মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,
তৃনমূল থেকে উঠে আসা আপনার রাজনৈতিক দলটির উপর বাংলাদেশের মানুষের কতটুকু আস্থা সেটা আপনি জানেন। আর আমরাও জানি জনগনের সাথে মিশে যেয়ে তার দুঃখকে নিজের মনে করে সমান পরিমাণ ব্যথিত হওয়ার যে অসাধারণ ক্ষমতা আপনার আছে নিঃসন্দেহে তা অপ্রতুল।কিন্তু সমস্যাটা হলো আপনার মন্ত্রীদেরকে নিয়ে,যাদেরকে নিয়ে আপনি স্বর্গের দেবতাদের আসনে বসিয়ে জনগনকে পূজা করাতে বাধ্য করাচ্ছেন।কিন্তু কেন???জাতির বিবেকের কাছে প্রশ্ন।কেননা অন্ততঃ আপনার কাছ থেকে এটা কেউই আশা করে না।
আজ স্বাধীনতার ৪২ বছর পর যখন আপনি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকার্যে হাত দিয়েছিলেন,তখন আপনি দেখেছেন আপনার দেশের সর্বস্তরের মানুষ কিভাবে আপনার পাশে থাকার চেষ্টা করেছে।গণজাগরণ মঞ্চের হাজারো তরুণ রাতের পর রাত স্লোগান দিয়েছে "রাজাকারের ফাসি চাই"।দুঃখের বিষয় এটাই যে,এটাকেও আপনি পলিটিক্যাল ইস্যু বানিয়ে ছেড়েছেন।শুধু পলিটিক্যাল ইস্যু বললে ভুল হবে,উপর্যুপরি পলিটিক্স করেছেন।আপনার কি একবারের জন্যও মনে হলো না যে এর থেকে আপনি কতটুকু জনপ্রিয়তা হারাতে পারেন......এবং শেষ পর্যন্ত হারিয়েছেনও।যেটা গণজাগরণ মঞ্চের পরবর্তী অবস্থা দেখেই বোঝা যায়।তবে এই হাজারো তরুণের পক্ষ থেকে আপনাকে ধন্যবাদ দিতেই হয়।কেননা পলিটিক্যাল ইস্যু হোক আর যায় হোক না কেন, স্বাধীনতার ৪২ বছর পর হলেও আপনি এই অসাধ্য সাধন করেছেন।ফাসি নিশ্চিত করছেন ওই রাজাকার,যুদ্ধপরাধী,মানবতাবিরোধী,নরপিশাচ ধর্ষকদের । আন্তরিকভাবে শুভেচ্ছা আপনাকে।
কিন্তু আমাদের ভয়টা অন্যখানে,আপনাদের নিজ নিজ সংগঠণের কর্মীদের বাচানোর তৎপরতা দেখে।আজ যদি আমার বোন ধর্ষিত হয় অথবা আমার মা-বাবাকে খুন করা হয়,তাহলে এর বিচারও না জানি ৪২ বছর পর হয়???যদি তাই হয়,তাহলে আমাকেও কি ৪২ বছর পর এসে "প্রজন্ম চত্বর" এ স্লোগান দিতে হবে??পাছে যদি বিচার না পাই !!!!!!

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



