অর্থঋণ মামলার বিচার কার্যক্রম বাস্তবিক অর্থে অন্যান্য মামলার বিচার কার্যক্রমের মতো আনুষ্ঠানিকতা বা পদ্ধতি সমূহ অনুসরণ না করেও হতে পারে। শুধুমাত্র লিখিত জবাবের আলোকেও মামলার নিষ্পত্তি করতে পারে আদালত।
অর্থঋণ আদালত আইন এর ১৩ ধারার বিধান মোতাবেক বিবাদী কর্তৃক লিখিত জবাব দাখিল হওয়ার পরবর্তীতে ধার্য একটি নির্ধারিত তারিখে আদালত উভয় পক্ষকে, যদি উপস্থিত থাকে, শুনানী করিয়া এবং আরজি ও লিখিত বর্ণনা পর্যালোচনা করিয়া মামলার বিচার্য বিষয়, যদি থাকে, গঠন করিবে; এবং যদি বিচার্য বিষয় না থাকে, আদালত অবিলম্বে রায় বা আদেশ প্রদান করিবে।
নির্ধারিত তারিখে, কোন বা উভয় পক্ষ যদি অনুপস্থিত থাকে, তাহা হইলে আদালত, আরজি ও লিখিত বর্ণনা পর্যালোচনা করিয়া মামলার বিচার্য বিষয়, যদি থাকে, গঠন করিবে; এবং, যদি বিচার্য বিষয় না থাকে, আদালত অবিলম্বে রায় বা আদেশ প্রদান করিবে৷
মামলার যে কোন পর্যায়ে, লিখিত বর্ণনায় কিংবা অন্য কোনভাবে বিবাদী কর্তৃক বাদীর আর্জির বক্তব্য স্বীকৃত হইয়া থাকিলে, এবং উক্তরূপ স্বীকৃতির ভিত্তিতে যেরূপ রায় বা আদেশ পাইতে বাদী অধিকারী, সেরূপ রায় বা আদেশ প্রার্থনা করিয়া বাদী আদালতের নিকট দরখাস্ত করিলে, আদালত, বাদী ও বিবাদীর মধ্যে বিদ্যমান অপরাপর বিচার্য বিষয় নিষ্পত্তির জন্য অপেক্ষা না করিয়া, উপযুক্ত রায় বা আদেশ প্রদান করিবে৷
মামলার শুনানীর জন্য ধার্য প্রথম তারিখে অথবা মামলার যে কোন পর্যায়ে যদি আদালতের নিকট প্রতীয়মান হয় যে, পক্ষদ্বয়ের মধ্যে ঘটনা অথবা আইনগত বিষয়ে কোন বিবাদ নাই, তাহা হইলে, আদালত, অবিলম্বে রায় বা আদেশ প্রদান করিয়া মামলা চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তি করিবে৷
এমনকি আইনের ১৫ ধারায় বলা হয়েছে
আইনের অধীন দায়েরকৃত মামলায় রায় প্রদানের পূর্বে মৌখিক যুক্তিতর্ক শ্রবণ করা অর্থ ঋণ আদালতের বিচারকের জন্য আবশ্যক হইবে না৷
-আইনজীবী মোহাম্মদ তরিক উল্যাহ
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জুন, ২০২২ সকাল ৯:৩৭