পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং বেশ কিছু প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থীরা আজকাল টিউশনী নামক বিরক্তিকর কিন্তু তথাকথিত মহৎ পেশার উপর নির্ভরশীল,আমরা জানি।এটাও জানি যে,কি পরিমাণ সুযোগবঞ্চিত এই আমরা যারা এই পেশার সাথে খুব অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত।নানারকম আলটিমেটাম তো আছেই,সাথে আছে হরতালের মতো সময়েও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হাজিরা দেওয়া।রেজাল্ট খারাপ হলে সব দোষ নিজের ঘাড়ে নিয়ে কলুর বলদের মতো খেঁটে মরা।অভিভাবকের আচুদ মার্কা কথাবার্তার কথা বাদই দিলাম।নির্দিষ্ট করে দেওয়া দিনের থেকে কম দিন গেলে বেতন কেঁটে নেওয়ার মতো ছোটলোকিও করে কেউ কেউ।
এসব না হয় বাদই দিলাম,এবার আসি অন্য কথায়।দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির এই যুগে কিসের দাম বাড়ছে না ??? বাড়ছে সব কিছুর দাম !!! বাড়ছে সরকারি-বেসরকারি চাকুরিজীবিদের বেতনস্কেল।কিন্তু,এই গৃহশিক্ষকদেরই একমাত্র করুণ দশা।পরিসংখ্যান করলে দেখা যাবে এদের বেতন দেওয়ার সময়েই যত দরকষাকষি।হায়রে কপাল আমগো !!!
দেশে তো সব কিছু নিয়েই আন্দোলন হচ্ছে,পারলে এটা নিয়ে আন্দোলন করার জন্য "গণজাগরণ মঞ্চ" এর মত "গৃহশিক্ষক জাগরণ মঞ্চ" তৈরী করতাম।আর কযেক দফা দাবি পেশ করতাম।দাবিগুলো হতো এইরকম:
১) অনতিবিলম্বে বেতনস্কেল বাড়াতে হবে,
২) হরতালের দিন পড়ানো থাকলে,না গেলেও হাজিরা দিতে হবে,
৩) নিয়মিত নাস্তাপানির ব্যবস্থা করতে হবে,
৪) গৃহশিক্ষকের সুবিধা-অসুবিধার যথাযথ মূল্যায়ন করতে হবে,
৫) প্রতক্ষ অথবা পরোক্ষভাবে কোনো প্রকার খারাপ ব্যবহার করা যাবে না,
৬) আপনার মেয়েকে পড়ানোর সময় বারবার উঁকিঝুঁকি দেওয়া যাবে না।আমরা বাঘ-ভাল্লুক না।
৭) সর্বপরি,নিজের সন্তানের মতো না দেখতে পারেন,দিনমজুর ভাববেন না।কারণ আমরাও কারো না কারো সন্তান এবং আমাদের পরিবার আছে।সংযত ব্যবহার শিখুন।এতে লাভ আছে,ক্ষতি নেই।
আমাদের দাবি,আমাদের দাবি।মানতে হবে,মানতে হবে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



