ভাই সব যুবক মুসুল্লিগণ, কালকে আপনারা অনেকেই যাবেন জুম্মার নামাজে, ধর্মীয় অনুভূতির সঙ্গে আল্লাহ তায়ালার কাছে একসঙ্গে প্রার্থনা জানাতে। আর সেই সুজোগে নামাজ শেষ না হতেই পেছন থেকে নারায় তকবি শ্লোগান তুলে জামাত শিবির এতো জনগণের জামায়েত কে অটো জনসভা করতে এই সুবিধাটা কাজে লাগাবে।
তাই আপনাদের সবার প্রতি আহবান :
কয়েক জন যুবক মুসুল্লি আগে থেকেই যুক্তিকরে নামাযের লাইনের শেষে দাঁড়ান, দরকার হলে সঙ্গে কাঁচা লাঠি রাখুন। নামাজ শেষ হবার আগেই ওরা শ্লোগান তুলে নামাজে কোন ধরনের ব্যঘাত ঘটাতে চাইলে সবাই এক সঙ্গে প্রতিরোধ করুন। সাবধান একা কিছু বলতে যাওয়া সাংঘাতিক বোকামি হবে। ওরা সঙ্গে হাতুরি রাখে, এক আঘাতই কিন্তু আপনার অবস্থা কেরোসিন করে ফেলতে পারে।
দরকার হলে আগে ভাগেই এব্যপারে মসজিদের মাইকে মুসুল্লিদের উদ্দেশ্যে ঘোষণা দিয়ে রাখুন, এদে ওদের মনোবল কমিয়ে দেয়া সম্ভব হবে।
কালকে শুক্রবার দেশের চার লক্ষ মসজিদ থেকে নাকি জঙ্গি কর্মসূচী দেওয়া হবে প্রজন্ম চত্বর সহ সারা দেশের নানা জায়গাতে যে গণজাগরণ মঞ্চ তৈরি হয়েছে তার বিপক্ষে । ওলামা মাশায়েখ পরিষদ কিংবা ফরেয়াজি আন্দোলন আলেম পরিষদ এইরকম নানা ব্যানারের আড়ালে মূলত জামা শিবির এই কর্মসূচীগুলি পরিচালিত করবে কালকে ।
এই পুরা প্রক্রিয়ায় একটা বিষয় লক্ষ্যণীয় যে সকল ব্লগারদের নাস্তিক মুরতাদ আখ্যা দিয়ে তাদের জ্যান্ত কবর দেওয়ার কিংবা পুড়িয়ে মারার মতো অশ্লীল খিস্তিখেউর গুলি করার জন্যে সব সময় আলেম ওলামা মাশায়েখদের ব্যানারকেই ব্যবহার করে । ইসলামি ছাত্র শিবির কিন্তু প্রজন্ম চত্বরে আন্দোলন আরম্ভ হয় তখন এইটাকে তারুণ্যের জয়গান কিন্তু দেশের সকল জাতীয় ইস্যু সমস্যা এইখানে সংযুক্ত হওয়া উচিত এইরকম কিসিমের একটা সুশীলয় প্রেস বিজ্ঞপ্তি ছেড়েছিলো কয়েকদিন আগে । পুড়িয়ে দেওয়া গুড়িয়ে মতো উগ্র কথাবার্তা জন্যে তারা বাকি ছোটো ইসলামি দলদের কাজে লাগাতে চায় ।
তাদের রাজনীতির কুৎসিত কদর্য কাজকামগুলি তারা ওলামাদের ব্যানারে করতে চায় । এই ট্রেণ্ড ২০০১ সালেও জামাত বিএনপি যখন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় ছিলো তখনো দেখা গেছে জেএমবির মতো বাংলা ভাই শায়খদের উথানের নেপথ্যে জামাত নেতা নিজামি এবং আলি আহসান মুজাহিদের অবদান কম ছিলো না । কিন্তু যখন তাদের জঙ্গি তৎপরতায় দেশে বিদেশে নিন্দার ঝড় উঠল আইনি পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য বিএনপি জামাত জোট সরকারের উপর প্রেসার আসলো । তখন দেখা গেলো জঙ্গি পৃষ্ঠপোষকতার জন্যে আহলে হাদীসের লোকেরাই খালি জেলে যেতে থাকলেন । জামাতি ওয়াজি নেতা সাঈদী বাংলা হবে আফগান আমারা হবো তালেবান বলে একটা সময় স্লোগান দিতেন তাকেই দেখা গেলো সুর পাল্টে জেএমবির সকলকে গরু ঝুলানোর দড়ি দিয়ে গাছে ঝুলিয়ে ফাঁসি দেওয়ার আহবাণ জানাতে । জামাতের রাজনীতির ধরন বিশ্লেষণ করলে এইটা পরিস্কার যে তারা নিজেরা মুসলিম মডারেট ডেমোক্রেট পার্টি ইমেজ পছন্দ করে ।
ব্লগারদের বিরুদ্ধে কালকের যে কর্মসূচী হচ্ছে জামাত শিবির নিজের ব্যানারে করছে না একটাই কারণে তারা ভালো করেই জানে এই কর্মসূচীতে পাবলিকের তাদের প্রতি ঘৃণা আর তীব্র হবে । তারা আশা করছে যে বাকি কওমি দেওবন্দি সালাফি কিংবা আহলে হাদিসপন্থি ধার্মিক লোক আছে তাদেরকে ক্ষেপীয়ে ফ্রন্টলাইনে পাঠিয়ে জাগরণ মঞ্চের সাথে তাদের একটা সংঘর্ষ বাঁধানো
জামাত শিবিরের বর্তমান অবস্থা হচ্ছে ডুবন্ত জাহাজের মতো , এখন বড় প্রশ্ন হচ্ছে সুবিধাবাদী জামাতের রক্ষার্থে রাজপথে নেমে বাকি ইসলামি সংগঠনগুলি কি নিজেদের গায়ে রাজাকারের কালিমা লাগাবে নাকি তাদের থেকে দূরত্ব বজায় রেখে প্রজ্ঞার পরিচয় দিবে । গণজাগরণের মঞ্চে যারা সক্রিয় তারা বেশিরভাগেই চারিত্রিক দিক দিয়ে উদারবাদী মুক্তমনা রক্ষণশীল মানুষ তারা না তবে তারা তাদের পক্ষ থেকে যতোটা সম্ভব ধর্মীয় মূল্যবোধকে শ্রদ্ধা প্রদর্শনে সচেষ্ট । ধার্মিক রক্ষণশীল অথচ রাজাকারদের পক্ষে সাফাই গায় না এমন মানুষদের দাবিগুলির প্রতি তারা লক্ষ্য রাখছে , একদিকে জনমানুষের ঘৃণার দ্রোহের দগ্ধ কোনঠাসা জামাত শিবির অন্যদিকে স্বাধীন স্বপক্ষের জনশক্তির বিপ্লবী সমাবেশ । সকল নন জামাতি ইসলামি সংগঠনকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারাও কোনদিকে যাবে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে ব্যর্থ হলে তাদেরকেও জামাতের মতো ঘৃণার পাত্রে পরিননত হতে হবে বল এখন তাদের কোর্টে ।