somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ভালোবাসা এবং মায়াঃ সম্পর্কের উপজাত

০৯ ই জুন, ২০০৭ রাত ৯:৩৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ভালোবাসা এবং মায়া, দুটো শব্দে বিস্তর তফাৎ। ভালোবাসা'র উপজাত হিসেবে মায়া তৈরি হওয়া আমাদের জীবনের বহুলঘটিত বিষয়। মায়ার উপজাত হিসেবে ও ভালবাসা হয়। তবে পরিস্থিতি কিছুটা ভিন্ন।

বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষে একটা জিন্স কিনেছিলাম চট্টগ্রাম হকার্স থেকে। সেই পাৎলুন সকাল থেকে রাত অবধি সাড়ে পাঁচ বছর আমাসংলগ্ন থেকে সারা দেশ দেখেছে। অনার্সের বিদায় উপলক্ষ্যের দিন ডান হাঁটুর কাছে পাৎলুন গেল ছিঁড়ে। অনেকদিন পরতে পরতে মায়া জন্মেছিল জিন্সটার উপর, সেদিন অনুভব করলাম উপজাত হিসেবে ভালোবাসা ও তৈরি হয়েছে। কিন্তু ছাড়তে হয়। বস্তু মায়ায় উৎপন্ন ভালোবাসা, বেশ অর্ধতরল হলে ও ছাড়তে হয়। কারণ বস্তুর উপযোগীতা না থাকলে মায়া ফিকে হয় , তরল ভালোবাসা হেঁদিয়ে দূষিত হয়। তখন বস্তুর মায়া ভুলে যাই আমরা অবলীলায়।

রক্তমাংসের ভালোবাসা ও ফিকে হয়। যে কোন কার্ভের পতনের মতোই, মানবিক ভালোবাসা ও নিম্নগামী হয়। কিন্তু জয়েন্ট স্টক কোম্পানীর মত নিম্নগামী সূচকের প্রান্তে পৌঁছে দেউলিয়া না হলে
যেটুকু অবশিষ্ট থাকে সেটি হচ্ছে মায়া। সচরাচর যেটিকে আমরা থ্রেশোল্ড রিকোয়ারমেন্ট বলি। এটি আসলে একধরণের অভ্যস্ততা।
এটা হচ্ছে সেই প্রথম প্রকারের ভালোবাসার উপজাত হিসেবে মায়া।

সামহোয়্যার ইন ব্লগ প্রথম দর্শনে হয়েছিল ভালোবাসা। সেই ভালোবাসা দ্রবণ থেকে সম্পৃক্ত দ্রবণ অতঃপর অতিসম্পৃক্ত দ্রবণ হলো। একসময় অধঃক্ষেপ পড়বার পর, পরিশেষে অবশিষ্ট রইলো
এক ধরণের মায়ারুপ অভ্যস্ততা।

ভালোবাসা, ভাল বাসার বাস্তবতায় পড়ে অনেক সময়ই অধঃক্ষেপে পরিণত হয়। কিন্তু মায়ারুপ অভ্যস্ততা কিংবা উত্তর প্রজন্মবোধ থেকেই মায়াবোধের মায়াবী জালে পড়ে থাকে মানুষ ।
এটাই স্বাভাবিক। যদিও ভালোবাসা উপজাত, মায়া একধরণের পারস্পরিক অনুকম্পা ব্যতীত আর কিছুই নয়।

সামহোয়্যার ইন ব্লগের প্রতি এখন শুধু সেই মায়াটুকুই অবশিষ্ট আছে। তলানীতে ঠেকে যাওয়া সেই শ্যাওলা খচিত ভালোবাসার অবলম্বনে ঝুলে থাক নামটুকু। নীচে নামতে থাকুক অতিপৃক্ত ভালোবাসায়।

ঢুঁ মেরে যাব, মাঝে মাঝে প্রেমহীন চুম্বন চর্চায়।

সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই জুন, ২০০৭ রাত ৯:৪২
৭টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

×