সাকিবের অসাধারন অলরাউরান্ডিং পারফরমেন্সের জন্য বাংলাদেশ ওয়েস্টইন্ডিজ কে হারাইল, লগে রাকিবুলও ভাল খেলিলো। এক পর্যায়ে ৬৭/৪ অবস্থায় আমিতো চোক্ষে আন্ধার দেইখা টিভি বন্ধ কইরা ব্লগে ব্যাপক হারে মন্তব্যে মনোনিবেশ করিতে হইল। কিছুক্ষন পর ব্যাপক ভয় নিয়া ক্রিক ইনফোতে ঢুকিতেই মনে আমার ব্যাপক আনন্দের সহিত আশার সন্চ্ঞার হইল ( সম্ভবত ১৪৭/৪)। তারপর ওয়ানডে স্টাইলে আপডেট পাইতে থাকিলাম আর ব্যাপক আনন্দের সহিত সুবিশাল মন্তব্য করিতে লাগিলাম। যাই হোক শেষ পর্যন্ত সাকিবের স্লগিং স্টাইলের ব্যাটিং-এ জয় করায়াত্ত হইল। পাঠকগন হ্য়ত সাকিবে মজিয়া আছেন, কিন্তু আমার দোয়ারও যে সূক্ষ্ম কেরামতি ছিলো তা হয়ত অনেকেরই বোধগম্য হয় নাই (৪ রানের লাইগা ব্যাপক আফসুস খাওয়ার পর মনে হইল এইডার লাইগা দোয়া করিতে ভুলিয়া গিয়াছিলাম)।
যাই হোক এইগুলান আমার বিষয় না, বিষয় হইল সাকিব (ও যারা সফল) পারলে অন্যরা বার বার ব্যর্থ হইতেছে কেন। সাকিব যে পারে সেটা তার বডি ফিটনেস (আমার কাছে মোটেও সুবিধার মনে হয় না) বা জন্মগত বৈশিষ্ট্য বা অস্বাভাবিক মেধার (দ্বিমত পোষন করিলে আমি কিছু মনে করিব না) কারনে না বলেই মনে হয়। আমার কাছে যেটা মনে হইয়াছে এই খেলাটা নিয়া সে সার্বক্ষনিক চিন্তায় মগ্ন থাকে, অন্যান্য বিষয় যেমন মিডিয়াতে তাহার কয়টা ইন্টারভিউ বা খবর প্রকাশ হইলো, কতজন ললনা তাহার নিকট অটোগ্রাফ চাইলো (আশরাফুইল্লা.....), এইসবে মন না দেয়ার কারনেই এইসব সম্ভব হইয়াছে। সেলিব্রেটিজম তাহার মধ্যে নাই বলিয়াই মনে হয় (হয়ত আমার দোয়ার কারনেই )।
পরিশেষে অন্য খলোয়াড়দের বলিব (বিশেষত আশরাফুইল্লা, তুই যদি ঐ ক্যাচ খানা না ধরিতি তাহা হইলে তোরেও ঘ্যাচ কইরা......) সাকিবকে যতটুকু সম্ভব ফলো করিতে (আর অবশ্যই আমার নিকট দোয়া চাহিতে), তা হইলে একদিন হয়ত অস্ট্রেলিয়াকেও একইভাবে.........................