রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আষাঢ় কবিতা লিখেছিলেন বর্ষার প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে। উক্ত কবিতাটিতে কয়েকবার বলা হয়েছে ''ওগো, আজ তোরা যাস নে ঘরের বাহিরে''। সমসাময়িক প্রেক্ষাপটে গুরুজি বেঁচে থাকলে 'গুম' নিয়ে নির্ঘাত একটা কবিতা লিখে ফেলতেন, একথা বলার অপেক্ষা রাখে না। দেখা যাক কেমন হত সেই কবিতাটি।
নীল নবঘনে গুমের আতঙ্কে তিল ঠাঁই আর নাহি রে
ওগো, আজ তোরা যাস নে ঘরের বাহিরে।
অশ্রুর ধারা ঝরে ঝরঝর,
শীতলক্ষার জলে পচা লাশ ভরভর,
ইট বাধা লাশে পেট ফাড়িয়া ভুড়ি বেরিয়াছে দেখ্ চাহিরে।
ওগো, আজ তোরা যাস নে ঘরের বাহিরে।
ওই ডাকে শোনো শত্রু ঘনঘন, কর্তারে আনো ঘর পানে।
এখনি আঁধার হবে বেলাটুকু পোহালে।
দুয়ারে দাঁড়ায়ে ওগো দেখ্ দেখি
বাইরে গেছে যারা তারা ফিরেছি কি?
অজস্র লোক কী জানি কোথায় সারা দিন আজি খোয়ালে
এখনি আঁধার হবে বেলাটুকু পোহালে।
শোনো শোনো ওই পারে যাবে বলে কে ডাকিছে বুঝি আমারে।
নির্ভয়ে ঘোরাঘুরি বন্ধ হয়েছে আজি রে।
গন্ধ হাওয়া বয়, সাথে কেউ নায়,
শিরদাঁড়া বাহিয়া উঠে পড়ে ভয়,
দরদর বেগে জলে পড়ি লাশ ছলছল গন্ধে ভাসে রে।
নির্ভয়ে ঘোরাঘুরি বন্ধ হয়েছে আজি রে।
ওগো, আজ তোরা যাস নে গো, তোরা যাসনে ঘরের বাহিরে।
আকাশ আঁধার, বেলা বেশী আর নাহিরে।
[বিঃদ্রঃ রবি ঠাকুরের কবিতা নকল করার জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত এবং ক্ষমাপ্রার্থী।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা মে, ২০১৪ রাত ১০:৪২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



