somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ছোটগল্প - যুধিষ্ঠরের পুরষ্কার

২৭ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:০৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আড়িপাতা জিনিষটা মাওলা সাহেবের স্বভাবে নেই। সুদীর্ঘ চাকুরী জীবনে তিনি আড়ি পেতে কারও কথা শুনেছেন এমন কথা কেউ মনে করতে পারবে না। তবে হ্যাঁ। অনিচ্ছাকৃতভাবে টুকটাক দু-চারটা কথা যে তিনি শোনেনি তা নয়। ওটাকে ঠিক আড়িপাতা বলা যায় না। চাকুরির শেষদিনে সাদা পাঞ্জাবী আর মুখ ভর্তি সফেদ দাঁড়ির এ মানুষটি অনিচ্ছাকৃতভাবে খানিকটা আড়ি পেতে ফেললেন। এতে অদৃষ্টের হাত আছে বলে অনুমান করা যায়। মাওলা সাহেব আল্লাওয়ালা মানুষ। কর্মযজ্ঞের শেষ দিনটিতে তাঁরই অদৃশ্য ইশারার কারনে মাওলা সাহেবকে সত্য কথাটা জানতে হল। কর্মজীবনের পুরষ্কারটা গ্রহন করতে হল। পুরষ্কারটা তেমন কোন আহমারী জিনিষ নয় । কেবল দুটো শব্দ।

সামনাসামনি যে কথা বলে সবাই, এ যুগে তা বিশ্বাস করবে কেবল অতি বিশ্বাসীরাই। গোলাম মাওলা এ মূহুর্তে তার সদ্য সাবেক বসের রুমের দরজার পর্দা সরিয়ে ঢুকতে গিয়েও ঢুকলেন না। ভেতরে তাকে নিয়েই আলাপ হচ্ছিল। নিজের নামটা শুনে তিনি একটুখানি থমকে গেলেন। ওই থমকে যাওয়া মূহুর্তেই তিনি শুনতে পেলেন তার পুরো কর্মজীবনটাকে দুটো মাত্র শব্দে বেঁধে ফেলেছে ওরা। মাওলা সাহেবের মুখটা হাসিতে ভরে উঠল। তার চোখের কোনায় পানির আভাস দেখতে পাওয়া যায়। যা ভেবেছিলেন তাই। তার চাকুরিজীবন আজ সার্থক। চোখের কোনার অশ্রুর ফোঁটাটা বড় হয়ে যাওয়ায় তিনি আপাতত তার রুমের দিকে হাঁটা দিলেন। একটু পর না হয় আবার আসা যাবে।

মাওলা সাহেব নিজের চেয়ারে হেলান দিয়ে বসলেন। আজই শেষ। এ চেয়ারে তার আর কখনও বসা হবে না। ঘড়-ঘড় শব্দ করা করে মাথার উপরে ঘুরতে থাকা ব্রিটিশ আমলে ভারী পাখার হাওয়াটাও কাল থেকে এ শরীরে ধাক্কা মারবে না। মুখের দাঁড়িকে নাড়িয়ে যাবে না। শেষ দিন হওয়াতে তার টেবিলে এক টুকরো কাগজও আজ নাই। আছে কেবল একটা ক্রেস্ট আর একটা প্যাকেট। প্যাকেটটা না খুলেই তিনি জানেন ওতে আছে একটা শার্ট আর প্যান্ট এর কাপড়। আলাদা খামের ভেতর হাজার টাকা। শার্ট-প্যান্ট সেলাই করাবার মজুরী। ফেয়ারওয়েলের এমন আয়োজন তিনিই চালু করেছিলেন এ অফিসে। আগে কেবল মুখ বন্ধ খাম দেয়া হত। ঠিকাদারদের চাঁদা, অফিসের চাঁদা মিলে খামের ভেতরের টাকার অংকটা নেহাত কম হত না। সে তুলনায় শার্ট-প্যান্ট আর ক্রেস্ট ব্যাপারটা একেবারেই সাধাসিধে। এ ব্যাপারটা চালু করায় অনেকেরই ক্ষোভ আছে। তা থাকতেই পারে। যে বিশাল চাঁদাবাজিটা ফেয়ারওয়েলের নামে এখানে চলতে থাকত তা বন্ধ করেই মাওলা সাহেব সন্তুষ্ট।

মাওলা সাহেবের ক্রেস্টাতে একটা খুঁত আছে। এতে মাওলা সাহেবের কোন আপসোষ নাই। ক্রেস্টটা রতনের দোকান থেকে কিছুদিন আগে তার কথামতই সারিয়ে আনা হয়েছে। গেল বার অফিসের পিকনিকে অনেকগুলো ক্রেস্ট বেঁচে যায়। মাওলা সাহেব বুদ্ধি করে ওতে সামান্য ঘষে-মেজে ওগুলোকে ফেয়ারওয়েলের ক্রেস্ট বানিয়ে নেন। জিনিষ থাকতে আবার নতুন করে বাজে খরচ কেন? এ ব্যবস্থায় কিংবা এমন কিপটেমিতে সবাই এক শব্দে বিরক্ত। আরে বাবা টাকা তো আর আমাদের পকেটের যাচ্ছে না। ঠিকাদারের টাকা। ও খরচ করতে এমন অনাগ্রহ কেন? একটা লোক বিদেয় নেবে অথচ তাকে দেয়া হবে ঘষা-মাজা ক্রেস্ট ? ব্যাপারটা বড্ড অশোভন। কিন্তু মাওলা সাহেবের যুক্তি, এগুলো আমাদের নিজেদের অনুষ্ঠান। এ খাতে কোন বাজেট নাই। তাই যা আছে তাতেই তো চলতে হবে। অযথা চাঁদাবাজী করে অন্যের উপর জুলুম কেন? সেধে পাপের ভাগীদার হওয়ার কি অর্থ?

আড়ালে আবডালে অফিসের সবার কাছে তিনি ধর্মপুত্র যুধিষ্ঠর । ধর্মপুত্র যুধিষ্ঠর শব্দযুগল উচ্চারনের সময় সবার মুখটা একটু বেঁকে যায়। উচ্চারনের ভঙ্গিতে মেশানো থাকে খানিকটা অশ্লীলতা। মাওলা সাহেব এগুলো জানেন । এ কথাগুলো তো কেবল এখন শুনছেন না তিনি। চাকুরির প্রথম থেকে শুনে আসছেন। বদলী হয়েছেন। নাজেহাল হয়েছেন। কথা যে কেবল অফিসে শুনতেন তা নয়। বাসাতেও অহরহ শুনতেন। বউয়ের চেঁচামেচি এক সময় যেমন স্বামীর কানে সয়ে যায়, তেমনি মাওলা সাহেবের এমন আচরনও এক সময় সবার কাছে সয়ে আসে। এরপর কেউ তাকে ঘাটাত না।

তিনি এখন পানি খাবেন। তার খুব পানির তেষ্টা লেগেছে। কলিংবেল বাজিয়ে তিনি অপেক্ষা করছেন । পিয়নটা আসবে তো? তিনি এখন আর কর্তৃত্ববান কর্তা নন। অবসরপ্রাপ্ত কর্তা। যে মূহুর্তে তিনি তার ক্ষমতা ছেড়েছেন, চেয়ার ছেড়েছেন সে মূহুর্তের পর থেকে এ অফিসে তার ক্ষমতার দৌড় পিয়নটার থেকেও কম। তার উপর নিয়মের বাইরে গিয়ে তার কাছ থেকে ও তেমন সুযোগ সুবিধাও তো কখনও পায়নি যে কৃতজ্ঞতায় আজ সে খানিকটা দৌড়াদৌড়ি করবে।

মিনিট পাঁচেক অপেক্ষা করে মাওলা সাহেব উঠে পড়লেন। পিয়নটা আসে নাই। হয়ত কোন কাজে ব্যস্ত কিংবা বেলের আওয়াজ টের পেয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। কাপড়ের প্যাকেট আর ক্রেস্ট অফিস ব্যাগের ভিতর নিয়ে নিলেন। চেয়ারের তোয়ালেটা ভাঁজ করলেন। দু-চারটা দরকারী কাগজ, নামের সিল আর ব্যক্তিগত ফাইলটা গুছিয়ে বের হয়ে আসলেন। দরজাটা পেরুবার সময় শেষবারের মত তাকালেন নিজের চেয়ারের দিকে। রুমটার দিকে। মাথাটা কেমন জানি ফাঁকা ফাঁকা মনে হয় তার। আজ থেকে তার অখন্ড অবসর। এ অবসরে কি কি করবেন তার একটা রুটিন ক’দিন ধরে মনের ভেতর সাজিয়েছেন তিনি। সকালে ঘুম থেকে উঠে নামায। তারপর খবরের কাগজ। টিভি। যোহর শেষে খাবার। অতঃপর হালকা দিবানিদ্রা। আসর নামায সেরে পার্ক এ ঘোরাঘুরি। মাঝে মাঝে গিন্নীকে সাথে নেবেন। সপ্তাহে দু’দিন বাজার। মাগরিব শেষে খবর দেখা। ঘরের কাজ, নাটক। এশা, রাতের খাবার আর ঘুম। রুটিনটা মনে মনে আওড়াতেই যেন হাফ ধরে গেল তার। এই রুটিনে তিনি বাঁচবেন কিভাবে?

এসব সাত-পাঁচ ভাবতে ভাবতেই গোলাম মাওলা বসের রুমের দিকে হাঁটছেন। হল রুমটা পার হবার সময় নজরটা তার হলের ঢুকে যায়। একটু আগে এখানেই তাকে বিদেয় দিয়েছে তার অফিস। তার স্বাক্ষী হিসেবে দু’চারটা খাবারের প্যাকেট, খালি পানির বোতল টেবিলের উপর ছড়ানো। পেছনের নীল কাপড়ের ব্যানারে লেখা বিদায় সংবর্ধনা এখনও ঝুলছে। আর কোন লেখা নাই ওতে। এটাও মাওলা সাহেবেরই অবদান। তিনি এ অফিসে আসার আগে প্রতিবারই ব্যানার বানানো হত। সে ব্যানার পরে টেবিল চেয়ার মোছার কাজে দিত। মাওলা সাহেব কায়দা করে এ ব্যানারটা বানিয়ে নেন। এতে তারিখ কিংবা নামের ঝামেলা নাই। বস থেকে চাপরাশি সবার জন্যই এ ব্যানার ঝুলানো যায়।

হলঘরের ডিজিটাল ঘড়ির লাল আলোটা জ্বলজ্বল করে বলছে এখন প্রায় ছ’টা। মাওলা সাহেবের অনুষ্ঠানটা শুরু হয়েছিল পাঁচটা দশ-পনের করে। আগে এ অনুষ্ঠানগুলো শুরু হত দুপুর বারোটা নাগাদ । ঘন্টা দুয়েকের বক্তৃতার পর খাওয়া-দাওয়া। পরের আধাবেলাটা থাকত অঘোষিত ছুটি। গোলাম মাওলা এসে এ ব্যাপারটাকে পাল্টেছেন। বিদায় অনুষ্ঠান অনানুষ্ঠনিক। ওটা হবে অফিস টাইমের পর। অফিসের সবার সহযোগিতায় যতটুকু হবে, ততটুকুই অ্যাপায়ন। বিদায় বেলার মত বিষাদের দিনে খাসী জবাই করে বিরায়ানী খাওয়ার উৎসব কেন? অন্যদের জন্য যে মেন্যু মাওলা সাহেব বাছাই করতেন, তার নিজের জন্যও আজ সে একই মেন্যু। এক পিস করে সমুচা, মিষ্টি, কলা আর এক কাপ চা।

এক ঘন্টার আগেই অনুষ্ঠান শেষ করার কৃতিত্বটাও তারই প্রাপ্য। এ অফিসে আসার পর তিনি দেখলেন এ অনুষ্ঠানে সবাই লাইন ধরে বক্তব্য দেয়। কাউকে বলতে না দিলে সে গাল ফুলায়। প্রায়শই বক্তব্যের লাইন বেলাইনে চলে যায়। বিদায় সংবর্ধনার অনুষ্ঠান হয়ে উঠত দাবী জানানোর অনুষ্ঠান। কেন উনি বা উনার মত সবাই জীবনে একটা প্রোমশন বেশী পেল না। কেন তাদের বেতন বাড়ে না? কেন তারা তাদের প্রাপ্য মর্যাদা পান না - এ সব কথাই ঘুরে ফিরে আসত বিদায় বেলায়। শুনে মন ভারী হয়ে আসে। নিঃশ্বাস ঘন হয়। জোরে ছেড়ে দেয়া বাতাসের আওয়াজ হলরুমের দেয়ালে ধাক্কা খায়। কিন্তু কোন সমাধান আসে না। আসার কথাও না। কারন সমাধান এদের হাতে নাই। এদের যে বড় কর্তারা এখানে বসেন তাদের হাতেও না। তাই তারা কেবল শুনে। তাদের অক্ষমতার কথা বলে। বলে, আমরাও একমত। কিন্তু আমরা অক্ষম।

মাওলা সাহেব এমন অনর্থক বক্তব্যের ঘোর বিরোধী। ওদের দাবীর সাথে তিনি একমত। কিন্তু যেখানে যে গান চলে না সেখানে সে গান গেয়ে লাভ কি? তাই তিনি ভাগ করে দিলেন। অফিসার থেকে একজন। অফিস সহকারী আর চাপরাশি থেকে একজন করে দু’জন। এর সাথে যিনি বিদেয় নিবেন তিনি ও বড় কর্তা। এ ভাগাভাগিতে অনেকেই ক্ষুদ্ধ হয়েছে। কিন্তু কর্তার ইচ্ছায় কর্ম বলে প্রকাশ করতে পারে নাই।

হলরুমটা পেরুতে গিয়ে একটা হালকা নিঃশ্বাস তার ভেতর থেকে বেরিয়ে আসে। কর্তার ইচ্ছায় কর্ম তাকেও কি কম করতে হয়েছে? সারাজীবন সৎ থাকার চেষ্টা করেছেন। কর্তাদের জন্য সব সময় ওটা হয়ে উঠে নাই। নিজে খান নাই কিন্তু কর্তা চেয়েছেন, দিয়েছেন। এটাই ঝামেলাহীন চাকুরির নীতি। যা চায় দিয়ে দাও। সব ঠান্ডা। নয়ত শতেক ভোগান্তি। এক সময় ভাল মানুষদের ছায়া আসত বসদের ছায়ায়। এখনও যে নাই তা নয়। কিন্তু সে বড় সামান্য। পারিবারিক স্থিরতায় আশায় কর্তাদের কথা বিনাবাক্যে মেনে গেছেন। সংসার নিয়ে এখানে ওখানে দৌড়াদৌড়ি তো বেশীদিন করা যায় না।

এবার দরজার পর্দা ঠেলে ঢোকার সময় তেমন কোন শব্দ কানে ঢুকে না তার। বস আছেন। আছে আফজাল, রতন আর শামসুল। শামসুল তার জায়গায় এসেছে। আফজাল আর রতন জুনিয়র। চাকুরির বয়স মাত্র চার বছর। এর মধ্যেই চাকুরির বড় নিয়মটা ভালই রপ্ত করেছে। তেল প্রদান।
মাওলা সাহেবকে দেখে আফজাল চেয়ার ছেড়ে পেছনে এসে বসে। একটু স্বস্তি পান তিনি। নাহ। ছেলেগুলো একেবারে বেয়াদব না। এমনিতে তার কথা শুনতে চায় না। তিনি প্রতিদিন ন’টার সময় ন’টাতেই হাজির। ওরা আসতে আসতে সেই দশটা। এ নিয়ে দু-চারদিন কিছু বলেছিলেন। বলাটা হয়ত সীমানা ছাড়িয়ে গিয়েছিল। এরপর ওরা তাকে এক রকম এড়িয়েই চলত। মাঝে মাঝে স্টাফদের নিয়ে ওরা তার বিরুদ্ধে মিটিং বসাত এমন কথাও কানে এসেছে। তবে হাতে নাতে প্রমাণ পান নাই কখনও।

মাওলা সাহেবের সম্মানে বস ঘন ঘন কলিং বেল বাজান। পিয়ন দৌড়ে আসে। চা । সবাইকে চা আর গোলাম মাওলার জন্য পান। মাওলা সাহেব ফাঁক দিয়ে এক গ্লাস পানি চেয়ে নেন। চা আসে। সবাই চা খায়। টুকটাক আলাপ করে। চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে বস মাওলার দিকে তাকায়। আপনমনে সবার মনেই ভাবনা চলে। মাওলা সাহেবের এ বসটি মানুষ হিসেবে মন্দ না। তার দোষ-গুন দুটোই আছে। গোলাম মাওলার চোখে তার বড় দোষ একটাই। কোন কিছুতেই ইনি না করতে পারেন না।

মাওলা সাহেবের আজকের এ বিদায়ে অফিসের কাজকর্ম নিয়ে বস খানিকটা চিন্তিত। তবে একদিক থেকে তিনি বেশ খুশী। গোলাম মাওলার নিয়মের বাইরে যায় না। পয়সা বানায় না। এ দুটোর কারনে ওকে নিয়ে তার অনেক ভুগতে হয়েছে। অনেক প্রাপ্য উপরী থেকে তিনি বঞ্চিত হয়েছেন। কেবল একদিক থেকে শান্তিতে ছিলেন। মাওলা দুই নম্বরী কাজে ছিল না, নিজের কাজটা ঠিকঠাক মত করত। ওর হাতে যে কোন কিছু ছেড়ে দিয়ে নিশ্চিন্তে থাকা যেত। মাওলার চেয়ারটা পয়সার জায়গা। ঠিক মত চালাতে জানলে মাসে লাখ বিশেক কোন টাকাই না। অথচ গোলাম মাওলা ওমন চেয়ারে বসেও বাড়ি-গাড়ি বানাতে জানল না। ওর জায়গায় এসেছে শামসুদ্দিন। শোনা গেছে পোস্টিং নিতেই নাকি লাখ চল্লিশ খরচ করেছে যে।

মাওলা আর শামসুদ্দিন আবার বন্ধু মানুষ। এক সাথেই পড়ালেখা, এক সাথেই চাকুরি। পাশাপাশি রুমেই থাকত ওরা। দু-বন্ধু আলাপ করছে। ছেলে-মেয়েরা কেমন আছে, বাসায় আসিস এমন টাইপের আলাপ। বস শুনছেন। মাঝে মাঝে দু’চারটা মন্তব্য করছেন আর পাশাপাশি বসা মাওলা আর শামসুদ্দিনকে তুলনা করছেন।

বসের পাশাপাশি আফজাল, রতনরাও গোলাম মাওলা আর শামসুদ্দিন স্যারকে নীরবে তুলনা করছে। যতই সময় গড়াচ্ছে ততই তারা গোলাম মাওলাকে নিয়ে বসের একটু আগে করা দু শব্দের মন্তব্যটার যেন সত্যতা খুঁজে পায়।

অপদার্থ অফিসার। গোলাম মাওলারা আসলেই অপদার্থ অফিসার।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:২৮
৯টি মন্তব্য ৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্মৃতিপুড়া ঘরে

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩০



বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।

দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×