যে কোনো ধরনের ক্রাইম বা অপরাধ যখন অনলাইন বা ইন্টারনেটের মাধ্যমে ঘটে, তখন তাকে সাইবার ক্রাইম বা অপরাধ বলে। এটিই সবচেয়ে সহজ সংজ্ঞা।
সাইবার অপরাধ বা সাইবার ক্রাইম এর নমুনা ঃ
• সামাজিক মাধ্যমে ফেক আইডি খুলে জ্বালাতন
• সামাজিক মাধ্যমের আইডি, ইমেইল অথবা ওয়েব সাইট হ্যাক
• সামাজিক মাধ্যমের বিভিন্ন ট্রল গ্রুপ বা পেজে ব্যক্তিগত ছবি ছড়িয়ে দেওয়া
• বিভিন্ন পর্নো ওয়েবসাইটে ব্যক্তিগত মুহূর্তের ধারণ করা ছবি বা ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া
• সামাজিক মাধ্যমের আইডি হ্যাক করে অর্থ দাবি
• ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবি বা ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি প্রদান ও হয়রানি
• কাউকে মারধর করে তার ভিডিও ধারণ করে তা অনলাইনে ছড়িয়ে দেওয়া
• কোনো কিশোরী বা যুবতী বা নারীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে তার ভিডিও ধারণ করে তা অনলাইনে ছড়িয়ে দেওয়া
• অনলাইনে ইকমার্সের নামে ভুয়া পেজ খুলে খারাপ পণ্য বিক্রির নামে হয়রানি
• অনলাইনে পরিচিত হয়ে অনলাইন কারেন্সি ট্রাঞ্জেকশন করতে গিয়ে ফ্রডের শিকার
• ভুয়া বিকাশ নম্বর থেকে ফোন করে লটারির কথা বলে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ
• ভুয়া বিকাশের এসএমএস দিয়ে গ্রাহককে দিয়েই অভিনব কায়দায় প্রতারণা
• অনলাইনে ব্যাংক একাউন্ট আর এটিএম কার্ডের ডিটেইলস চুরি করে অর্থ চুরি
• অনলাইনে স্প্যামিং এবং গণ রিপোর্ট
• অনলাইনে স্ক্যামিং
• অনলাইনে বিভিন্ন সেলেব্রেটি বা মানুষের নামে ভুয়া তথ্য ছড়ানো বা খবর প্রচার
****সাইবার অপরাধ বা সাইবার ক্রাইমে আক্রান্ত হয়ে গেলে আপনার করণীয় :
করণীয় বা প্রতিকার দুই ভাবে পেতে পারেন ঃঃ
১। থানায় এজাহার দায়েরের মাধ্যমে মামলা করে
২। সরাসরি সাইবার ট্রাইবুনালে মামলা দায়ের করে। ( দেশের একমাত্র সাইবার ট্রাইবুনাল ঢাকায়)
থানায় এজাহার দায়েরের মাধ্যমে মামলা করার ক্ষেত্রে করণীয় ঃ
প্রমাণগুলো সঠিকভাবে কালেক্ট করা। বাচাই করে সেগুলো প্রিন্ট করে ফেলা। স্ক্রিন ভিডিও এবং লিংকসহ প্রমাণ যোগাড় করা। তারপর থানায় যাবেন। অভিযোগ দায়ের করবেন।
কোনো কারণে যদি থানা মামলা না নেয় তখন আইনজীবীর সহায়তা নিয়ে সরাসরি সাইবার ট্রাইবুনালে মামলা দায়ের করতে হবে। ( দেশের একমাত্র সাইবার ট্রাইবুনাল ঢাকায়) ।
## এক্ষেত্রে আইনী সহায়তায় যোগাযোগ করতে পারেন।
এম টি উল্যাহ
আইনজীবী
০১৭৩৩ ৫৯৪ ২৭০
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩৪