গভীর রাতে অলৌকিক ভাবে আলোকিত হয় একটি পুকুর পার। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে অসংখ্য নারী পুরুষ জড়ো হয় সেখানে। অনেক উৎসুক আগন্তুক তুলে নেয় খড় কুটা ও মাটি। কেউবা কাচের পাত্রে মাটি সংরক্ষন করে রাখে। এ অপরুপ দৃশ্য দেখা যায় বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলা হোচনাবাদ ইউনিয়নের সোনার বাংলা নামক স্থানে গফুর পঞ্চায়েত বাড়ী।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ওই বাড়ীর পুকুরের উত্তর পাড়ে গাছ পালার ভেতর অন্ধকার রাতে জোনাকী পোকার মত মিট মিট করে আলো জ্বলে। রাত যত বেশী হয় আলো ততো বাড়ে। প্রতিদিন অসংখ্য লোক ওই বাড়ীতে জড়ো হয় অলৌকিক আলো দেখতে। এ আলো শুধু এক স্থানে নয়, প্রায় পাঁচ শতাংশ জমিতে খন্ড খন্ড ভাবে আলো জ্বলতে থাকে।
মাটির ওপারে গাছ পালার পরিত্যাক্ত ডাল পালায় এ আলোর বিকরন ছড়ায়। ডাল পালা সরিয়ে ফেললে মাটিতে আলো দেখা যায় না। পঞ্চায়েত বাড়ীর মাসুদ, রুবেল, সাইফুল বলেন, গত ৮ আগষ্ট ১২ রাতে পুকুর পারে আমরা ঘুরতে যাই। হঠাৎ দেখা যায় পুকুর পাড়ে আলো জ্বলে। পরে আমরা টর্চ লাইট নিয়ে কাছে গেলে আলো দেখতে পাই না।
টর্চের আলো নিভালে আবার আলো দেখতে পাই। বিষয়টি দ্রুত জানাজানি হলে অনেক লোক দেখার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়ে ওই স্থানে। এলাকার মিজান বলেন, আলোকিত স্থানের কিছু শুকনো পাতা ঘরে এনে রাখি। দু’দিন পর ওই পাতা রাতে বের করলে সেখান থেকেও আলো ছড়ায়। বরগুনা থেকে আগন্তুক বাদল চন্দ্র দাস বলেন, মাটির নীচে ইউরেনিয়াম থাকতে পারে। তবে এলাকার অনেক শিক্ষিত লোক বলেন, মাটির নীচে মুল্যবান খনিজ পদার্থ থেকে আলো ছড়ানো বিচিত্র কিছু নয়। এলাকার ইউপি সদস্য কামাল আকন বলেন, আমরা গ্রামের মানুষ, কি ভাবে আলো ছড়ায় কিছুই বলতে পারি না। অনেক মানুষ এসে আমার কাছে জিজ্ঞাসা করলে আমি উত্তর দিতে পারি না।
ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ মাকসুদুর রহমান ফোরকান বলেন, সম্ভাবত মিথাইল গ্যাস থেকে গ্যাস বের হয়। যার কারনে এ ভাবে রাতের অন্ধকারে আলোর বিকরন দেখা যায়। বেতাগী থানার ওসি মোঃ নুরুল হক বলেন, আলো ছড়ানোর কথা শুনেছি। কিন্তু এর কি রহস্য তা বলতে পারছি না।
বেতাগী উপজেলা নিবার্হী অফিসার মোঃ মনির হোসেন বলেন, আমি শুনেছি হোসনাবাদ ইউনিয়নের একটি বাড়ীর পুকুর পার থেকে রাতে আলো ছড়ায়। এর বেশী তিনি কিছু জানেন না। এলাকাবাসীর দাবী কোন খনিজ পদার্থ বিশেষজ্ঞ দল দ্বারা পরীক্ষা করে বিষয়টি উদঘাটন করা উচিৎ।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




