পিতার কাঁধে জীবন্ত লাশ হয়ে ইয়াবা আসক্ত ছেলেটা এতদিন লোক চক্ষুর অন্তরালে ছিল। একটি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে এসে বন্ধুদের পাল্লায় পরে এখন মাদকাশক্তি নিরাময় কেন্দ্রে ।
ঈদের আনন্দ কি বুঝতে পারেনি তার পরিবার। লজ্জায় পিতা তার আসক্তির কথা কাউকে বলতে পারেননি ।
কিন্তু সে কোথায় ?
মোবাইলেও যোগাযোগ করা যাচ্ছে না কেনো?
অবশেষে পরিবারের সদস্যদের চাপে তিন/চার দিন আগে তাকে মফস্বল শহরের বাসার নিয়ে আসেন তিনি।
একটু একটু করে প্রকাশ হলো তার ইয়াবা আসক্তির কথা এবং প্রিয় মানুষেরাও তাকে বর্জন করতে শুরু করেছে।
কানাঘুষা আর ঘৃনিত আলোচনার বিষয়বস্তু তার এই অপকর্ম ।
পিতার কাঁধের এই জীবন্ত লাশ আরো ভারী হতে শুরু করেছে।
লোকচক্ষুর অন্তরালে আবারও তার যাওয়ার সময় ঘনিয়ে আসছে দ্রুত ।
বাবার দীর্ঘশ্বাস কিংবা মায়ের আঁচলে কান্নাভেজা চোখ তার নজরে কি পরছে ?
তার ছোট বোনটা কিছুক্ষন আগে আমাকে অনুরোধ করলো ভাইয়াকে বাসায় রেখে ভালো করা যায় না ?
কি জানি ।
হয়তো যায়।
চারপাশের এত ঘৃনা, এত সমালোচনা। তাকে কি সুস্থ্য পথের সন্ধান দিবে ? জানি না।