-না, ঠিক চারটা
-ওই হলো।
-ওই হলো মানে?
-তিনটা উনষাট আর চারটার মধ্যে পর্থক্য কতটুকু
-পার্থক্য নেই মানে ষাট সেকেন্ডের পার্থক্য কেনো পার্থক্য নয়? মাত্র এক সেকেন্ডের ব্যবধানে পৃথিবীতে কত অগুনতি ঘটনা ঘটে যায় জানিস? কত কিছ সৃষ্টি হয়, কত কিছু ধ্বংস হয়, কতজন জন্মে কতজন মরে, কত সম্পর্ক শুরু হয় কত সম্পর্ক শেষ হয়-
-ওহ, প্লিজ লেকচার বন্ধ কর
-লেকচার দিলাম কোথায়, যাহা সত্য তাহাই বলিতেছি
-সত্য বলার থাকলে উইটনেস বক্সে দাঁড়িয়ে বল গিয়ে, দয়া করে আমাকে নিস্কৃতি দে।
-আহা শোননা এত রাগ কেনো করিস?
-গেলি তুই আমার সামনে থেকে!
- আচ্ছা বাবা যাচ্ছি, তোর ফোন বাজছে।
-বাজুক, পারলে তুই রিসিভ করনা?
-আহা, এটা যদি পারতাম! দেখ তুই শুধু নিজের লিমিটেশন নিয়ে ভাবিস, একবার ভেবছিস আমারও কত সীমাবদ্ধতা!
- না ভাবিনা, ভাবিনি, ওই কাজটা তো তুই করিস আমার আর করার কি দরকার! যত্তোসব, তোকে কিন্তু আমি যেতে বলেছি।
- ও হ্যাঁ তাইতো ভুলেই গেছিলাম, আচ্ছা চললাম আবার দেখা হবে।
- হ্যাঁ তাতো হবেই, তোর হাত থেকে মুক্তি আছে?
ইস্ আরো আরো আধা ঘন্টা, কাজ গুলো গুছিয়ে ফেলা দরকার। হুহ্ কাজ না ছাই, 'ছাই ফেলতে ভাঙ্গাকুলো' । সত্যিই নিজেকে আজকাল আর ভাঙ্গাকুলোর থেকে বেশী কিছু ভাবার অবকাশ নেই, কারণ কাজ বলতে যা তা ছাই ফেলার থেকেও অপাঙতেয়। সকাল থেকে শুরু করে দিনের শেষ অব্দি, প্রত্যেকটা দিন সেই এক ভয়ানক অর্থহীনতা দিয়ে শুরু শেষও সেই একই রকম অর্থহীনতায়, কোন কিছু করার করার আগ্রহও তো আজকাল আর নেই যেগুলোকে আপাত দৃষ্টিতে সকলে অর্থপূর্ণ কাজ বলে মনে করে!
- আগ্রহ নেই, নাকি ক্ষমতা নেই!
-ওহ্ তুমি আবার এসে গেছো ফোঁড়ন কাটতে?
-আর কোথায় যাই বলো, তা তোমার ছাই ফেলার কাজ কি শেষ?
-এই হলো বলে।
ঘরে ফিরতে হবে, কেটে গেলো হেলাফেলার আরও একটা দিন, শুরু হলো হেলাফেলার আরো একটা সন্ধ্যে, শুরু হবে আরও একটা হেলাফেলার রাত্রি।
-আমি তাইলে যাচ্ছি, ঘরে গিয়ে আমাকে পাবে সেই একই জায়গায়, একই স্থানে, অপেক্ষায় থাকবো।
-জানি।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা জানুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৫:১৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





