্য অস্থির থাকে। কি জামানা চলে আসল।
মেয়েটা এত কষ্ট করে পড়ছে ওর বাবা মা ওকে কত কিছু দিয়ে বড় করেছে অথচ ছেলের বাবা মা ও ছেলে মেয়েটার কোন মূল্যায়নই করছে না ।
আমরা শিক্ষিত মেয়ে দেখে কি আমাদের স্বামী আমাদের দেখবে না , আমাদের ভরনপোষন ও বাচ্চার দায়ভার নিবে না ??
প্রশ্ন রইল সমাজের কাছে ??
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:০৬
২টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছেলেবেলার অকৃত্রিম বন্ধু

লিখেছেন ঢাবিয়ান, ১২ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৯

খুব ছোটবেলার এক বন্ধুর গল্প বলি আজ। শৈশবে তার সাথে আছে দুর্দান্ত সব স্মৃতি। বন্ধু খুবই ডানপিটে ধরনের ছিল। মফস্বল শহরে থাকতো। বাবার চাকুরির সুবাদে সেই শহরে ছিলাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দেশ ও জাতি সম্পর্কে আমাদের ১ জন ব্যুরোক্রেটের ধারণা!

লিখেছেন সোনাগাজী, ১২ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১৭



নীচে, আমাদের দেশ ও জাতি সম্পর্কে আমাদের ১ জন ব্যুরোক্রেটের ধারণাকে ( পেশগত দক্ষতা ও আভিজ্ঞতার সারমর্ম ) আমি হুবহু তুলে দিচ্ছি। পড়ে ইহার উপর মন্তব্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ড্রেনেই পাওয়া যাচ্ছে সংসারের তাবৎ জিনিস

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১২ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫০



ঢাকার ড্রেইনে বা খালে কী পাওয়া যায়? এবার ঢাকা সিটি কর্পোরেশন (উত্তর) একটি অভুতপূর্ব প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে। তাতে ঢাকাবাসীদের রুচিবোধ অথবা পরিচ্ছন্নতাবোধ বড় বিষয় ছিল না। বড় বিষয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

মোজো ইদানীং কম পাওয়া যাচ্ছে কেন?

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ১২ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৩৭


শুনলাম বাজারে নাকি বয়কটিদের প্রিয় মোজোর সাপ্লাই কমে গেছে! কিন্তু কেন? যে হারে আল্লামা পিনাকী ভাট ভাঁওতাবাজিদেরকে টাকা দিয়ে 'কোকের বিকল্প'-এর নামে 'অখাদ্য' খাওয়ানো হচ্ছিলো, আর কোককেই বয়কটের ডাক... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিউ ইয়র্কের পথে.... ১

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১২ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৫৮

আজ (১০ মে ২০২৪) রাত দুইটা দশ মিনিটে নিউ ইয়র্কের পথে আমাদের যাত্রা শুরু হবার কথা। এর আগেও পশ্চিমের দেশ আমেরিকা ও কানাডায় গিয়েছি, কিন্তু সে দু’বারে গিয়েছিলাম যথারীতি পশ্চিমের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×