র্যাব-৮ এর পটুয়াখালী ইউনিটের কমান্ডিং অফিসার লে. কমান্ডার নুরুজ্জামান জানান, শুক্রবার সকালে র্যাবের টহল হেলিকপ্টার সুন্দরবনের উপরদিয়ে টহল দেওয়ার সময়ে সুন্দরবনের অভ্যান্তরে বনদস্যুদের অবস্থান নিশ্চিত হয়। পরে দ্রুত এই ম্যাসেজটি র্যাব-৮ এর পটুয়াখালী ইউনিটকে জানালে তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযান শুরু করে। এ সময়ে বনদস্যুরা র্যাব সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে গুলিবর্ষণ শুরু করে। র্যাবও পাল্টা গুলি ছোড়ে। দেড় ঘন্টা বন্দুক যুদ্ধের পর বনদস্যুরা পিছু হটে গেলে। র্যাব সুন্দরবনের দুধমুখী ফরেষ্ট অফিসের নিকট বর্তী মরাভোলা এলাকা কর্ডন করে তলাশি শুরু করে। এসময়ে সুন্দরবনের ৫ বনদস্যুর গুলিবিদ্ধ লাশ, ১১ টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ২৪০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে। উদ্ধারকৃত আগ্নেয়াস্ত্র গুলোর মধ্যে রয়েছে ৫ টি বন্দুক, ২ টি শর্ট গান, ১ টি রিভারবল, ১ টি থ্রি নট থ্রি রাইফেল, ২ টি এয়ারগান। সুন্দরবনের বনজীবী জেলে ও বাওয়ালীরা উদ্ধারকৃত লাশ বনদস্যু সোহাগ বাহিনীর প্রধান সোহাগ, জিহাদ বাহিনীর প্রধান জিহাদ, জুলফিকার আলী গামা বাহিনীর সদস্য আলমগীর হোসেন ওরফে আলামীন, আসাদুজ্জামান ও কবির বলে সনাক্ত করে। পুর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বনকর্মকর্তা (ডিএফও) মিহির কুমার দো এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সোহগ বাহিনীর প্রধান নিহত সোহাগ ৩ বছর আগে বনদস্যু মানিক ডাক্তার বাহিনী থেকে বের হয়ে এসে নিজ নামে বাহিনী গড়ে তুলে সুন্দরবনে জেলে ও বনজীবীদের মুক্তিপনের দাবীতে অপহরণ করে চাঁদাবাজী শুরু করে। একইভাবে জিহাদ বাহিনীর প্রধান জিহাদ ২ বছর আগে রেজাউল তালুকদার বাহিনীর প্রধান রেজাউল ক্রসফায়ারে নিহত হওয়ার পর নিজেই বাহিনী গড়ে তোলে সুন্দরবনে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। সম্প্রতি জিহাদ জুলফিকার আলী গামা বাহিনীর সাথে যোগ দেয় বলে র্যাব জানায়। পুলিশ সূত্রে জানাগেছে, সোহাগ ও জিহাদ বাহিনীর প্রধানসহ নিহত ৫ বনদস্যুর নামে বাগেরহাটের মংলা, রামপাল, শরনখোলা, পিরোজপুর ও বরগুনা জেলার বিভিন্ন থানায় হত্যা, মুক্তিপনের দাবীতে অপহরণসহ প্রায় দুই ডজন মামলা রয়েছে। এই ৫ বনদস্যুর নিহতের খবরে সুন্দরবনসহ উপকূলীয় এলাকায় জেলে ও বনজীবীদের মাঝে সত্তি ফিরে এসেছে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




