somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আলোয়...কালোয়.....

০৭ ই জানুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৩:২৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

'আঁধার রজনী পোহালো..জগত পূরিল পুলকে'...
-দয়া কর বাবা, রাত না পোহাতেই শুরু হলো।
-আহা, এমন করিস কেনো? সকাল সকাল এরকম গান শুনলে মনটা তো এমনিতেই ভালো হয়ে যায়, আর আজ বছরের প্রথম দিন, হ্যাপি নিউ ইয়ার, এরকম খিট খিট করতে নেই।
-নিকুচি করি তোর হ্যাপি নিউ ইয়ারের, লেট মি স্লিপ।
-তোমার মোবাইলে এ্যালার্ম বাজছে, এবার উঠে পড়ো।
-বলছি না ঘুমোতে দে...প্লিজ, আর পাঁচ মিনিট।
-নিত্যদিন একই কান্ড, দু' দুটো এ্যালার্ম দিয়ে রাখিস মোবাইলে, একটা 'মর্নিং কল' তার ঠিক ত্রিশ মিনিট পরে 'ডেইলী এ্যলার্ম' যার একটাতেও তুই বিছানা ছাড়িস না, তাইলে শুধুশুধু এ্যালার্ম দিয়ে রাখার কি অর্থ! ওঠ এবারে নয়তো অফিসে আজও দেরী হয়ে যাবে, গত সপ্তাহেই কিন্তু নোটিশ খেয়েছিস দেরী করে যাওয়ার জন্য।
-আজ অফিস যাবোনা ।
-গত ছ'বছর ধরে একই কথা শুনে আসছি।
-আজ আর পারছি না, সত্যি।
-এমন একখানা ভাব যেন গতরাত্তিরে পার্টি করে খুব হ্যাংওভার হয়ে গেছে।
-খোঁটা দিস না, চাইলে ঠিকই যেতে পারতাম, নেমতন্ন ছিলো।
-ছিলো তো গেলে না কেনো।
-ইচ্ছে হয়নি তাই।
-ইচ্ছে হয়নি, নাকি ভয়ে...
-ভয় কিসের ভয়!
-কিসের ভয়? সেটা তুমি ভালো করে জানো।
-শেনো, আমি চোরের ভয়ে মাটিতে ভাত খাই না।
-তাই তো খাচ্ছো দিনের পর দিন।
-ইস্ , ৮টা বেজে গেলো এভাবে প্রতিদিন চলতে থাকলে আমার ভাত খাওয়াই বন্ধ হয়ে যাবে, সে মাটিতেই হোক, কলা পাতাতেই হোক অথবা রূপার থালাতেই হোক!
-যাক, এতোক্ষণে বোধোদয় হলো, ওরে একটু আস্তে, জামাকাপড় গুলো সব মাটিতে পড়লো, আগেরদিন একটু গুছিয়ে রাখলে কি হয়?
-ওহ্, ম্যলা ফ্যাঁচ ফ্যাঁচ করিসনা তো? ব্যাগে খুচরো আছে কিনা কে জানে, আমার মোবাইলটা কই? কি যেন একটা নিইনি...ওহ্ চাবিটা...তালাটা লাগলো তো ঠিক মতো....এবার মেইন গেটটা...তারপর কলাপসিবল....তালার পরে তালা....চাবির পরে চাবি.....কার সাধ্যি আছে...এগুলো ভেঙ্গে আমাকে উদ্ধার করে...হা হা হা.....
-চুপ করো, এতো হাসির কি আছে? নিজেকে যে নিজে বন্দী করে রাখে তাকে কে উদ্ধার করবে। এ তোমার স্বখাত সলিল...
-বেশ তাই। এখন অফিসে গিয়ে ডেস্কের আবর্জনা গুলো বিলিবন্টন করতে হবে ... জমাদারের কাজ করাও এর থেকে অনেক ভালো।
-স্বখাত সলিল...স্বখাত সলিল...তোমাকে কেউ দোহাই দেয়নি এই কাজ নিয়ে পরে থাকার জন্য।
-কেউ খুব একটা কিছু করেও নি আমাকে এখান থেকে উদ্ধার করার জন্য শুধু মাত্র কিছু ছেঁদো উপদেশ বর্ষন করা ছাড়া, ওরকম গ্যালন গ্যালন উপদেশ আমিও বর্ষন করার ক্ষমতা রাখি।
-শুধু শুধু অন্যকে দোষ দিয়ে কি হবে, নিজের....
-আহ চুপ, জানি আমি অযোগ্য, হলো তো।
-আমি তা বলিনি...
-ওহ্ ২০ মিনিট লেট হয়ে গেল আজও।
-কিছু খেলি না?
-প্রতিদিন কেন একই প্রশ্ন করিস, গত ছ'বছরে আমি ক'দিন ব্রেকফাস্ট করেছি? অফিসে গিয়ে বসের ঝাড় খেলেই পেট ভরে যাবে।

-এই খালি যাবেন?...কি এখান থেকে এখানে দশ টাকা?...চালের দাম....ভাই চাল তো আমাকেও কিনে খেতে হয় নাকি?....আচ্ছা ঠিক আছে...চলেন...একটু তাড়াতাড়ি করেন ভাই...আহা কি করছেন একটু দেখে...তাড়তাড়ি যেতে বলেছি বলে ডাইনে বায়ে কিছু দেখবেন না?...এটা কি হেলিকপ্টার?


-ওরে বাবা, আজ সত্যিই কাগজ পত্রের পাহাড় জমে আছে।
-এই, ইন্টারকমে বস।
-জ্বী স্যার...না মানে রাস্তায় একটু জ্যাম ছিলো...
-ইস্ বছরের শুরুটাই মিথ্যে কথা বলে শুরু করলি!
-তুই চুপ কর।
-জ্বী স্যার...হ্যাঁ ফাইলটা রেডিই আছে...আমি এক্ষুণি আনছি...

-কিরে তখন থেকে উপুড় হয়ে কি করছিস?
-কত কি, জুতো সেলাই....চন্ডীপাঠ...
-ওদিকে সবাই বসের রুমে ফুল দিয়ে নিউ ইয়ার উইশ করছে, তুই গেলিনা?
-টু হেল উইথ ইয়োর নিউ ইয়ার, ওই সব তৃতীয় শ্রেণীর আদিখ্যেতা করার এবং দেখার বিন্দু মাত্র আগ্রহ আমার অবশিষ্ট নেই, মুখোশ পড়া ভন্ড কতগুলো!
-শোনো, মাঝে মাঝে মুখোশ পড়াটা খুব জরুরী, বিশেষতঃ সেটা যখন কারো কোনো ক্ষতির কারণ হচ্ছে না।
-ন্যাকা ন্যাকা কথা বলো নাতো, আমি এখন কিছুতেই বসের ঘরে ঢং করতে যেতে পারবো না।
-এই জন্যই তোর উন্নতি হবে না বুঝলি?
-দরকার নেই আমার উন্নতির।
-তোর ফোন বাজছে।
-হ্যালো...হঠাৎ এই অসময়ে...ও আচ্ছা, সেম টু ইউ...তারপর...এই তো চলছে...বিয়ে.... কেনো হঠাৎ এই বছরটাকেই বেছে নিতে হবে কেনো....না এর আগেও তো অনেক বছর গেছে পরেও অনেক বছর আসবে...বয়স...আচ্ছা, সেতো অনেক আগেই চলে গেছে....দেখা যাক পৃথিবীতে মানুষ অনেক অসাধ্যই তো সাধন করেছে...একা থাকাটা তো খুব সামান্য বিষয়...আর আমি একা থাকি কে বললো... আরো কেউ একজন আমার সঙ্গে সর্বক্ষণ এঁটুলির মতো সেঁটে থাকে...কে?....সেটা তো বলা যাবে না....পাগল? তা বলতে পারো...সে অর্থে পাগলামী কার মধ্যে নেই বলো....অহংকার? হ্যাঁ তাও বলতে পারো....প্লিজ এভাবে চেঁচিয়ে কথা বলো না...এই এক মুশকিল কোনো কিছু তোমাদের হিসাব অনুযায়ী না হলেই সেটা এ্যাবসার্ড হয়ে যায়, আচ্ছা এ্যাবসার্ডিটির ডেফিনেশন টা কি তোমাদের কাছে?....তোমাদের বলতে আর কাদের বোঝাবো...তোমাদের মতো বন্ধুদের, যাদের থেকে শত্রু ভালো, তোমাদের মতো মানুষদের, যাদের থেকে গাছ ভালো....এনি ওয়ে, আমার আরেকটা ফোন এসেছে, রাখছি।

-আবার কে? ওরে বাবা জ্যেষ্ঠা ভগিনী...মুর্তিমতী বিভীষিকা...আয়্যা'ম নট গোয়িং টু রিসিভ দ্যা ফোন...
-ধর না ফোনটা...জরুরী কিছু হতে পারে।
-হ্যালো...হ্যাঁ... কি হলো কাঁদছিস কেনো? আমি তোর কোনো কথাই বুঝতে পারছি না...কী মা কি বলেছে...না সেটা তো ঠিকই...একসঙ্গে থেকে অশান্তি করার চেয়ে আলাদা থাকাই ভালো...আমি বেশী শিক্ষিত হয়ে গেছি কিনা সেটা অবান্তর প্রশ্ন....এই লজিকগুলো খুব স্বল্প শিক্ষিত লোকেরাও খুব সহজেই ধরতে পারে...তুই কেনো পারছিস না সেই ভেবে সত্যিই অবাক লাগছে....প্লিজ....ইনাফ ইজ ইনাফ...আমি আর এ প্রসঙ্গে কোনো কথাই বলতে চাইছি না...

-কিরে ফোনটা ডিসকানেক্ট করে দিলি...
-বেশ করেছি..উফ্ এদেরকে নিয়ে আর পারিনা...ঝামেলা হলে তখন আমার কথা মনে হয়...কই অন্য সময় তো...
-মাকে ফোন করছিস? প্লিজ কড়া কথা বলিস না...
-তোকে সেটা নিয়ে ভাবতে হবে না...হ্যাঁ মা...কি হয়েছে...তোমার মেয়ে ফোন করে ভেউ ভেউ করে কান্না কাটি শুরু করেছে...কি বলেছে?....আচ্ছা ও বল্লো বলে তোমাকেও বলতে হবে...তুমি কি মুখটা একটু বন্ধ করে রাখতে পারোনা......পাপ? হ্যাঁ পাপতো একটা করেছোই কতগুলো অপদার্থ সন্তান জন্ম দিয়েছো.....

-ছিঃ মা'র সঙ্গে কেউ এই ভাষায় কথা বলে।
-তুই চুপ কর।

...হ্যাঁ মা, আমি লাইনে আছি...বাদ দাও...আমার আর ভালো লাগছে না...যে সমস্যার সমাধান আমি করতে পারবো না সেই নিয়ে কথা বলে কি লাভ...তোমার ব্যাথাটা কি একটু কমেছে...হ্যাঁ ওষুধটা কুরিয়ার করে পাঠিয়ে দেব...না এই শীতে আর পারছি না এতোটা জার্নি করতে...বয়স তো আমারও হচ্ছে...ওষুধ টা ঠিক মতো খেয়ো।

-কি? এমন নেতিয়ে গেলি যে।
-ব্যাক টু ব্যাক তিনটা ফোনের ধকল সহ্য করতে পারছি না...তারপর ওই দেখ বস আড়াই মিনিট অন্তর অন্তর শ্যামের বাঁশী বাজিয়েই যাচ্ছেন....জ্বী স্যার ...আমি ডেস্কে ছিলাম না।
-আবারও মিথ্যা কথা বলছিস?
-চুপ থাক।
-জ্বী স্যার...আমি তো দু'দিন আগেই পাঠিয়েছি মেইলটা....না রিপ্লাই আসেনি.... নিউ ইয়ার ইভ তাই হয়তো....ঠিক আছে আমি রিসেন্ড করছি....
-কাঁচকলা হবে রিসেন্ড করে, সব যে ছুটি নিয়ে ফুর্তি করতে বেড়িয়েছে এটুকু বোঝার মতো ঘিলুও মাথায় নেই। সবাই তো ওনার মতো দাঁড়কাক...শালা...
-এগুলো কি অশালীন কথাবার্তা...ছিঃ
-অশালীন কথার তুমি শুনেছো কি...
-আচ্ছা থাক থাক, যাও বরং লাঞ্চ করে নাও।
-না, এখন না, আগে আফ্রিকান মাগুর গুলোর খাওয়া হোক
-তুই কিরে, কাউকে বলছিস দাঁড় কাক, কাউকে বলছিস আফ্রিকান মাগুর
-বেশ করছি বলছি, আফ্রিকান মাগুর নাতো কি...গদগদ করে গিলছে আর মোটা দাগের সব রসিকতা করে যাচ্ছে....শালারা খাওয়া আর ইয়ে ছাড়া আর কিছু শিখেছে?
-ইস্ আবার শুরু করলি......





-কিরে, চুপচাপ বসে আছিস যে, অফিস তো প্রায় ফাঁকা হয়ে গেলো।
-হুম্....
-হুম্ কি, তাড়াতাড়ি চল কালকেও কাজের বুয়াটা ফেরত গেছে। বালতিতে একগাদা কাপড় ভেজানো রয়েছে।
-আজ যেনো কী বার।
-কি হবে জেনে, কিসের অপেক্ষায় বসে থাকিস, যা গেছে গেছে, পেছন পানে তাকিয়ে না থেকে সামনের দিকে তাকাও, ভাবো না কেনো, নতুন একটা বছর শুরু হলো, এটাই হবে তোমার জীবনের সবচেয়ে সম্ভাবনাময়, সবথেকে আলোকিত বছর....ওই দেখো তাকিয়ে তোমার জন্য 'আলোকের ঝর্ণাধারা'.....
-আলোকিত বছর...হ্যাহ্...আমিতো এ্যাজ উইজুয়াল অন্ধকার ছাড়া কিছু দেখছি না...হবে অন্যদের কাছে নতুন বছর....আমার কাছে 'জাস্ট এ্যনাদার ডে'....আহ্....'এখনো গেলোনা আঁধার'....
-তোমায় নিয়ে আর পারি না, চলো বাড়ী ফিরি।
-বাড়ী? বাড়ী কোথায়? আই ডোন্ট হ্যাভ এনি হোম। ওটা বাড়ী নয় 'গুহা'।
-তোমার জন্য গুহা হবে, আমার জন্য বাড়ী, নিজেকে অযথা জন্তু বানানোর কোনো মানে হয়।
-জানো, মানুষের চাইতে জন্তু অনেক ভালো, 'এ্যানিম্যালস আর বিউটিফুল পিপল'....হা হা হা.....
-ঠিক আছে আর পাগলামো করতে হবে না, চলো ফিরি, বাইরে অন্ধকার হয়ে আসছে।
-হ্যাঁ সেই, চলো ফিরি, ভেতরেও আঁধার নেমে আসছে.................
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই জানুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৫:৩৫
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হাদির হত্যাকান্ড ও সরকারের পরবর্তি করণীয়!

লিখেছেন আহলান, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৫১

হাদির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা। সে দেশকে ভালোবেসে, দেশের মানুষকে ইনসাফের জীবন এনে দিতে সংগ্রাম করেছে। তাকে বাঁচতে দিলো না খুনিরা। অনেক দিন ধরেই তাকে ফোনে জীবন নাশের হুমকি দিয়ে এসেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মব রাজ্যে উত্তেজনা: হাদির মৃত্যুতে রাজনৈতিক পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪২

রোম যখন পুড়ছিল নিরো নাকি তখন বাঁশি বাজাচ্ছিল; গতরাতের ঘটনায় ইউনুস কে কি বাংলার নিরো বলা যায়?



বাংলাদেশ প্রেক্ষাপটে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদটি সবসময় ছিল চ্যালেঞ্জিং।‌ "আল্লাহর... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্টেরিম সরকারের শেষদিন : গঠিত হতে যাচ্ছে বিপ্লবী সরকার ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২২


ইরাক, লিবিয়া ও সিরিয়াকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার আন্তঃদেশীয় প্রকল্পটা সফল হতে অনেক দিন লেগে গিয়েছিল। বাংলাদেশে সে তুলনায় সংশ্লিষ্ট শক্তিসমূহের সফলতা স্বল্প সময়ে অনেক ভালো। এটা বিস্ময়কর ব্যাপার, ‘রাষ্ট্র’... ...বাকিটুকু পড়ুন

মব সন্ত্রাস, আগুন ও ব্লাসফেমি: হেরে যাচ্ছে বাংলাদেশ?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:৫২


ময়মনসিংহে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন মানুষকে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। মধ্যযুগীয় এই ঘটনা এই বার্তা দেয় যে, জঙ্গিরা মবতন্ত্রের মাধ্যমে ব্লাসফেমি ও শরিয়া কার্যকর করে ফেলেছে। এখন তারই... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×