somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

এলোমেলো আকাশ, জল আর অর্নব.....

০৭ ই নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:৫১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমায় ধুয়ে মুছে বাঁধিও রঙিন কাঁচে
তবু কেন ঘুনপোকা খুঁজে নিয়ে আশা
নিজের থেকে বেশী অকারনে রাশি রাশি
তোকে ঘিরে কেন বাঁধি মোর ভালোবাসা।


নিঃস্তব্ধ নিঃস্তব্ধতার আলো ছায়া চাই
আর শালবনের জ্বল জ্বল অরন্যে।
(যদিও ইহা ঝাউবন:|)


এক মুঠো রোদ আকাশ ভরা তারা
ভিজে মাটিতে জলের নকশা করা
মনকে শুধু পাগল করে ফেলে।


বৃষ্টি ছিলো রোদের ছুটি তাই গিয়েছে ভুলে
রোদ ছাড়া আর সেই বাতাসের আছে কে তিন কূলে?


কেন চলে গেলে দূরে
ভাসায়ে মনের সুরে
কেন ফিরে এলে আবার
বাড়াতে দুঃখের ভার।


তুই নেই বলে একলা শালিক ডাকে
তুই নেই বলে মধু নেই মৌচাকে
তুই আসবি...আসবিটা কবে বল।


তুমি তাদের কোন নাম দিলেনা
মনের ভুলে কেউ দিলোনা
তোমার দেয়া আমার কোন
নাম ছিলো না… নাম ছিলো না।


মুহুর্তগুলো কেন এত বড়
সময় কেন এত ফাঁকা
আকাশের সব দুঃখ কেন
দুচোখের জল দিয়ে ঢাকা।


হাত থেকে বিড়ি পড়ে যায়
পৃথিবীকে ঘেরা নীল কাঁচটার দিকে তাকিয়ে
ঠোঁট থেকে চুমু ঝরে যায়।


কথার বেড়া গেছে, দিয়ে গেছে
কবে কার কোন কবি
বলবার কিছু নেই আর
নীরব নিথর এ ছবি।


তোমার-আমার মাঝে
কোন গল্প নাই
গল্পগুলো থেকে গেলো
কল্পনাই!


ঘর পালানো বাতাস এসে
এলোমেলো জড়িয়ে দেহ ঘুম ভাঙ্গালো
না দেখা সেই পথের শেষে
ছড়িয়ে দিলে দিনের আলো।


তুই রয়েছিস বলে
ঘাস ফুল জল দোলে
তুই রয়েছিস বলে তারাদের রোশনাই
তুই রয়েছিস বলে জানি স্বপ্নের হাতছানি।


হারিয়ে যাওয়ার নিয়ম নেই এইখানে
হারাবো বলে, পা টিপে এগোতে গেলেই
গোটা শহর বাতি জ্বালিয়ে সতর্ক
হারাবার জায়গা খুঁজে মরি।


কাঁকড়া কাঁকড়াই! কোন গান নেই :) :)


তোর জন্য আকাশ থেকে পেজা-
এক টুকরো মেঘ এনেছি ভেজা।
বৃষ্টি করে এক্ষুণি দে তুই,
বৃষ্টি দিয়ে ছাদ বানিয়ে শুই।
(আকাশের উপর থেকে কক্সের মেঘ)


ঘুরে ঘুরে উড়ে উড়ে দূরে দূরে স্বপ্ন ভেঙ্গে চুরে
আমি কি এই বাড়িতে নাকি বাড়িটা ভবঘুরে।
দরজা খুলে ঢুকে পড়ে চাঁদ জানালা দিয়ে মেঘ
বিছানা বালিশ ভিজে গেলে যাক
বর্ষারাতের কথাটুকু থাক।
তোর জন্য হন্যে হন্যে ডাক দেয় কত কাক।


-----------------------------------------
ঈদে বাড়ি আসার ৩ দিন আগে কক্সবাজারে একটা ঝটিকা সফরের সেই চির চেনা দৃশ্যের ছবিগুলো আবার। ভ্রমনে দৌড়াদৌড়ির বিশেষ সুনাম থাকলেও এবারে টার্গেট করেই গিয়েছিলাম যে সারাদিন বিচে বসে থাকা ছাড়া কিছুই করবো না। জীবনে প্রথমবার বিচের ছাতাআলাদেরকে ১০০টাকার উপর বিল দিয়ে চিন্তা করলাম, "খাইছে, কেমনে সম্ভব হইলো?" তবে সী গাল বিচে তাকা সত্ত্বেও কৌতুহলী জনতার কাছ থেকে রেহাই পাওয়া গেলো না। আমার শেষ ছবি, অর্থাৎ এই বালুতে লেখা ত্রিনিত্রি যে কতজনের মোবাইলে শোভা পাচ্ছে জানি না, কারন অনেকেই এসে ছবি তুলেছে এই মচৎকার ডিজাইনের।:P:P:P অ্যাম্বিগ্রাম কি সেটা বোঝানোর ব্যর্থ চেষ্টা অবশ্য আমি করিনি।:P:P:D

যা হোক, অর্নব ছাড়া আমার রোমান্টিসিজম দুই পা এগিয়ে ঝিমায়, সেকারনে অর্ণবের গান ছাড়া যাত্রা অসম্পূর্ন। বহু বছর চেষ্টা করেও অর্ণবের একদম কাছাকাছি বসে কোন কনসার্ট দেখার সৌভাগ্য হচ্ছিলো না, মেডিকেলে পড়ার পাপ, অর্থাৎ যতবারই খবর আসতো, কোন না কোন পরীক্ষা। শেষ পর্যন্ত এই বছর বন্ধু বোকাছেলের বদৌলতে সেটা সম্ভব হয়েছে। তার উপর ত্রিনিত্রি আম্বিগ্রামটাও তার করা। শুকনা মুখে ধন্যবাদ দেয়া সে বিশেষ পছন্দ করে না বলে আর ধন্যবাদ দিলাম না।;);):P

প্রতিটি লাইন অর্নবের গানের বললে ভুল হবে, এর মাঝে চারটি লাইন গাব্রিয়েল সুমনের । তার এই চারটি লাইন আমার এতই পছন্দের যে শুনলে অর্নবের গান বলেই ভ্রম হয়। অনুমতি ছাড়াই দেয়ার পরো চোখ পাকিয়ে না তাকানোর জন্য তাকেও ধন্যবাদ। :P:)

সবশেষে পোস্টটা আমি আমাকে আর যাবতীয় অর্নব আর আকাশের পাংখাদের উৎসর্গ করলাম।
(এই মুহুর্তে অর্ণবের ফ্যানদের মাঝে শশী হিমু আর বোকাছেলের নাম মনে আসতেছে। আর আকাশের ফ্যানদের মাঝে ব্লগার টিনটিন।)

সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা :) :) :)
-----------------------------------------
৬৪টি মন্তব্য ৬৪টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিসিএস-পরীক্ষার হলে দেরিঃ পক্ষ বনাম বিপক্ষ

লিখেছেন BM Khalid Hasan, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



বর্তমানের হট টপিক হলো, “১ মিনিট দেরি করে বিসিএস পরীক্ষার হলে ঢুকতে না পেরে পরীক্ষার্থীর স্বপ্ন ভঙ্গ।” প্রচন্ড কান্নারত অবস্থায় তাদের ছবি ও ভিডিও দেখা যাচ্ছে। কারণ সারাজীবন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না।

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:২৮




আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না। আমাদের দেশে মানুষ জন্ম নেয়ার সাথেই একটি গাছ লাগানো উচিৎ । আর... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানবতার কাজে বিশ্বাসে বড় ধাক্কা মিল্টন সমাদ্দার

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:১৭


মানুষ মানুষের জন্যে, যুগে যুগে মানুষ মাজুর হয়েছে, মানুষই পাশে দাঁড়িয়েছে। অনেকে কাজের ব্যস্ততায় এবং নিজের সময়ের সীমাবদ্ধতায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারে না। তখন তারা সাহায্যের হাত বাড়ান আর্থিক ভাবে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিসিএস দিতে না পেরে রাস্তায় গড়াগড়ি যুবকের

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৫৫

আমাদের দেশে সরকারি চাকরি কে বেশ সম্মান দেওয়া হয়। আমি যদি কোটি টাকার মালিক হলেও সুন্দরী মেয়ের বাপ আমাকে জামাই হিসেবে মেনে নিবে না। কিন্তু সেই বাপ আবার ২০... ...বাকিটুকু পড়ুন

×