somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নাইন।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:৫৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

'নাইন'
ক্লাউড টুমবা প্লুটো (১৮ ই ফেব্রুয়ারি
১৯৩০) আবিস্কারের পরেও অনেক গবেষক
এবং জ্যোতির্বিদরা ধারনা এবং
মনে করতেন, আমাদের সৌরজগতে আরো
একটি বিশাল আকারের গ্রহ আছে।
কিন্তু এর উপরে কোন তথ্য প্রমান কেউ
দিতে পারেন নি।
২০১৪ সালে ক্যালটেকের
(ক্যালির্ফোনিয়া ইনিস্টিউট অফ
টেকনোলজির) জ্যোতির্বিদরা এ
সর্ম্পকে প্রথম ধারনা দেন।
তাদের মতে নেপচুন গ্রহের বাইরে যে
সব মহাজাগতিক বস্তু আছে এই গ্রহটির
অবস্থান সেইখানে (ট্রান্স
নেপচুরিয়ান অবজেক্ট -TNOs)।
২০ শে জানুয়ারি ২০১৬ তে এসে
ঘোষনা দেয়া হয় যে পূর্বের ধারনা
অনুযায়ী সেই গ্রহটি আরো দুরে
আমাদের আন্ত:সৌরজগতের বাইরে,
কুইপার বেল্টের পিছনে এর অবস্থান।
এখানে উল্লেখ্য যে সরাসরি
পর্যবেক্ষনে এই গ্রহটি এখন পর্যন্ত দেখা
যায়নি। কম্পিউটারে সৌরজগতের
দূরবর্তী বিভিন্ন বস্তুর চলাচল বিশ্লেষণ
করে এই দাবি করা হচ্ছে।
সূর্য থেকে গ্রহটির সর্বোচ্চ দূরত্ব Aphelion)
১২০০ এ ইউ (AU অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল
ইউনিট ১ এ ইউ = পৃথিবী থেকে সূর্যের
দূরত্ব)। সূর্য থেকে সর্বনিম্ন দূরত্ব
(Perihelion) ২০০ এ ইউ।
ব্যাসার্ধ ১৩,০০০ কি: মি: থেকে ২৬,০০০
কি: মি: (৮,১০০ থেকে ১৬,০০০ মাইল) ২-
৪ টি পৃথিবীর সমান।
এর ভর পৃথিবীর ১০ গুন।
কক্ষপথ প্রদক্ষিন সময় ১০,০০০ ২০,০০০ বছর
(পৃথিবীর বছর)। নেপচুনের চেয়েও ২০ গুন
দুরের কক্ষপথ দিয়ে চলাচল করছে এই
গ্রহটি। সৌরজগতের অন্যান্য গ্রহ প্রায়
বৃত্তাকার পথে সূর্যকে প্রদক্ষিন করলেও
সম্ভাব্য এই গ্রহটি প্রদক্ষিণ করছে অনেক
বেশী উপবৃত্তাকার পথে।
দৃশ্যমান উজ্জলতা > ২২।
এই গবেষনার প্রধান জ্যোতির্বিদ
কনস্টানটিন বেটিজেন এবং তার
সহকারী মাইকেল ই ব্রাউন বলেন, এই
গ্রহের অস্তিত্বের বিষয়ে তারা
আত্মবিশ্বাসী।
তিনি বলেন,গত বিশ বছরে সৌরজগতের
বাইরে গ্রহের অনুসন্ধানে আমরা বেশ
সফল হয়েছি।
কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, সবচেয়ে
সাধারণ যে গ্রহগুলো রয়েছে সেগুলো
আমাদের পাওয়া বস্তুর মতোই, যার ভর
প্রায় ১০টি পৃথিবীর সমান। এটি বেশ
উত্তেজক। তবে নতুন এই গ্রহটি সূর্য থেকে
এতটাই দুরে আর এতটাই ঠান্ডা যে
প্রানের কোন সম্ভাবনা নাই।
নতুন এই গ্রহটি কোথায় হতে পারে সে
সর্ম্পকে ক্যালটেকের গবেষকদের এখনো
পর্যন্ত অস্পস্ট একটি ধারনা রয়েছে।
তবে এটি অনেকটা নিশ্চিত, এখন ওই
গ্রহটিকে খুঁজে বের করার জন্য নতুন করে
চেস্টা শুরু হবে। আর আমাদের আরো
বেশকিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে।
তথ্য সুত্র: http://www.space.com http://www.nasa.gov
গ্রহ নাইনের (চার নাম্বার) ছবি
শিল্পীর কল্পনায়।
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮




তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাওরের রাস্তার সেই আলপনা ক্ষতিকর

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৫৯

বাংলা বর্ষবরণ উদযাপন উপলক্ষে দেশের ইতিহাসে দীর্ঘতম আলপনা আঁকা হয়েছে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম হাওরের ‘অলওয়েদার’ রাস্তায়। মিঠামইন জিরো পয়েন্ট থেকে অষ্টগ্রাম জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই আলপনার রং পানিতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×